জেনারেল রাইটিং :-বিপদ যখন আসে সব দিক থেকে আসে

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

জেনারেল রাইটিং :-বিপদ যখন আসে সব দিক থেকে আসে



1000013487.jpg

source

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং লেখার চেষ্টা করি। সত্যি বিপদ যখন আসে সব দিক থেকে আসে। আজ কয়েক দিন ধরে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে চলছে তারপরে আবার নিজের দাঁতে সমস্যা। আসলে আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন দাঁতের যন্ত্রণা কতটা ভয়ানক। আমার অনেকবার হয়েছে রুট ক্যানেল ক্যাপ সব করেছি আবারও দাঁতে সমস্যা হয়েছে। আসলে আমরা যতই সচেতন থাকি না কেন বিপদ যখন আসে, কিভাবে আসে বোঝা মুশকিল। যাইহোক আবার দাঁতের সমস্যা একটু কমেছে। আসলে আমরা বাঙালি বেশি অসুস্থ না হলে কখনো ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না এটা আমাদের জন্মগত স্বভাব ।শুধু আমি না আমার মনে হয় অনেকেই আমার মত এই কাজটাই করে থাকেন। যাইহোক গতকাল রাত থেকে হঠাৎ করে বড় মেয়ে দাঁত ব্যথায় ছটফট করছে।


দাঁত ব্যথা যে কি জিনিস দুদিন আগে আমারও ছিল। সেটা বাচ্চারা কিভাবে সহ্য করবে তাই ভাবছি। আসলে কোন বাচ্চা অসুস্থ হলে আমার মনে হয় বাচ্চার থেকে বাবা মায়ের বেশি কষ্ট হয়।আমার মেয়ে যখন দাঁত ব্যথা করছিল তখন শুধু আমার দাঁত ব্যথার কথা মনে করে খুব কষ্ট লাগছিল। তবে আমার বড় মেয়েটা ওষুধ খেতে চায় না। যেহেতু অনেক রাতে দাঁত ব্যথা করছিল তাই জোর করে একটা নাপা খাইয়ে দিলাম। তারপর কোন রকম ঘুমালো।যখন সকাল হলো তখন আমার মেয়েকে বললাম চলো ডাক্তারের কাছে যাব।তখন সে বলল আমি ডাক্তারের কাছে যাব না। আমি বললাম রাতে কিন্তু আবার দাঁত ব্যথা হবে।তখন সে বললো আবার বান্ধিবীর অনেক দাঁত ব্যথা ছিল ওর মা তো ওকে ডাক্তারের কাছে নিল না। তাহলে তুমি কেন আমাকে নেবে। আসলে তার দাঁত নড়েছে তবে সে নড়া দাঁত তুলবে না। তবে নড়া দাঁতের ভিতর দিয়ে আবার দাঁত উঠছে তাই অনেক ব্যথা। তার দাঁত ডাক্তারের কাছে ছাড়া কখনো তুলা যায় না।


যাইহোক পরের দিন সকাল সকাল আমি মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাব। কিন্তু সকল ডাক্তার বিকেল চারটার দিকে বসে। কি আর করা তারপর আমরা বাসা থেকে তিনটার দিকে রওনা দিলাম। আসলে আমরা বৃহস্পতিবারে গিয়েছিলাম আর শুক্রবারে আমাদের উপজেলার নির্বাচন।আমরা কিছু দূর যাওয়া মাত্রই আমাদের অটো থেকে নামিয়ে দিল। এদিকে মেয়ের দাঁত ব্যথা করছে অন্য দিকে গরম,তারপর আবার অটো যাবে না।আসলে নির্বাচন নিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে । আমরা পড়ে গেলাম মহা বিপদে।গরমে যে দাঁড়িয়ে থাকার অবস্থা নেই । অটোওয়ালা বলছে আপনারা তারাতাড়ি নামুন তা না হলে আমার অটোর ক্ষতি হবে। তারপর আমরা সবাই অটো থেকে নামলাম। এখন কি করবো ওখান থেকে কিভাবে যাব।অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে আসলে ভাড়া অনেক চায়। যেখানে দশ টাকার ভাড়া একশত টাকা চায়। তবে কিছু তো করার নেই যেতে তো হবেই যেভাবেই হোক। হঠাৎ আমার বোনের বাসার কথা মনে হলো তারপর রিক্সাওয়ালাকে বললাম বাইপাস সড়কে যাব। রিকশাওয়ালা যাবে ঠিকই তবে মেইন রোড পর্যন্ত ভিতরে ঢুকবে না। কি আর করা তারপর আমরা মেইন রোড পর্যন্ত রিক্সায় গেলাম ।তারপর সেখান থেকে ১০ মিনিট হেঁটে আমার বোনের বাসায় চলে গেলাম।রোদের সময় দশ মিনিট অনেক সময় । বোনের বাসায় একটু রেস্ট নিয়ে পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে যাব।


