সখিনার জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার গল্প ৩য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
সখিনার জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার গল্প ৩য় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি।আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা। আসলে ছোটবেলা সিনেমায় দেখতাম আর এখন বাস্তবে দেখি।সত্যি বাস্তবতা থেকেই সিনেমা শুরু হয়। যাইহোক সখিনা জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। আসলে কয়জন পৃথিবীতে সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম নেই। তবে আমরা পরিশ্রম আর ধৈর্যের মাধ্যমে জীবনের সফলতা আনতে অবশ্যই পারব।যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
সখিনা যখন হসপিটালে ভর্তি হলো তখন সখিনার সৎ মা একদিন ও দেখতে যায়নি সখিনাকে।এদিকে সখিনার বাবা ও বিদেশে। হসপিটাল থেকে সখিনা এখন কোথায় যাবে, তারপর সখিনার মামা তাকে সাথে করে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেল। আসলে সখিনার মামাতো ভাই সখিনাকে অনেক পছন্দ করে। যাইহোক মামা বাড়িতে সখিনা কিছু দিন রইল। তারপর সখিনার মামা তার বাবার কাছে বলল সখিনার বিয়ের কথা। এদিকে সখিনার পড়াশোনা শেষ পর্যায়। যাইহোক সখিনার ইচ্ছে আছে চাকরি করে বিয়ে করবে।কারণ সে ছোট বেলা থেকে অবহেলায় মানুষ হয়েছে। আসলে পৃথিবীতে মা না থাকলে যা হয় আরকি।যাইহোক সখিনা জীবন ভরে অনেক কষ্ট করেছে।
তারপর সবাই মিলে সখিনার মামাতো ভাইয়ের সাথে সখিনাকে বিয়ে দিল।সখিনার মামি তাকে মোটামুটি ভালোই জানেন।সখিনা শশুর বাড়িতে বেশ ভালোই আছে তার স্বামী ও ভালো চাকরি করেন।যাইহোক সখিনার ইচ্ছে ছিল জীবনে নিজে কিছু করবে।তারপর সখিনার শশুর বাড়ির লোকজন তাকে চাকরি করার জন্য যথেষ্ট সাহায্য করলো এদিকে শশুর বাড়ির সাপোর্ট ও অন্যদিকে সখিনার নিজের ইচ্ছে। যাইহোক সব কিছু মিলে সখিনা বেশ ভালোই চলছিল। কিছু দিনের মধ্যে সখিনার কোলে একটা পুত্র সন্তান এলো।
তারপর বছর খানেকের মধ্যে সখিনা হাইস্কুলে চাকরি পেল। সখিনা এখন চাকরি সন্তান ও শশুর বাড়িতে বেশ ভালোই রয়েছে। যদিও সখিনার এই সফলতার জীবনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আসলে আজ এই পর্যায়ে আসার পিছনে সখিনাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। যাইহোক জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছে এটাই অনেক। আশাকরি আমার লেখা গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদার নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1820402964273758695?s=19
মানুষ জীবনে কষ্ট করলে জয়ী তো অবশ্যই হবে। সখিনা তার জীবন যুদ্ধে অনেক বেশি কষ্ট করেছে। শেষ পর্যায়ে এসে সে সফল হয়েছে, আর এখন অনেক ভালো আছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলা থেকেই সখিনা অনেক কষ্ট পেয়ে বড় হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর তার জীবনে সুখ এসেছে, এটা সত্যি অনেক আনন্দের একটা বিষয়। তার মামাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয়েছে, আর তার শ্বশুর বাড়ির সবাই অনেক ভালো এবং তাকে চাকরির জন্যও সাপোর্ট করেছে, যার কারণে সে এখন এরকম অবস্থান অর্জন করেছে। অনেক সুন্দর ছিল এই গল্পটা।