আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং লেখার জন্য। আসলে মানুষের জীবন অনিশ্চিত। কার জীবনে কখন কি হয় বুঝা মুশকিল। বর্তমান কালে যেহারে গরম পড়েছে তাতে সবার জন্য কষ্টকর। আর এবার বৃষ্টির দেখা নেই বলেই চলে। প্রচন্ড তাপমাত্রায় মানুষের বেঁচে থাকা অনেক কষ্টকর। আর কোথাও একটু পানি নেই। চারদিকে তাপমাত্রা যেহারে বাড়ছে তাতে আগুন কোথাও পড়লে তা নেভানো আর সহজ নয়। গতকাল রাতে তেমনি এক ঘটনা ঘটে গেছে আমাদের পাশের গ্রাম। তবে আমাদের পাশের বাড়িতে একজন রাখাল থাকে।

নাম তার নাজমুল। সে প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে আমার এক ভাসুরের বাসায় থাকে। বলতে গেলে সে তাদের পরিবারের একজন হয়ে থাকে। তারাও তাকে আপনজন ভাবে। ইতিমধ্যে নাজমুলকে বিয়ে করেছে একটা বাচ্চা ও হয়েছে। তবে নাজমুলের শশুর বাড়ি আমাদের পাশের এলাকায়। তাই নাজমুলের বউ তার শশুর বাড়িতে থাকে। আর নাজমুল প্রতি দিন রাতে গিয়ে ঘুমায় শশুর বাড়িতে।

গতকাল রাত আটটার সময় নাজমুলের ছেলে তাদের চুলা থেকে আগুন নিয়ে পাতার ভিতরে ধরিয়ে দিয়েছে। আসলে আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই দাউ দাউ করে জ্বলে রান্না ঘরে ধরে গেল। এভাবে আস্তে আস্তে আগুন একটা থেকে অন্যটাই ধরতে লাগলো। যদিও সবাই টের পেয়েছে তবে সবাই মিলে চেষ্টা করে ও নেভাতে পারলো না।আসলে আমাদের চারপাশে কোথাও পানি নেয় তাই টিউবওয়েল চেপে আর আগুন নেভানো সম্ভব হলো না।তারপর ফায়ার সার্ভিসের খবর দেয়া হলো। আসলে আসতে একটু সময় লাগবে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে আসতে এদিকে তাদের বাড়িঘর ঘর পুরে ছারখার হয়ে গেল।

যদি ও রাতেই বেলার ঘটনা। তাই হাঁস মুরগি, ছাগল সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। ইস এটা কতটা কষ্টের বলার মতো নয়। তবে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভালো ঠিক কিন্তু ততোক্ষণে সব কিছু পুড়ে গেছে। তাদের বাড়িতে কিছু নেই আর পুড়িতে বাকি। আসলে ছাগল গুলো কিভাবে পুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখলে ভয় লাগে। এখন সবাই তাদের সাহায্যে করতে এগিয়ে এসেছে। সত্যি একটু ভুল আমাদের জীবনে অনেক বড় ক্ষতি বয়ে আনে।আর আমাদের সবারই উচিত আগুনকে সব সময় সাবধানে রাখা। আসলে আগুনে পুড়লে আর নদীতে ভাঙলে তার আর কিছুই থাকে না। যাইহোক অতিরিক্ত তাপমাত্রা তাই সবাই একটু আগুন থেকে সাবধান থাকার চেষ্টা করবেন।আর পুড়ে যাওয়া পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যেন তারা আবার সব গড়তে পারে।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।