ভালোবাসা কোন বাধা মানে না ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
ভালোবাসা কোন বাধা মানে না
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ভালোবাসা গল্পে দুজনের মিলন হলে। তবে বর্তমান কিছু কিছু ভালোবাসা আছে তাতে মিলন হলে অনেক খারাপ লাগে। আর আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে তাই থেকেই গল্পের শুরু হয়।আজও বাস্তব একটা গল্প নিয়ে এসেছি।আসলে আমি গল্প শশুর বাড়িতে আাসার পর থেকে শুনেছি আজ বিশ্বাস হলো।আগে কখনো আমি বিশ্বাস করতাম না । আসলে এই ঘটনাটি আমি অনেক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।আসলে এমন বাস্তব থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
শাহিন ও তন্নী দুজনে ছোট বেলা থেকে অনেক ভালো বন্ধু। তন্নী চার ভাইয়ের এক বোন আর শাহিনরা পাঁচ ভাই।শাহিন ও তন্নীর কাহিনিটা অনেক পুরানো । আসলে পুরানো কাহিনি যখন নতুন করে দেখা দেয় তখন ব্যাপারটা বেশ জমে যায়।যাইহোক তন্নী দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু তন্নী তেমন পড়াশোনায় ভালো ছিল না। অন্য দিকে শাহিন দেখতে অনেক সুন্দর আবার শাহিনরা সবাই ভালো চাকরি করেন। আসলে শাহিন ও তন্নীর মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। তন্নী যখন ইন্টার মিডিয়েট পাশ করে। এদিকে শাহিন তখন অনার্স শেষ করলো।যাইহোক তন্নী ও শাহিনের ভালোবাসার সম্পর্কটা এলাকাবাসী সবাই জেনে গেল। তাই তন্নীর বাবা মা ও ভাই তম্নীকে বিয়ে দেবার জন্য পাত্র খুঁজতে লাগলো। এদিকে তন্নী শাহিনকে অনেক ভালোবাসে তাদের মধ্যে শারিরীক সম্পর্ক হলো।শাহিন ও তন্নীকে বিয়ে করবে কিন্তু শাহিনের পরিবার কিছুতেই তন্নীর সাথে বিয়ে দেবে না।
তারপর তন্নীর বড় ভাই আমেরিকা থাকে সেখানে তার এক বন্ধুর ছোট ভাই ডেন্টালের ডাক্তার। তন্নীর বড় ভাই ও তার বন্ধুর ছোট ভাই ছবি দেখিয়ে পছন্দ করলো। তারপর সবাই মিলে এসে তন্নীকে দেখে যাবে কিন্তু তন্নীর বড় ভাই বললো না একবারে বিয়ে করতে হবে।ছেলে পক্ষ তাতেই রাজি। আসলে তন্নী দেখার মতো একটা মেয়ে। তবে আমি মনে করি চেহারা ভালো হলে কি হবে আমাদের চরিত্রই মেইন। যাইহোক তারা এসে তন্নীকে দেখে রাতারাতি তন্নীকে বিয়ে করে নিল।আসলে ঘটনা সবাই জানলে হয়তো বিয়ে ভেঙে যেতে পারে তাই দেখা মাত্র বিয়ে দিল।যেহেতু তন্নী শাহিনকে ভালো বাসে তাই সেই ডাক্তারকে মেনে নিতে পারলো না।এভাবে কিছু দিন চলে গেল অবশেষে তন্নী ডাক্তারকে মেনে নিল। আসলে ডাক্তারকে মেনে নিলেও সে শহিদকে ভালোবাসে। শাহিনের সাথে তার কথা হয়। শাহিন ও তন্নী দুজনে একদিন হলেও এক হবে তাদের দুজনের প্রতিজ্ঞা।
এভাবে দুই বছর কেটে গেল তন্নীর ঘরে একটা মেয়ে এলো।আবার অন্য দিকে শাহিন ও ভালো চাকরি করে বিয়ে করে নিল।তন্নীর মেয়ের বয়স যখন চার বছর তখন তন্নীর আর একটা ছেলে হলো।আসলে তন্নী শাহিনের সাথে কথা বলেই চলে তবে আস্তে আস্তে কমছে কথা বলা। এভাবে প্রায় বিশ বছর কেটে গেল তন্নী তার স্বামী সন্তান নিয়ে অনেক ভালো আছে। তন্নীর মেয়ে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় চলে গেল অন্য দিকে ছেলে ও ভার্সিটিতে ভর্তি হলো। অন্য দিকে শাহিনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে, সেও বেশ ভালোই আছে ছেলে মেয়ে নিয়ে। তবে তন্নীর স্বামী তন্নীকে অনেক ভালোবাসে।