আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আর সেই ঘুরাটা যদি হয় প্রকৃতির মাঝে তাহলে তো কথায় নেই। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ।আসলে আমাদের দেশের প্রকৃতি অনেক সুন্দর। এদেশের প্রকৃতির মাঝে ঘুরলে মন প্রাণ জুড়ে যায়। আমাদের বাড়ির পাশেই নদী অনেকে হয়তো জানেন।যদিও নদীতে যেতে পাঁচ মিনিট লাগে কিন্তু আমি অনেক কম যায়।ধরা চলে যায়না তবে বিকেল বেলা সবাই মিলে এভাবে নদীর পাড়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। তবে নদীতে পানি দেখতে ও নতুন ব্রিজ দেখতে গিয়ে অনেক সময় ঘোরাঘুরি করেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমরা বেশ কয়েক জন মিলে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আসলে বিকেল বেলা নদীর পাড়ে ঘুরার মজাই আলাদা। তবে এখন নদীতে অনেক পানি। নদী ভরা পানি অনেক দিন দেখিনি।আসলে অন্য জায়গায় বন্যা হচ্ছে আর বন্যার পানি এসে আমাদের নদী ভীরে গিয়েছে। আসলে এখন নদীতে অনেক পানির প্রয়োজন কৃষকদের। এই সময় কৃষকদের পাটের সিজন। আর পাট নিতে হলে তাদের পানির প্রয়োজন। যাইহোক আবার বেশি পানি হলেও কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়। তবে নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে অনেক ভালো লেগেছে।

কিছু দূর যেতেই দেখলাম জেলে ভাই জাল ফেলে নদী থেকে অনেক মাছ ধরছে।আসলে নদীতে পানি বাড়ার জন্য হয়তো বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে।আসলে নদীর মাছ খেতে অনেক মজার। তারপর জেলে ভাইকে বলে বেশ কিছু মাছ অর্ডার করে আসলাম। সকালে আমাদের দিয়ে যাওয়ার জন্য। আবার অনেকে নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরছে। আমার জা বলেছিল আমরা সবাই নৌকায় ঘুরতে যাব।কিন্তু আমার অনেক ভয় লাগে তারপর প্রায় সন্ধ্যা তারজন্য আর কেউ নৌকায় উঠিনি।সত্যি এমন দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।

কিছু দূর যেতেই নীতে এক লোক পাট ধুচ্ছে। আসলে এবার নদীতে পানি বেশি থাকার জন্য নদীর পানি নষ্ট হয়নি।যাইহোক নদীর পাড়ে গিয়ে আমরা আমাদের মতো ঘুরছি এদিকে বাচ্চারা পাটের ওপর বসে অনেক মজা করছে।সত্যি বলতে আমরা ছেট বেলা এভাবে অনেক মজা করতাম।

আমাদের নদীতে নতুন ব্রিজ হয়েছে , যদিও ব্রিজটি এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। তবে অনেক সুন্দর করেছে। সকাল বিকেল ব্রিজের ওপর ফুচকা ও চটপটি বিক্রি করে থাকে। যদিও আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ফুচকাওয়া ছিল না। তবে পরবর্তীতে আমার মেয়ে ফুচকা কিনে এনেছে।আসলে এমন প্রকতির মাঝে ঘুরতে ভালো লাগে। আসলে আমরা বেশ আনন্দে কাটিয়েছিলাম।অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।