হঠাৎ শহরে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
হঠাৎ শহরে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে বর্তমান দেশের পরিস্থিতির জন্য বাইরে বের হতে ভয় লাগে। তারপর প্রয়োজনে বের হওয়া তো লাগেই। যাইহোক কারফিউ থাকা অবস্থায় গিয়েছিলাম মেয়েকে দাঁতের ডাক্তার কাছে নিয়ে। আসলে দাঁতের কাজ করা অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই মাঝে মাঝে যেতে হয়। তবে কারফিউ এর ভিতরে গিয়ে দেখি দোকান এখনো খোলেনি তারপর ডাক্তারকে ফোন দেওয়াতে বললো আসতে আরো আধাঘন্টা লাগবে। তারপর মেয়েকে নিয়ে ভাবলাম শহরের ওপর দিয়ে একটু ঘুরে দেখি।আসলে বাইরে বের হতে সত্যি অনেক ভয় লেগেছিল। তারপর ভাবলাম আধাঘন্টা অনেক সময় ঘুরতে গেলে চলে যাবে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আসলে ডাক্তারের দোকানের কাছেই ট্রাফিক মোড় । সেখানে দিয়ে একটু ঘুরার ইচ্ছে ছিল। আসলে এমনিতে এখান দিয়ে লোকের অভাব থাকে না কিন্তু কারফিউ এর মধ্যে পুরো জায়গাটা ফাঁকা।শুধু দুই একটা রিক্সা আর অটো ছাড়া তেমন কোন মানুষ নেই।সাধারণ মানুষের সমাগম অনেক কম। তবে এখানে বেশি কষ্ট হচ্ছে দরিদ্র মানুষ গুলোর। তারা পেটে খাবার দেবার জন্য সব ভয়কে জয় করে কাজ করছে।আসলে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম। আসলে এতো কম মানুষ ও গাড়িঘোড়া আগে কখনো দেখেনি।তবে জনমানবহীন নিরব জায়গা দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল।
তারপর কিছু দূর এগিয়ে দেখলাম ব্রিজের ওপর এক লোক কিছু কলা বিক্রি করছে। আসলে কারফিউ না থাকা কালীন সময়ে ব্রিজের উপরে জিনিসপত্রের অভাব হয় না। লোকটার কলা গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। তারপর কয়েক হালি কলা কিনলাম। কলা কেনা শেষ হতে না হতেই ডাক্তার তার চেম্বারে যেতে বললো।তারপর আর দেরিনা করে তারতাড়ি ডাক্তারে চেম্বারে চলে গেলাম।
ডাক্তার দেখিয়ে যখন বের হলাম তখন ডাক্তার কিছু ঔষধ লিখে দিলেন। আসলে কারফিউ এর মধ্যে অনেক ঔষধের দোকান বন্ধ থাকায় ঔষধ কেনার জন্য আর একটু ঘুরতে হলো।আসলে রাস্তা ফাঁকা থাকায় ঘুরতে বেশ ভালো লেগেছিল। তারপর এক দোকান খুলা পেয়ে ঔষধ গুলো কিনে নিয়েছি।ঔষধ কেনা শেষ হলে আমরা আবার রওনা দিলাম। আসলে রাত হয়ে গেলে গাড়ি পাওয়া মুশকিল। তবে যেটুকু সময় ছিলাম বেশ ভালোই কাটিয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1818239463773925612?t=6F3ySJl7QEAKCrw09jXnRQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কখন যে কোন অসুখ হয়ে যায় বলাই মুশকিল। এই কারফিউ এর মধ্যে আপনার মেয়ের দাঁতের ব্যথা উঠেছে তাই ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। তবে ডাক্তার আশায় আধঘন্টা দেরি হবে জেনে কিছুটা ঘোরাঘুরি করে ফেলেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ তাই তেমন একটা লোকজন দেখা যাচ্ছে না। অবশেষে আপনারা ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এরকম একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
দাঁতের কাজ করাতে গেলে সত্যি অনেকটা সময় লাগে। আর এটা খুবই সময় নিয়ে করতে হয়। ডক্টর দেরিতে আসার ফাঁকে আপনি ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ডক্টরের জন্য অপেক্ষা করাটা সত্যি অনেক কষ্টের কাজ। সময়টা কাজে লাগিয়েছেন আপু।
জি আপু অপেক্ষা করা অবশ্যই কষ্টকর,ধন্যবাদ আপু।
এটা একদমই ঠিক কথা আপু, এই কারফিউ এর মধ্যে গরিব, খেটে খাওয়া মানুষেরই সবথেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে। কারণ তারা কাজের জন্য বাইরে বেরোতে পারছে না। তাছাড়া রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকার কারণ ওই একটাই, সেটা হলো মানুষের মনে আতঙ্ক এই কারফিউ নিয়ে। যাইহোক, তারপরও যে মেয়েকে সুস্থভাবে ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন এবং ওষুধ কিনতে পেরেছেন, এটা জেনে ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া সব কিছু ভালো মতো করতে পেরেছি জেনে আমার কাছে ও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।