তন্নীকে ঢাকায় একটা ফ্লাট কিনে দিয়েছে। তন্নীর ছেলে-মেয়ে দুটো অনেক ভালো পড়ালেখায়। এদিকে হঠাৎ করে তন্নীর স্বামী হার্ট অ্যাটাক করল। আর হসপিটালে নিতে নিতে তন্নীর স্বামী মারা গেল।তারপর লাশ কয়েক দিন রেখে দিল ফ্রিজে তার মেয়ে আমেরিকার থেকে আসবে তারপর কবর দেবে।এক সপ্তাহ পরে মেয়ে আসার পরে তন্নীর স্বামীর দাফন হলো।[চলবে]
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালোবাসা কোন বাধা মানে না এটা ঠিক, কিন্তু ভালোবাসা এটার মধ্যে ভালোটাই থাকা দরকার খারাপ কোন কিছু না। শাহীন এবং তন্নী দুজন একে অপরকে অনেক বেশি ভালোবাসলেও তারা মিল হতে পারেনি। দুজনের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বিয়ে হয় এবং দুইজনেই দেখছি বেশ সুখে রয়েছে। কিন্তু আমার তো মনে হয় তাদের উচিত হয়নি বিয়ের পরেও দুজনের কথা বলাটা। যাই হোক শেষে তন্নির স্বামীর মৃত্যুর কথা শুনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আমার কাছে। পরবর্তীতে কি হয় এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলে আপু মানুষের পরিবর্তন কিভাবে হয় বুঝা মুশকিল, ধন্যবাদ আপু গল্পটি পড়ার জন্য।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1797626381712658915?t=74P-CtjoW05LcDEmF1ACGg&s=19
ইস! গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো তবে শেষে পড়ে একটু খারাপ লাগলো। যেহেতু আমাদের সমাজে ভালোবাসা গুলো এত বেশি পরিপূর্ণ হয়ে উঠে না। প্রেমের সম্পর্ক গুলো অনেক দূর গড়িয়ে যায় এমনকি আপনি যেভাবে বর্ণনা করলেন স্বামী স্ত্রীর মত হয়ে যায়। কিন্তু শেষমেষ সেই সম্পর্কে একদম ঠিক না। যেহেতু তন্নী তার হাজবেন্ডকে মেনে নিলো তাদের সংসার হলো বাচ্চারা বড় হয়ে গেলো। লাস্ট মুহূর্তে গিয়ে স্বামী মারা গেলো শোনে খুবই খারাপ লাগলো। পরের গল্পের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আপু শীঘ্রই চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য, ধন্যবাদ আপু।
আপনি অনেক সুন্দর একটি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো কিন্তু শেষে একটু খারাপ লাগলো। যদিও তন্নী শাহিনের মিল হয়নি কিন্তু তাদের কথা বলাটা এবং কন্টিনিউ করাটা এটা কিন্তু মোটেও ভালো হয়নি।এরকম কাহিনি আমাদের সমাজে অনেক জায়গা হয়ে থাকে। তবে আমার মতে বিয়ে হওয়ার পরে ভালোবাসা মানুষের সঙ্গে কথা না বলাটাই বেটার। যাইহোক গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং পরবর্তী পাঠ পরার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ভাইয়া এটা ক'জন বুঝে বিয়ের পরে আগের সম্পর্ক রাখা মোটে ও ঠিক নয়, ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ার জন্য।
শাহিন এবং তন্নী আপুর ভালবাসার গল্পটা শুনে বেশ ভালো লাগলো আর এ কথাটা ঠিক বলেছেন যে ভালোবাসা কোন বাধা মানে না এর সাথে আমি একমত । গল্পটা পড়ে মজা পেয়েছি আমি এবং পরবর্তী পার্টের অপেক্ষায় রইলাম আশা করি খুব শীঘ্রই এটি পাবলিশ করবেন।
জি ভাইয়া চেষ্টা করবো তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য।