ঈদে হাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
ঈদে হাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি ঈদে মেহেদী পড়ার অনুভূতি নিয়ে। সত্যি বলতে সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। আসলে একটা সময় ছিল যখন মেহেদী হাত থেকে উঠতে না উঠতেই মেহেদী পড়তাম। সত্যি সেই সময় মেহেদী পড়া অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু সময় সব কিছু মানুষকে পরিবর্তন করে দেয়।তবে আমার মনে হয় একটা মেয়ের বিয়ের পর আর আগের মতো শখ থাকে না। আসলে এই শখটা এমনিতেই কেন পরিবর্তন হয় বুঝতে পারি না।হয়তো আমার মতো সবাই না কিন্তু আমি বিয়ের পর থেকে মেহেদী পড়া বাদ দিয়েছি। আসলে মেহেদী বাদ দেবার কারণ অবশ্যই আছে সেটা হয়তো নাই বলি।তবে এখন আগের মতো না নিলেও ঈদে বা কোন অনুষ্ঠানে অবশ্যই মেহেদী পড়ি।
আসলে আমার এক ননদ হয় সম্পর্কে,আমাদের পাশেই বাড়ি। যাইহোক নাম তার রেভা। রেভা ক্লাস নাইনে পড়ে তবে অনেক ভালো মেহেদী দেয়।আমাদের বাড়িতে আমার বড় জারা সবাই ঈদ করতে আসে। আমরা সবাই হাতে সঙ্গে সবকিছু সেরে রাতে বসি মেহেদী পড়ার জন্য। আসলে বাচ্চাদের থেকে শুরু করি করে আমরা চার জা মিলে মেহেদী পড়ি। তারপর আবার আমার ছোট জা ও মেহেদী পড়াতে সাহায্য করে। আমার ছোট জা বাচ্চাদের মেহেদী পড়িয়ে দিল। এভাবে একে একে আমরা অনেক জন মেহেদী পড়েছি।তবে সবচেয়ে আগে আমার ছোট মেয়েকে মেহেদী পড়ানো হলো।এদিকে আমি আমার বড় জা রেভার কাছ থেকে মেহেদী পড়লাম।
তারপর আবার বাচ্চারা একে একে মেহেদী পড়ছে। আসলে আমার দুই মেয়ে আবার ভাসুরের মেয়েরা তারপর আবার আমাদের ছোট নাতনি মিলে মেহেদী পড়ছে। আসলে এমন মেহেদী পড়া দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল।এমন মেহেদী পড়ার অনুভূতি কখনো বলে বুঝানো যাবে না।
তারপর আমার বড় জা ছোট বাচ্চাদের মতো বসে বসে মেহেদী পড়ছে। যদি ও সে মেহেদী পড়তে অনেক ভালোবাসে কিন্তু অনেক ব্যস্ততার কারণে এখন পড়তে পারে না।তাই ঈদের দিনে দুহাত জুড়ে মেহেদী পড়েছে। আসলে আমার বড় জায়ের হাতে মেহেদী পড়াতে পড়াতে রাত বারোটা বেজে গেছে। আমার জা হাতে শেষ হবার পরপরই আমি বসলাম মেহেদী পড়তে। তারপর আমার হাতে মেহেদী পড়াতে রাত একটা বেজে গেছে। সত্যি বেশ ভালোই লেগেছিল মেহেদী পড়তে। আসলে এভাবে মেহেদী পড়তেছিলাম সবাই মিলে মনেই হচ্ছিল না রাত অনেক হয়েছে।
এভাবে আমরা সবাই একে একে মেহেদি পড়লাম। আসলে সবাই মিলে মেহেদি পড়ার অনুভূতি গুলো সত্যি অন্য রকম ছিল। আসলে আমরা প্রায় দশ থেকে বারো জন মেহেদী পড়েছি। এদিকে মেহেদী পড়তে পড়তে রাত চারটা বেজে গেছে। তারপরেও কারো চোখে একটু ও ঘুম নেই। আসলে এমন আনন্দ ঘন মূহুর্ত কখন শেষ হয়ে যায় বুঝা মুশকিল ।
সবারই মেহেদী পড়া শেষ হলে আমার মেয়ে আবার আর একটু মেহেদী পড়লো।আসলে রাত অনেক হয়েছে তাই সবারই ক্ষুদা পেয়েছে। তাই আমরা কয়েক জন মিলে সেমাই রান্না করে মজা করে খেয়েছি। আসলে এদিকে সেহরির সময় ছিল বেশ ভালো খাওয়া হয়েছে। আসলে এমন রাত আমাদের জীবনে বারবার ফিরে আসুক সেই দোয়া করি। আসলে সবাই মিলে এভাবে মেহেদী পড়ার মধ্যে অনেক আনন্দ লুকিয়ে থাকে। বাচ্চারা বেশ আনন্দ পেয়েছে। আমরা ও কিন্তু অনেক আনন্দ পেয়েছি। বেশ ভালো লেগেছে এভাবে সবাই মিলে মেহেদী পড়তে। আশাকরি আমাদের মেহেদী পড়ার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বড় জা ছোট বাচ্চাদের মাঝে বসে মেহেদী দিচ্ছে বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি বলতে গেলে আপু বিয়ে হয়ে যাবার পর বাচ্চাকাচ্চা হয়ে গেলে আর তেমন এই সব মন বসে না। আর ইচ্ছে থাকলেও উপায় নাই। যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু অনেক সুন্দর হয়েছে মেহেদি ডিজাইনগুলো।