যাবার পর আমাদের দেখে আমার বোন অবাক। বলতে লাগলো আগে বললে আমরা পিঠা বানাতে পারতাম। আসলে আমরা তো ইচ্ছে করে আর যায়নি এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে গিয়েছি।যাইহোক তখন দুই বোন মিলে অনেক কথা বললাম। তারপর আমার বোন বললো নড়া দাঁত তুলার জন্য আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয় নাকি।তারপর আমার মেয়েকে অনেক বলে হা করাতে পারলো না।অনেক বলার পরে বললো দেখ আম্মু আমি শুধু দেখবো।তারপর সে রাজি হলো।তখন আমার বোন বললো তুমি ওর মাথা ধরো আমি দেখছি।তারপর এক পর্যায়ে জোর করে টিস্যু দিয়ে দাঁত তুলে দিল। তারপর একটা নাপা খাওয়ানো হলো।কিছু সময় পরে আর দাঁতের ব্যথা নেই। অবশেষে আর ডাক্তারের কাছে যেতে হলো না।যাইহোক অবশেষে মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেলাম। সত্যি মেয়ের ব্যথা না কমা পর্যন্ত মহা বিপদে ছিলাম। তারপর আবার গাড়ি ধরা মোট কথা কি যে ঝামেলায় ছিলাম কেউ এমন পরিস্থিতিতে না পরলে বুঝবে না। যাইহোক আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন।যাইহোক সবাই দোয়া করবেন আমাদের দাঁতের সমস্যা যেন তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায়। আশাকরি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

আমার কাছে যেন মনে হয় এগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশের নিয়ম কারণ খেয়াল করে দেখুন যখন একটা বিপদ আসে চারপাশ থেকে কম বেশি ছোট বড় বিপদ আসতেই থাকে। আর আপনার মত দাঁতের যন্ত্রণা মাঝেমধ্যে আমিও সহ করে থাকি তাই এই বিষয়টা যথেষ্ট আমি বুঝি কতটা কষ্টদায়ক।

 last month 

আসলে ভাইয়া ব্যথা সহ্যকরা অনেক কঠিন, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

আসলে সত্যিই বিপদ যখন আসে চারদিক থেকে আসে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আপনার মেয়ের দাঁতের ব্যথা কথা শুনে সত্যি খুব খারাপ লাগলো। আসলে দাঁতের ব্যাথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আপনার মেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।

 last month 

সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

দাঁতের ব্যথা আমি সেভাবে অনুভব করিনি। তবে কিছুদিন আগে আইসক্রিম খেতে গিয়ে বেশ ভালই শিরশির অনুভব হয়েছিল যেটা প্রায় সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছিল। যাই হোক আপনার মেয়ের দাঁতের উপর দিয়ে দাঁত উঠে যাওয়ার কারণে ব্যথা হয়েছিল যার কারণে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ঝামেলার কারণে সেখানে না গিয়ে প্রথমে বোনের বাসায় গেলেন তখন আপনার বোন জোর করে ধরে আপনার মেয়ের দাঁতটা উঠিয়ে দিল জেনে ভালো লাগলো। আসলে ছোটবেলায় আমাকেও বলতো দাঁত একটু দেখি,এই বলেই দাঁত ফেলে দিতে। আসলে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। যাই হোক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের অসুস্থতা কিংবা কোন কষ্টে বাচ্চাদের চাইতে মায়ের কষ্ট বেশি হয়।দাঁতের ব্যাথা ভীষণ কষ্টকর।দাঁত তুলতে গিয়েও দেখছি বেশ ভোগান্তিতে পড়েছিলেন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথে।যাক জেনে ভালো লাগলো আপনার বোন অবশেষে ডাক্তারের কাজটি সেরে ফেলেছে হাহা।ধন্যবাদ আপু
পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 last month 

জি আপু আমার বোন ডাক্তারের কাজটি সেরে দিয়েছে, ধন্যবাদ আপু।

 last month 

এটা ঠিক বলেছেন আপু বিপদ যখন আসে তখন চারদিক থেকেই আসে। আসলে সন্তানের কিছু একটা হলে বাবা-মায় বেশি কষ্ট পেয়ে থাকে। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে দাঁত ব্যথার কষ্ট অনেক কষ্টের। যখন যার হয় সেই বুঝতে পারে কষ্টের কথা। সবকিছুর পরেও আপনার মেয়ের দাঁত উঠানোর পর ব্যথা চলে গেছে শুনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

 last month 

এটি একদম ঠিক বলেছেন আপু ছোট ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হলে মা-বাবার কষ্ট বেশি হয়। আর দাঁতের ব্যথা খুব মারাত্মক। যার দাঁতের ব্যথা হয় সেই বুঝে কি কষ্ট। তবে মেয়ের দাঁত তুলে খুব ভালোই করেছেন। আসলে একটু কষ্ট হলেও দাঁতের ব্যাথা চলে যায়। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইল আপু যেন সুস্থ থাকে সব সময়।

 last month 

দাঁতের সমস্যা হলে সত্যি অনেক কষ্ট হয়। আর বাচ্চারা এই কষ্ট সহ্য করতেই পারে না। এরপর আবার নতুন ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছেন শুনে সত্যিই খারাপ লাগছে। নির্বাচনের সময় গন্ডগোল লেগেই থাকে। কি আর করার আপু। সব সমস্যা একবারেই যেন সামনে চলে আসে।

 last month 

একদম সঠিক একটি কথা বলেছেন আপনি৷ কেউ অসুস্থ হলে পিতা মাতারা যেন একেবারে অন্যরকম হয়ে যায় এবং তারা কি করবে কোন কিছু ভেবে পায় না। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইল সে যেন সুস্থ হয়ে ওঠে৷ আসলে দাঁতের ব্যথার মতো কষ্টের ব্যথা আর কিছুই হয় না৷ আমারও ছোট থাকতে অনেক বেশি পরিমাণে দাঁতের ব্যথা হতো৷ এখনো দাঁতের সমস্যায় ভুগছি৷

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57797.87
ETH 3067.72
USDT 1.00
SBD 2.29