নিজের জন্য থ্রি পিস কেনার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
নিজের জন্য থ্রি পিস কেনার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি নিজের জন্য থ্রি পিস কেনার অনুভূতি নিয়ে।এখন শুরু হয়ে গেছে রমজান সবাই ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত। আসলে আজ দশ রোজা চলছে। তবে আমি দ্বিতীয় রোজায় গিয়েছিলাম নিজের জন্য দুটি প্রি পিস কেনার জন্য। আসলে রোজার ভিতরে থ্রি পিস বানানো বেশ ঝামেলা। তাই ভাবলাম আগেভাগে দুটি থ্রি-পিস কিনে নিই। আসলে ঝামেলার জন্য যেহেতু দ্বিতীয় রোজায় গিয়েছিলাম কিন্তু সেই ঝামেলার মধ্যেই পড়ে গেছি। প্রথম রোজা থেকে ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। যেহেতু আমি বাসায় পড়ার সুতি থ্রি পিস কেনার জন্য গিয়েছিলাম। যেহেতু দ্বিতীয় রোজা তাই ভাবলাম তেমন কোন ভীর নেই পছন্দ অনুযায়ী কিনতে পারব। কিন্তু কোন দোকানদার আমাকে সুতি থ্রি পিস দেখাবেনা। কিছু কিছু দোকানদার দেখাতে চাইলেও বলে তিনটি দেখালে দুটি দিতে হবে। আমার পছন্দ যদি না হয় তাহলে কিভাবে কিনব। তারপর আমি বললাম থাক কিনবো না। যাই হোক তাহলে চলুন দেখে নেই কিভাবে থ্রি পিস কিনলাম।
প্রথমে গেলাম নিউমার্কেটে। আসলে যে সকল দোকান থেকে আমি সব সময় থ্রিপিস কিনি তারা সুতি থ্রি পিস এখন বিক্রি করবে না। তারপর আর কি করা চলে গেলাম আইশা সুপার মার্কেটে। প্রথম রোজা থেকে এত পরিমান ভিড় বলার মতো না। বিশেষ করে থ্রি পিস গুলোর দোকানে বেশি ভিড় জমে আছে। আসলে সবাই চাই আগে থ্রি পিস গুলো কেনার। আর একটু পরে বানাতে দিলে দোকানে অর্ডার নেই না। যাইহোক কিছু সময় দাঁড়িয়ে থ্রি পিস গুলো দেখছিলাম। তবে দাম অনেক হলে কি হবে থ্রি পিস কেনার লোকের অভাব নেই।
আমার থ্রি পিস দেখতে দেখতে আমার বোন চলে এলো।আসলে ওর মেয়ের জন্য থ্রি পিস কিনবে। আমাকে ফোন দেওয়াতে আমি বললাম মার্কেটে আর সেই সুযোগে আমার বোন চলে এলো। যাইহোক যেহেতু দুই বোন হলাম তাই বেশি ভালো করে থ্রি পিস দেখতে লাগলাম। আসলে গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি। তবে বাচ্চা মানুষ একটু গর্জিয়াস না হলে কেমন হয়। তাই আমার থ্রি পিস কেনা বাদ রেখে আগে বোনের মেয়ের জন্য থ্রি পিস কিনলাম। যাইহোক একটি থ্রি পিস নিল ২১০০ টাকা। তবে আমার বোন আসার সাথে সাথে থ্রি পিস পেয়ে গেল কিন্তু আমার থ্রি পিস কেনার জন্য আরো ঘুরতে হবে। এমনি দ্বিতীয় রোজা তারপর আবার ভালোই রোদ অনেক উঠেছে। তাই বেশি ঘুরতে ইচ্ছে করছে না।তবে এখন না কিনলে হয়তো রোজার ভিতরে আর সুতি থ্রি পিস কেনা হবে না।
তারপর আয়শা সুপার মার্কেটে সেখানে শুধু সুতি থ্রি পিস বিক্রি করে সেখানে গেলাম। তবে এই মার্কেটে বেশ ভালোই ভীর রয়েছে। কি আর করা এখান থেকে তেমন থ্রি পিস কেনা হয়নি। তারপর কয়েক দোকান ঘুরলাম তবে ভালো ভালো থ্রি পিস গুলো নেই। আমি জিজ্ঞেস করাতে বলল ঈদের আগে আর আনা হবে না , কারণ এখন সুতি থ্রি পিস খুব কম বিক্রি করা হয় । পড়ে গেলাম মহাবিপদে। আসলে রোজার আগে কিনব কিনব বলে কিভাবে রোজা চলে এলো বুঝতে পারলাম না।আর এভাবে কেউ সুতি থ্রি পিস দেখাবেনা ভাবতেও পারিনি কখনো তো এমন হয়নি ।
তারপর আয়শা সুপার মার্কেটে বেশ কিছু দোকান দেখার পরে এক বৌদির দোকানে আসলাম। আসলে বৌদির বর খেতে গেছে তাই সে দোকানে বসেছে। যদি ও দাদার সাথে বৌদি দোকানে বসে। আসলে বৌদির দোকানে বেশ ভালো থ্রি আছে। বৌদি আমাকে বেশ কয়েকটি থ্রি পিস দেখাল।আসলে থ্রি পিস গুলো পছন্দ হলো তবে দুঃখের বিষয় দাম বৌদি ঠিক মতো বলতে পারছে না।যাইহোক কিছু সময়ের মধ্যে বৌদির বর আসলো, তারপর দাদা বললো ৮৪০ টাকা। তবে ৬৫০ টাকা বলাতে দিদি দিল না।তারপর দুটি থ্রি পিস ১৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। আসলে থ্রি পিস অনেক কিনেছি কিন্তু এভাবে কখনো ঘুরতে হয়নি।