আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে গিফট পেতে আমার মনে হয় সবার অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এখন বড় হয়েছি তাই হয়তো সবাই তেমন গিফট দেয় না।আসলে আমাদের রেখে বেশির ভাগ সময় বাচ্চাদের গিফট দেয়।সত্যি বলতে বাচ্চাদের দিলেই নিজের গিফট পাওয়া হয়ে যায়।যাইহোক তারপরে যখন কেউ গিফট দেয় তখন অনেক ভালো লাগে। আর গিফট তো গিফট সেটা ছোট হোক কিংবা বড় হোক।তবে কেউ যখন গিফট দেয় তখন গিফট ভালো ভাবে গ্রহণ করলে অনেক ভালো লাগে। আসলে আমরা যতই বলি না কেন গিফট পেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আসলে আমার বড় ননদ প্রায় মাস হয়ে গেল হজ্জ করে দেশে এসেছে। আসলে দেশের অবস্থা যখন অনেক খারাপ ছিল তখন এসেছে। আর আসার পরে সে ঢাকায় ছিল কয়েক দিন। তারপর ফরিদ পুরে বেশ কিছু দিন ধরে এসেছে কিন্তু সময়ের অভাবে বড় ননদের সাথে দেখা করা হয়নি।আমার হাজবেন্ডরা আট ভাইবোন আর সবার বড় আমার বড় ননদ। আসলে বড় মানুষের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য সব সময় বেশি থাকে।যাইহোক আসার পর থেকেই আমাদের বলছে তোমরা সবাই আস আমার সাথে দেখা করে যাও। যদিও আমার অন্য জারা গিয়ে দেখা করে এসেছে কিন্তু আমার আর যাওয়া হয়নি।

তারপর গতকাল একটু সময় পেয়েছিলাম তখন ভাবলাম তাহলে দেখা করে আসি। যেই ভাবা সেই কাজ, সব কিছু সেরে বাচ্চাদের নিয়ে বেলা তিনটার দিকে বেরিয়ে পড়লাম। যেহেতু ননদের বাসা শহরে তারজন্য ভাবলাম মার্কেটে একটু কাজ আছে সেরে তারপর বাসায় যায়।এদিকে আমি বাচ্চাদের নিয়ে মার্কেটে গিয়েছি অন্য দিকে আপনাদের ভাই তার বোনের বাসায় চলে গিয়েছে। তারপর তাড়াতাড়ি করে বাচ্চাদের নিয়ে চলে গেলাম তখন বেলা পাঁচটা বাজে।এদিকে আবার ছয়টার ভিতরে চলে আসতে হবে।যাইহোক আমাদের যাবার কথা শোনে দুপুরে ভালো মন্দ রান্না করেছি কিন্তু আমরা বাসা থেকে খেয়ে গিয়েছি তাই আর খাওয়া হয়নি। তারপর সবার সাথে কথা বললাম। যখন চলে আসবো তখন আমার ননদ সবাইকে ডেকে গিফট গুলো দিল।জায়নামাজ, তসবি, চকলেট, আতর, খেজুর, চাবির রিং।বাচ্চাদের জন্য হাত ঘড়ি বেসলেট ইত্যাদি দিয়েছে। সত্যি বলতে চকলেট বাসা থেকে আনতে আনতে বাচ্চাদের খাওয়া শেষ।

গিফট গুলো পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আসলে কেউ গিফট দিলে অনেক ভালো লাগে। আমার মেয়ে তো অনেক খুশি তার ঘড়ি ও তারজন্য তসবি দিয়েছে দেখে। আসলে এমন গিফট পেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমার বড় মেয়ে বলছে আম্মু ফুফি আমেরিকা থেকে হজ্জ করতে গিয়ে বেশি কিছু এনেছে। সত্যি বাচ্চারা হাজার টাকার জিনিসে যা খুশি না হয়, তারচেয়ে বেশি খুশি হয় এই ধরনের গিফট পেয়ে। যাইহোক গিফট গুলো অনেক ভালো লেগেছে। আসলে গিফট যাইহোক ভালো ভাবে গ্রহণ করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আর গিফট গুলো আমারো অনেক পছন্দ হয়েছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে