বিএডিসি বীজ ভবনে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বিএডিসি বীজ ভবনে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজও আমি ও আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আর সেই ঘুরাটা যদি প্রিয় কেন জায়গায় হয় তাহলে তো কথায় নেই। বেশ কিছু দিন আমরা পরিবারের সবাই মিলে বিএডিসি বীজ ভবনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল বীজ ভবন দেখার। কিন্তু সে সুযোগ পাওয়া হয়নি। তাই বিএডিসি বীজ ভবন এর কাছে একটা অনুষ্ঠানে যখন গিয়েছিলাম তখন যেহেতু সুযোগ ছিল তাই সবাই মিলে চলে গেলাম বীজ ভবনে।আসলে ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আর সেই ঘুরাটা যদি প্রিয় কোন জায়গায় হয় তাহলে তো কথায় নেই। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা প্রথমে বিএডিসি বীজ ভবনের ভিতরে ডুকলাম। আসলে আমরা গিয়েছিলাম দুপুরে। আর দুপুর বেলা শীতের সময়ে হালকা রোদ ছিল ঘুরতে বেশ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে চারপাশ দিয়ে অনেক ফুল গাছ ছিল কিন্তু অনেক রোদ ছিল যার জন্য আমরা ভিতর দিয়ে বেশি ঘোরাঘুরি করেছি। তবে ভিতরে সবাইকে যেতে দেয় না। আমাদের লোক ছিল বিধায় আমরা ভিতরে বেশ ভালো করে ঘুরে দেখতে পেরেছি।
আমাদের মতো অনেকেই এভাবে ঘুরতে এসেছে। তবে আমার জারা সবাই ভিতরে বসে বেশ কিছু সময় কথা বলছিল।কিন্তু আমার মেয়ে ও দেবরের ছেলে ও নাতনি ছিল উরা সবাই মিলে বাইরে খেলছিল তাই আমি ওদের পাহারা দিতে লাগলাম। আসলে এমন খোলা জায়গায় খেলতে উরা অনেক পছন্দ করে।তারপর জায়গাটা সত্যি অনেক সুন্দর। সবাই মিলে খেলা তবে মনের অমিল হলে ঝামেলা লাগতে সময় লাগে না। তারজন্য আমি রুমের ভিতরে না গিয়ে ওদের খেলা দেখছি আর ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
তারপর আমরা সবাই মিলে বেশ কিছু সময় বাইরে সবারই মতো সময় কাটাতে লাগলাম। আসলে চারপাশের সবুজ প্রকৃতি দেখে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এমন খোলা পরিবেশে যে যার মতো সময় কাটাতে পারছে।আর নিজের ইচ্ছে মতো চারপাশের ঘোরাঘুরি করছে।তবে হালকা শীত থাকার জন্য আর রোদ বেশি মিষ্টি লেগেছিল। শুধু বাচ্চারা নয় আমাদের ও অনেক ভালো লেগেছিল বিএডিসিতে সময় কাটাতে। আসলে এমন খোলা মেলা পরিবেশে প্রকৃতির মৃদু হাওয়ায় সময় কাটাতে সবারই ভালো লাগে।
তারপর বাচ্চারা চলে গেল ফুল বাগান দেখতে। আসলে পাশে এভাবে সারি সারি গাঁদা ফুল দেখে মন প্রাণ ভরে গেল।যেহেতু শীতের সময় তাই ফুল গুলো অনেক সতেজ ছিল। তবে একটা ফুল ছিঁড়তে দেওয়া হয়নি। আসলে ফুলের ভিতরে যেতে দেয়নি তবে আমাদের পরিচিত লোক থাকায় ভিতরে গিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। যদিও ফুল আনার আমার অনেক ইচ্ছে ছিল কিন্তু আমার জা ঠিক ফুল নিয়ে এসেছে। আসলে ফুল দেখলে মনে হয় ছিড়তে।
তারপর আমাদের ঘোরাঘুরি শেষ হলে আমরা আসার সময় সামনে পড়ল বাদাম ওয়ালা চাচা। এমন ঘোরাঘুরি করার সময় বাদাম খেলে মন্দ হয় না। তারপর আমরা কিছু বাদাম কিনলাম। আর সামনে এমন খেলনা পেলে বাচ্চাদের কিনে তো দিতেই হয়। তবে এখানে তো অনেক জিনিসের তুলনায় দাম অনেক। তারপরে স্মৃতি হিসেবে কিছু তো কিনে দিতেই হয়। সব মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিএডিসি বীজ ভবন এর কাছে একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সুযোগ থাকার কারণে সবাই মিলে চলে গেলাম বীজ ভবনে। অনুষ্ঠানের কাছে বাদামের দাম আসলে অনেক বেশি আপু।বিএডিসি বীজ ভবনে কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।