জি আপু বাচ্চা হলে আর নিজের প্রতি যত্ন থাকে না, ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঈদে হাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি। ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে একটা মেয়ের বিয়ের পরে আর তেমন আগের মত কোন কিছুতেই শখ থাকে না। আসলে আপনার আগে মেহেদী পড়তে বেশ ভালো লাগতো এবং সব সময় এই মেহেদী পড়তেন জানতে পারলাম কিন্তু এখন খুবই কম পড়া হয় এগুলো। তবে আপনার হাতে মেহেদীর আর্ট দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঈদ মানে আনন্দ। আর ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দেওয়ার মজাই আলাদা। ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দিলে ঈদের আনন্দের মাত্রাটা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যাহোক ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দেওয়া সম্পর্কে আপনার অনুভূতির কথা গুলো পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে যে অনেক ভালো লাগলো,ধন্যবাদ
এটা হয়তো আপনি ঠিকই বলেছেন কিছু কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে এরকমটা প্রায় ঘটে। বিয়ের পরে কোন না কোন কারণেই হাতে মেহেদি পড়া আবার নিজের সুন্দর মুহূর্তগুলোকেও বাদ দিতে হয়। সেটা আবার কিছু কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে নাও ঘটে। যেমন আমি ঈদের দিন সময় পেয়েও হাতের মেহেদি দিতে পারলাম না। আমার তো মেহেদি দিতে অনেক ভালো লাগে। বিয়ের আগেই অনেক মেহেদী দিতাম। কিন্তু বিয়ের পর এই দুই বছর ঈদের দিন না দিয়ে ঈদের পরের দিন মেহেদি দি। কেন জানি ঈদের দিন মেহেদি লাগাতে এখন ভালো লাগে না আর। যাইহোক আপনার মেহেদী গুলো কিন্তু আসলেই খুব সুন্দর ছিল।
আসলে আপু আমি ভেবেছিলাম শুধু আমারি মেহেদী দিতে ভালো লাগে না।সময়ের সাথে সাথে সবই পরিবর্তন হয়ে যায় ধন্যবাদ আপু।
ঈদের সময় হাতে মেহেদি দিতে আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি। তাই এই মুহূর্তটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার সৃষ্টি করে হাতে মেহেদি দেওয়া। খুবই ভালো লেগেছে সুন্দর এই মেহেদী ডিজাইন টা দেখে। অনেক সুন্দর হয়েছে কিন্তু।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
ঈদে আপনি হাতে মেহেদি পড়েছেন দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। মেহেদী মেয়েদের হাতেই বেশি মানায় তারপরেও ছেলেরা ঈদ মৌসুমে হাতে দিয়ে থাকে। আপনার হাতের মেহেদি দেখে বোঝা যাচ্ছে অতি দক্ষতার সহিত মেহেদী দিয়েছেন অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদ মানে আনন্দ। আর ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দেওয়ার মজাই আলাদা। ঈদের সময় আমরা হাতে মেহেদি পড়তে কমবেশি সবাই অনেক পছন্দ করি। খুব সুন্দর হয়েছে আপু এই মেহেদির ডিজাইন টা ধন্যবাদ