এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো ১ম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো ১ম পর্ব

1000009505.jpg

source

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লেখার চেষ্টা করি।আসলে আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত যে সকল ঘটনা ঘটে যায় সেগুলো থেকেই গল্পের সৃষ্টি হয়। সত্যি বর্তমান সমাজে এমন কিছু সন্তান আছে যা বলে শেষ করা যায় না। আসলে বাবা মা তার সন্তান কে জন্মের পর থেকে আদর স্নেহ দিয়ে বড় করে তোলে। তবে সন্তান যখন কর্মজীবী হয় তখন বাবা অনেক আনন্দ পায়। যদি ও সব সন্তান তার বাবামাকে দেখে না বলেই চলে। বাবা মা কিন্তু কখনো তার সন্তানের কাছ থেকে কিছু আশা করে না।তারা চায় সন্তানের একটু ভালোবাসা। কিন্তু কজন সন্তান বাবামাকে আগলে রাখতে পারে। আসলে বাবা-মা দশটা সন্তানকে মানুষ করতে পারে কিন্তু দশটা সন্তান একজন বাবা মার দায়িত্ব নিতে পারে না ।আজ এসেছি এমন একটি বাস্তব গল্প নিয়ে। হায়রে সন্তান।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

এক বৃদ্ধ বাবার পাঁচটা সন্তান ছিল। তিনটি মেয়ে ও দুইটি ছেলে তবে তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আসলে মেয়েরা যতই চায় বাবা মাকে দেখতে কিন্তু স্বামীর অনুমতি ছাড়া দেখতে পারে না। আসলে সবাই ইচ্ছে করলেই সব পারে না।যাইহোক হামিদ চাচার দুই ছেলে একজন বাড়ির সংসারি করে আর অন্যজন চাকরি জীবী।হামিদ চাচার যেহেতু স্ত্রী মারা গেছে তাই সে বাড়িতে বড় ছেলের কাছে থাকে। তবে হামিদ চাচা নিজে একাই রান্না করে খায়, যদিও হামিদ চাচার যাবতীয় খরচ তার ছোট ছেলে দেয়। তবে মেয়েরা তাকে নিতে চায়লেও সে যায় না। ছোট ছেলের বাসায় মাঝে মাঝে কিছুদিন গিয়ে থেকে আসে আর বাড়িতে থাকে। আসলে আমার মনে হয় হামিদ চাচা কেন কোন চাচাই তার বাড়ি থেকে কখনো কোথাও যেতে চাই না। যাইহোক হামিদ চাচা বেশ ভালোই চলাফেরা করে মোটামুটি ভালোই আছে।

একদিন হঠাৎ হামিদ চাচার চোখে সমস্যা দেখা দিল। তারপর হামিদ চাচার ছোট ছেলে বড় ভাইকে বললো আমি টাকা পয়সা পাঠিয়ে দিই তুমি বাবাকে চোখের ডাক্তার দেখিয়ে দেও।আসলে আমি অনেক দূরে তারপর ছুটি নেই।কিন্তু বড় ছেলে কোনরকম ছোট ভাইয়ের কাছে রাজি হলো। তারপর তার বাবাকে বললো তুমি তোমার কোন মেয়ে বা মেয়ের জামার সাথে যাও।কি আর করা সন্তান খারাপ হলে কিছু করার থাকে না। যাইহোক যেহেতু চোখে অনেক সমস্যা ডাক্তার দেখাতেই হবে যেভাবেই হোক। তারপর হামিদ চাচা তার মেজ মেয়ের জামাই এর সাথে ডাক্তার দেখাতে গেল।ডাক্তার পরিক্ষা নিরীক্ষা করে বললো সামনে সপ্তাহে অপারেশন করতে হবে।

আর ডাক্তার অপারেশন করার তারিখ দিল সোমবারে । সে হলো আবার আরেক যন্ত্রণা। আসলে মেয়েরা দূরে থাকে আবার কাছের মেয়ের কোলে ছোট বাচ্চা। আর মেয়ে ঢাকায় থাকে তার ছেলের এসএসসি পরীক্ষা চলছে। কিন্তু তাদের বাবার কাছে এক রাত থাকবে সেই সময় কারো নেই। আর ছোট ছেলে সোমবার পর্যন্ত ছুটি ছিল। আসলে শুক্র শনি ব্যাংক বন্ধ আর রবি সোম কিন্তু ছুটি কিন্তু মঙ্গলবারে কিছুতেই ছুটি নিতে পারছে না। তাই সোমবারে অপারেশন করার পরে ছোট ছেলে চলে আসবে। কিন্তু সেই রাতে কে থাকবে সেই লোক নেই। আসলে কতোটা খারাপ যে টাকা পয়সা সব একজন দেবে কিন্তু একটু সাথে থাকবে তা থাকবে না।এই হলো সন্তানের নমুনা। তবে বাবা কিন্তু সব সময় বড় ছেলের জন্য পাগল।তারপর ছোট ছেলে আর তার এক বন্ধু নিয়ে তার বাবাকে অপারেশন করতে নিয়ে গেল।(চলবে)