এবার বেশ ভালো ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। জানি না ঈদের আগে আর কিনা যাবে কিনা। যাইহোক দেরি হলেও মনের মতো থ্রি হয়েছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুতি থ্রিপিস কিনতে গিয়ে বেশ কষ্ট পোহাতে হলো দেখছি আপনার।আসলে রমজান মাসে ধুমচে থ্রিপিস কিনতে থাকে তাই এতো ভির। আর ঈদে সবাই গর্জিয়াস কেনে তাই সুতি থ্রিপিস কম তোলেন। তবে থ্রপিস দেখাবে না এমন অনেক দোকানি অতীত ভুলে যায়।কিছুদিন পর দেখবেন দোকানের সামন দিয়ে হাটতে পারবেন না আসেন কি নেবেন বলে কান ঝালাপালা করে দেবে।একটা দেখতে চাইলে দশটা খুলে বসে থাকবে।আর এখন এমন আচরণ। মনে করে সারাবছর ঈদের কেনাকাটা থাকবে।আমিও ঈদে কেনাকাটা করি সুন্দর কানেকশন আসে জন্য ওমা হিন্দু জন্য কথায় বলে না মনে করে কিনবে না।যাই হোক আপনি সুন্দর মনের মতো থ্রিপিস পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ কেনাকাটার বিস্তারিত অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট টি করার জন্য।
আসলে আপু দোকানদারা এমনি সারাবছরের হিসাব করে না। তারা ঈদের সময় এলে সব ভুলে যায়। ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমি মনে করি ঈদের কেনাকাটা গুলো একটু আগেই করা উচিত কেননা দেরি হয়ে গেলে ড্রেসগুলো বানাতে খুবই সমস্যা হয়। আমিও সেদিন কিছু গজ কাপড় কিনে আগেভাগে বানিয়ে নিয়েছি। আর দুদিন আগে রেডিমেট নিয়েছি যাতে করে বানানোর ঝামেলা যেন না থাকে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার কেনাকাটার মুহূর্ত পড়ে।
জি আপু পরে ড্রেস গুলো বানাতে অনেক সমস্যা হয়, তাই আগে দিতে গিয়ে ও ঝামেলা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু রোজার মধ্যে বাজারে প্রচুর ভিড় হয়। তাই আগেভাগেই দুইটি বাড়িতে পড়ার জন্য সুতি থ্রি-পিস কিনতে গিয়েছিলেন কিন্তু গিয়ে দেখলেন সেই ঝামেলায়। যাইহোক এত ভিড়ের মধ্যে আপনি থ্রি পিস গুলো কিনতে পেরেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার নিজের জন্য থ্রি-পিস কেনার অনুভূতি পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর থ্রি পিস কিনলেন আপু ভালো লাগলো। যেহেতু এক সাথে আপনি দুটি থ্রি-পিস নিলেন। রমজান মাস আসলে নরমাল থ্রি পিস গুলো একদম দেখানো হয় না আপু। যেহেতু ঈদের জন্যই নতুন জামা কাপড় আনেন সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যদি কিনতে হয় তাহলে আগে কিনে ফেলতে হয়। না হয় পরে কিন্তু হয়। অনেক ভালো লেগেছে অনুভূতিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু ঈদের আগে কিংবা পরে ছাড়া জামা বানানো সম্ভব নয়। ধন্যবাদ আপু।
তবে অনেকে থ্রি-পিস ব্যবহার করতে অনেক পছন্দ করে। রমজান মাস আসলে এমনিতে দোকানে ভিড় থাকে বেশি। কারণ রমজান মাসে কেনাকাটা অনেক বেশি করে সবাই। তবে আপু এটি অবাক করার বিষয় দোকান তিনটি থ্রি পিস দেখালে দুটো কিনতে হবে। এখানে পছন্দ বলে একটি কথা আছে। তবে আপনি অনেকগুলো দোকান এবং মার্কেটে ঘুরাঘুরি করেছে থ্রি পিস কেনার জন্য। তবে দুটো থ্রি পিস ১৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। তবে অনেক সময় কিনাকাটা করতে গেলে বেশি ঘুরাঘুরি করলেও মন মেজাজ অনেক খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক অনেক সুন্দর করে থ্রি-পিস কিনতে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু বেশি ঘুরাঘুরি করলে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপু।
রমজান আসলে এমনিতে মার্কেটে কেনাকাটা করতে একটু কষ্ট হয়। যদিও আপনি কিনা কাটা আগে করেছেন তারপরও কাস্টমার এর বিট বেশি। আর বেশিরভাগ মহিলারা থ্রি পিস কাপড় ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করে। আর এখন সবকিছু দাম এমনিতে অনেক বেশি। আপনারা কয়েকটি মার্কেট দেখে থ্রিপিস পছন্দ করে কিনেছেন। তবে কিছু কিছু মার্কেটে দোকানদার আছে তাদের ব্যবহার শুনলে এমনিতে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক পছন্দ করে থ্রি পিস কিনে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।