হঠাৎ রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
হঠাৎ রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার মূহুর্ত নিয়ে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন কয়েক দিন আগে আমার ভাগ্নের বিয়ে হয়েছে। যদিও বিয়ের পোস্ট এখনো আপনাদের মাঝে শেয়ার করিনি। যাইহোক ভাগ্নের বিয়ের মার্কেট করতে গিয়েছিলাম। আমরা সকাল সকাল বের হলাম যেন তারাতাড়ি চলে আসতে পারি। তবে বিয়ের মার্কেট চাইলে ও আসতে পারি না। আমরা সব কিছু কিনতে কিনতে যখন স্বর্ণকারের দোকানে যাবে তখন প্রায় দুটো বাজে তাই আমরা সবাই মিলে আগে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আসলে দুপুর বেলা তাই আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম ভাত খাওয়ার জন্য। যাইহোক সামনে পড়ল সুলতানী ভোজ রেস্টুরেন্ট তাই আমরা সবাই চলে গেলাম।
আমরা যখন রেস্টুরেন্টে গেলাম তখন তেমন ভীর ছিল না আবার একেবারে কম ও ছিল না। যেহেতু আমাদের বাসায় এসে খেতে দেরি হবে তাই আমরা খেতে গিয়েছি।তবে যাবার সাথে সাথে সামনে কিছু মাছের রেসিপি পড়লো। তাই দেখে আমার ছোট ভাগ্নে বললো আমি এই রেস্টুরেন্টে এ খাব না। এখানে মাংস নেই।
তারপর আমরা সিঁড়ি দিয়ে রেস্টুরেন্টে এর ভিতরে গিয়ে বসলাম।ভিতরে বেশ কিছু লোক বসে আছে। অনেকেই অনেক কিছু খাচ্ছে। তারপর আমরা ভাত, ভর্তা, চিকেন ও বাইম মাছ, ডাল অর্ডার করলাম। অর্ডার করে আমরা কিছু সময় বসে রইলাম। তখন আমার ছোট ভাগ্নের জন্য পোলাও অর্ডার করা হয় নাই, তার জন্য সে মন খারাপ করে বসে আছে। তারপর আবার অর্ডার দেওয়া হলো পোলাও।
তারপর আমরা সবাই টেবিলে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কয়েক মিনিট পরে ওয়েটার এসে আমাদের প্লেট দিয়ে গেল।তারপর আমরা সবাই প্লেট সামনে করে ভাতের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম । আসলে এমনিতে অনেক সময় অপেক্ষা করা যায় কিন্তু প্লেট সামনে করে আর বসে থাকা যায় না। প্লেট দেবার পর প্রায় দশ মিনিট বসে থাকতে হলো।
কিছু সময়ের মধ্যে ওয়েটার ভাত ও বাইম মাছ নিয়ে হাজির হলো।আসলে আমার বড় বোন খেতে চেয়েছিল বাইম মাছ তাই আগে বাইম মাছ দিয়ে গেল।
তারপর উনারা সব ধরনের ভর্তা নিয়ে আসলো। আর চিকেন তো আছেই। আমি প্রথমে ডিম ভর্তা দিয়ে খেলাম । ডিম ভর্তা দিয়ে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তারপর চিকেন নিলাম তবে চিকেন খেতে আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি। তবে বাইম মাছ একটু নিলাম বাইম মাছ খেতে অনেক ভালো লেগেছিল।যাইহোক চিকেন ছাড়া বেশ ভালোই লেগেছে খেতে।
তারপর আমার ছোট ভাগ্নে পোলাও অনেক মজা করে খেয়েছে। সত্যি বলতে আমার ভাগ্নের কাছে পোলাও চিকেন দিয়ে খেতে অনেক ভালো লেগেছে। যাইহোক সবাই মিলে দুপুরে বেশ ভালোই খাবার খেয়েছি। চিকেন বাদে অন্যান্য খাবার গুলো অনেক ভালো ছিল। বিশেষ করে ভর্তার তুলনা হয় না। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বিয়ের কেনাকাটা সময় ধরে করা যায় না।যেহেতু কেনাকাটা করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো। তাই আপনারা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য গেলেন।ভর্তা,বাইম মাছ মজার হলেও চিকেন খেতে ভালো লাগেনি বললেন।সত্যি কথা বলতে একই রেস্টুরেন্টের সব খাবার খুব কমই ভালো হয় আপু।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু সব খাবার ভালো হয় না, ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে বিয়ের কেনাকাটা করতে গেলে সময় ধরে কেনাকাটা করা হয় না যাইহোক কেনাকাটা করতে করতে দুপুর হয়ে গেল সেজন্য আপনারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে রেস্টুরেন্টে খাবেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভাত বাইম মাছ ভর্তা এবং চিকেন অর্ডার করলেন । ভর্তা বাইম মাছ খেতে আপনার ভালো লাগলেও চিকেন খেতে ভালো লাগেনি আসলে হোটেলের সব খাবার তেমন একটা ভালো হয় না। যাইহোক ভাগ্নির বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে সবাই মিলে ভালোই খাওয়া-দাওয়া করলেন। হঠাৎ করে হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার অনুভূতিটা পরে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু হোটেলে খাওয়ার অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু সব খাবার ভালো ছিল তবে চিকেন তেমন ভালো ছিল না,ধন্যবাদ আপু।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার খুব সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশি ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই মুহূর্ত দেখতে পেলে। মাঝেমধ্যে এমন ভাবে বাইরে পরিবেশে খেতে যাওয়ার মজা আলাদা। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর এই মুহূর্ত দেখে।
আপনি ঠিক বলেছেন বাইরে খাওয়ার মজাই, ধন্যবাদ আপু
আমরা আপনার ভাগ্নের বিয়ের পোস্ট দেখতে চাই আপু। আপনার ভাগ্নের বিয়ের মার্কেট তাহলে খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে হয়েছে।মার্কেট শেষ করে সুলতান ভোজ এর মধ্যে খাওয়া দাওয়া করছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। সুলতান ভোজের খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই উন্নত মানের। যাইহোক আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
জি ভাইয়া চেষ্টা করবো তারাতাড়ি বিয়ের ছবি গুলো শেযার করার জন্য।
শপিং শেষে সুলতান ভোজ এর মধ্যে খাওয়া দাওয়া করছেন যেনে ভালো লাগলো।আসলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করতে গেলে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে।আর বিশেষ করে রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন প্রকার ভর্তা থাকে সেগুলো দিয়ে খাওয়া হয়ে যায়। যদিও তার পাশাপাশি চিকেন বা অন্যান্য কিছু নিতে হয়। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা সবাই জানি কয়েকদিন আগে আপনার ভাগ্নের বিয়ে হয়েছে। আর সেই বিয়ের পোস্ট দেখার অপেক্ষায় আমরা রয়েছি। যাইহোক আপু বিয়ের শপিং করতে গিয়েছেন আর সেই ফাঁকে খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো। শপিং করতে গেলে খুদা অনেক বেড়ে যায়।
জি আপু তারাতাড়ি বিয়ের পোস্ট শেয়ার করবো, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যখনই সুযোগ পাই আমি চলে যাই। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। এখন তো রেস্টুরেন্টে মানুষ খাওয়ার থেকে ছবি তোলার জন্য বেশি যায় কারণ অনেক রেস্টুরেন্ট আছে সুন্দর ডেকোরেশন। হরেক রকমের আইটেম দেখতে পেলাম। বেশ লোভ লেগে গেল। অসাধারণ ছিল আপনাদের মুহূর্তটি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য