প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

প্রত্যেকটা সন্তানকে তার বাবা-মা ছোট থেকে আদর যত্নে বড় করে। কোন কিছুতেই কমতি রাখার চেষ্টা করেনা। কিন্তু সেই বাবা মায়ের বৃদ্ধ বয়সে সেই সন্তান গুলোই পাশে থাকে না বাবা-মায়ের যত্ন নেয় না। ছোট ছেলে তো সকল খরচ দিতেও বাবার। কিন্তু বড় ছেলে তো দেখছি সব থেকে বেশি খারাপ ছিল। কিন্তু তিনি তো নিজের বড় ছেলের জন্য বেশি পাগল। যে কিনা বাবার পাশেই থাকে না। সেবা যত্ন তো দূরের কথা। ছোট ছেলে তার এক বন্ধুকে নিয়ে অপারেশন করতে নিয়ে গিয়েছিল শুনে ভালো লাগলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

 6 months ago 

আসলে আপু মা-বাবা এমনি যে ছেলে দেখে না তার প্রতি বেশি দুর্বলতা কাজ করে। ধন্যবাদ আপু

 6 months ago 

আমি মনে করি এমন দুষ্টু সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। কারণ একটা সন্তান যখন সরাসরি দেখবেন যে এমন খারাপ ব্যবহার করতেছে। এগুলো মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের। আমাদের সমাজে এমন ঘটনা প্রতিটি ঘরে ঘরে হচ্ছে। সবাই কিন্তু প্রকাশ করতে চাই না। আবার কিছু কিছু প্রকাশ হয়ে যায়। খুবই খারাপ লাগলো ঘটনাটি পড়ে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম।

 6 months ago 

আসলে আপু প্রকাশ করতে কোন বাবা-মায় চায় না কিন্তু এগুলো গোপন থাকে না। ধন্যবাদ। আপু মন্তব্যের জন্য।

 6 months ago 

এরকম কিছু সন্তান রয়েছে যারা বৃদ্ধ বয়সে বাবা মায়ের খেয়াল রাখে না। যে বাবা-মা তাদেরকে ছোটবেলা থেকেই বড় করেছে তারা সেই বাবা-মাকে যত্ন করে না। হামিদ চাচার বড় ছেলে কখনো ওনার যত্ন নিতো না। ছোট ছেলে তো বাবার সব দায়িত্ব নিয়েছিল, শুধু বড় ছেলের কাছে তিনি থাকতেন। বড় ছেলের উচিত ছিল উনার চোখের সমস্যা হওয়ার পর ডাক্তারের কাছে নেওয়া। কিন্তু তিনি এরকমটা না করে তোমাকে মেয়েদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিল। শেষ পর্যন্ত ছোট ছেলে বাবাকে নিয়ে গিয়েছিল অপারেশন করানোর জন্য। এরপর কি হবে এটা শিঘ্রই দেখতে পাবো আশা করছি।

 6 months ago 

আসলে ভাইয়া বড় ছেলের উচিত থাকলেও সে তো করবে না। জি ভাইয়া চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

ছেলে সন্তান বেশি হলেও মা-বাবা সেবা করে না। সেবা করার জন্য একজনে যথেষ্ট। তবে আপনার গল্পটি পড়ে হামিদ সাহেবের জন্য খুব খারাপ লাগলো। মা বাবা ছেলেমেয়েকে অনেক আদর করে বড় করে। অথচ ছেলেমেয়েরা বড় হলে মা-বাবার কথা যেন ভুলে যায়। তবে টাকা দিয়ে কি হবে হামিদ সাহেবের যদি পাশে কেউ না থাকে। যাই হোক অপারেশনের জন্য ছোট ছেলে আর বন্ধু যাচ্ছে শুনে ভালো লাগলো। আসলে কষ্টের পোস্ট গুলো পড়লে নিজের কাছেও খারাপ লাগে। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আপু।

 6 months ago 

আসলে ভাইয়া টাকা না হলেও তো অপারেশন করা সম্ভব না। যদি কেউ টাকা না দিতে পারে পাশেও থাকতে পারত।ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আসলে আপনি একদমই ঠিক বলেছেন। এরকম ছেলে থাকার চেয়ে না থাকাই অনেক ভালো৷ কারণ পিতা-মাতা সব সময় তাদের সন্তানদেরকে ছোট থেকে বড় করে তোলে এবং তাদের জন্য অনেক কষ্ট করে৷ যখন তারা বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন ছেলেরা যখন তাদের খোঁজখবর নেয় না তখন অনেক কষ্ট হয়৷ এখানে এই ব্যক্তির বড় ছেলে যখন এই ব্যক্তির কোন ধরনের যত্ন নিল না এবং যখন উনার চোখের সমস্যা হলো তখন তার উচিত ছিল যে তাকে চোখের ডাক্তার দেখানো৷ কারন চোখ নিয়ে অবহেলা করা কখনো উচিত নয়। পরবর্তীতে তার ছোট ছেলে তাকে নিয়ে যায়৷
পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷

 6 months ago 

আসলে ভাইয়া শুধু সন্তান কেন যারে দিয়ে কোন কাজে লাগবে না সে কোন সমাজে চলে না। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পরে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 6 months ago 

এরকম সন্তান এর এই পৃথীবিতে থাকারও কোনো প্রয়োজন মনে করি না আমি৷

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন

 6 months ago 

গল্পটি পড়ে খারাপ লাগছে।সন্তানদের জন্য বাবা মা সর্বস্ব দিয়ে থাকে ছেলে মেয়েদের জন্য কি না কি করে কিন্তুু সত্যি বৃদ্ধ বয়সে আর বাবা,মাকে কেউ সেবা যত্ন করে না।খুব খারাপ লাগলো পোস্ট টি পড়ে।পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষা রইলাম।

 6 months ago 

আসলে আপু এমন ঘটনা খারাপ লাগারি কথা, ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58211.91
ETH 2476.26
USDT 1.00
SBD 2.38