খিচুড়ি রান্নার রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
খিচুড়ি রান্নার রেসিপি।
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আমরা সবাই খিচুড়ি খেতে অনেক পছন্দ করি। আর যদি হয় সবজি খিচুড়ি তাহলে তো কথায় নেই। আসলে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু গরমের জন্য খেতে ভয় করে। যাইহোক দুদিন আগে আমাদের এখানে বৃষ্টি নেমেছিল তখন রাতে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম। আসলে কয়েক দিন আগে তেলের আচার বানিয়েছিলা তাই খিচুড়ি দিয়ে খেতে ইচ্ছে করেছিল। কিন্তু বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম যখনি বৃষ্টি নামলো তখনি আমরা খিচুড়ি রান্না করলাম। তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো। আসলে কাঁঠালের বিচি শুধু খিচুড়িতে নয় আমার কাছে তরকারিতে দিলে অনেক ভালো লাগে।যাইহোক বছরের প্রথম কাঁঠাল খেয়েছি তাই বিচি ও খেতে অনেক মজার ছিল। যেহেতু হঠাৎ করেই খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করেছিলাম। তাই বেশি সবজি ছিল না তবে বাড়িতে মিষ্টি কুমড়া আর আলু ছিল আর কাঁঠালের বিচি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম অনেক মজা হয়েছিল। আসলে গরম গরম খিচুড়ি আচার দিয়ে খেতে সেই রকম লাগে। আপনারা চাইলে এভাবে রান্না করে খেতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
১.বাসমতী চাউল
২.মুগের ডাল
৩.মসুরির ডাল
৪.পিঁয়াজ ও কাঁচামরিচ
৫. হলুদ, ধনের ও মরিচের গুঁড়ো।
৬.লবন ও তেল
৭ মিষ্টি কুমড়া, কাঁঠালের বিচি ও আলু
৮.রসুন কুঁচি
৯.আদাবাটা
১০. এলাচ, দারচিনি
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে আমি চাল ও ডাল গুলো এক সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর রাইস কুকারের ভিতরে দিয়েছি।
ধাপ-২
![]() | ![]() |
---|
এখন মিষ্টি কুমড়া, আলু ও কাঁঠালের বিচি দিয়েছি। তারপর কাঁচামরিচ, পিঁয়াজ ও রসুন কুঁচি দিয়েছি।
ধাপ-৩
![]() | ![]() |
---|
এখন তেল ও লবন দিয়ে বেশ কিছু সময় মাখিয়ে নিয়েছি। আসলে যত বেশি মাখানো যায় ততোই ভালো।
ধাপ-৪
![]() | ![]() |
---|
এখন ধনের ও হলুদের গুড়ো দিয়ে আর একটু মাখিয়ে নিয়েছি। তারপর আদাবাটা দিয়ে আর একটু মাখিয়ে নেব।
ধাপ-৫
![]() | ![]() |
---|
তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়েছি।তারপর এলাচ দারচিনি দিয়েছি।এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব।
ধাপ-৬
![]() | ![]() |
---|
পানি ফুটে আসলে ঢাকনা খুলে কিছু জিরার গুঁড়ো দিয়েছি। তারপর আরো কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি। তারপর একটা প্লেটে তুলে পরিবেশ করেছি অনেক মজার ছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থngথাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি
মুগ ডালের খিচুড়ি অনেক লোভনীয় একটি খাবার। ভীষণ চমৎকার পদ্ধতিতে আপনি মুগ ডালের খিচুড়ি বানিয়েছেন। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রণালী চমৎকার ভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাঁঠালের বিচি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা যায় আগে জানতাম না আপু। নতুন একটি খিচুড়ি রেসিপি শিখলাম। বৃষ্টি ভেজা দিনে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। মনে হচ্ছে এভাবে খিচুড়ি রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগবে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
জি আপু খিচুড়ি খেতে অনেক মজা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে একদিন খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে অন্যতম খিচুড়ি। আপনি আজকে খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। বিভিন্ন ডালের সমন্বয়ে খিচুড়ি রান্না করেছেন। যা খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আর এর মধ্যে যদি ভিন্ন ধরনের কিছু সবজি দেওয়া যায় তাহলে তো আরো স্বাদ বেড়ে যায়। যাইহোক এত চমৎকার ভাবে খিচুড়ি রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি আপু খিচুড়ি সবজি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে, মাঝে মাঝে তৈরি করে খাবেন, ধন্যবাদ আপু।
আহ কি টেস্টি। আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে যে রেসিপি শেয়ার করেছেন তামার খুবই পছন্দের একটি খাবার। আসলে আপু খিচুড়ি চলে আমি খুবই বেশি পছন্দ করি। আর আপনি দেখছি বাসমতি চাউলের খিচুড়ি রান্না করেছেন আসলেই অনেক স্বাদ হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। এমনিতেও বাসমতি চাউল এর ভাত খেতে খুবই স্বাদ লাগে। আর তাদের যদি খিচুড়ি রান্না করে খাওয়া যায় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। দেখেই মনে হয় যেন সব চেটেপুটে খেয়ে নি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া বাসমতী চালের ভাত খেতে অনেক মজা লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
খিচুড়ি আমার খুব পছন্দের কাঁঠালের বিচি রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। তবে খিচুড়ির সাথে কাঁঠালের বিচি দিয়ে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে একদিন খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে,ধন্যবাদ আপু।
বেশ চমৎকার খিচুড়ি রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। এমন সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আমি বেশিভাগ ছাগলের চর্বি অথবা বয়লার মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করতে ভালোবাসি। যাই হোক অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই রেসিপি।
চর্বি দিয়ে খেতে সত্যি অনেক মজা লাগে, ধন্যবাদ আপু।
অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে আপনি খিচুড়ি করলেন আপু দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে। বৃষ্টির দিনে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আর গরমের দিনে সত্যি ভয় লাগে খিচুড়ি খেতে। যাক আপনি বৃষ্টিতে খেতে পারলেন তেলের আচার দিয়ে বেশ মজার হবে খেতে। আপনার রেসিপির উপস্থাপনা অসাধারণ ছিল।
ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়েছে , আর বৃষ্টির এই ঠান্ডা ঠান্ডা দিনে খিচুড়ির সত্যিই তুলনা হয়না। আর আপনার এই খিচুড়ি গুলো দেখে আমার সত্যিই এখন লোভ লাগছে খিচুড়ি খাবার জন্য। যাই হোক , আপনাকে ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর খিচুড়ির রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।
খিচুড়ি রান্নার দারুন শেয়ার করেছেন আপু।বেশ মজাদার খিচুড়ির রেসিপি তুলে ধরেছেন। আপনার খিচুড়ি দেখে বেশ লোভ লেগে গেল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা বেশ চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপু।