কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে।আজ এসেছে রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে।ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ও করতে আমার কাছে ভালো লাগে। তাই সময় পেলে আর ভালো কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করতে কখনো মিস করি না। গতকাল গিয়েছিলাম আমার বড় ভাসুরের বাসায়। দুপুরে আমরা খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট নিয়ে চলে গেলাম ছাদ বাগানে। আসলে বাসায় আমরা মাঝে মাঝেই যাই কিন্তু অনেক দিন হলো ছাদে যাওয়া হয়নি। আসলে আমার মেয়ে কবুতর আনবে তারজন্য মূলত ছাদে উঠা।তবে ছাদে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছে।বিভিন্ন ধরনের সবজি,ফুল ও ফুলের গাছ। যেহেতু এখনকার দিন অনেক ছোট তারজন্য সব গুলো গাছের ফটোগ্রাফি করা হয়নি।আসলে ছাদ হলো দুটি তাই আমরা এক ছাদে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।সবজি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে ।তবে কিছু কিছু ফটোগ্রাফি করেছি তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
ফটোগ্রাফি -১
তবে এটা কিন্তু ছাদ বাগানের ফটোগ্রাফি নয়। আমি যখন ডাক্তারের কাছে যায় তখন যাবার সময় একটা পুকুরে এভাবে অনেক শাপলা ফুল ফোটে ছিল। শাপলা ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু সময় ফুল গুলো দেখেছিলাম। আর দূর থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার মেয়ে বললো আমার জন্য কিছু ফুল নিয়ে আসতে।আমি তাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি ফুল গুলো পানিতে তাই আনা সম্ভব নয়। কিন্তু সে আনতে যাব।তবে দূর থেকে হলেও ফুল গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
ফটোগ্রাফি -২
এই ফল হয়তো আমরা সবাই চিনি।এটি হচ্ছে সফেদা ফল।এই ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টি। এই ফল গুলো খেতে অনেক মজা। আমাদের বাড়িতে অনেক বড় একটা সফেদা ফল গাছ রয়েছে আবার প্রতি বছর অনেক সফেদা ধরে। কিন্তু গাছ অনেক বড় আর ফল গুলো ওপরে হওয়ায় বেশির ভাগ বাঁদুড়ে খায়। কিন্তু এটি ছাদে নতুন গাছে ধরছে তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। ফল গুলো দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন মিষ্টি।
ফটোগ্রাফি -৩
এ ফলটি হয়তো আমাদের অনেকেরই পরিচিত। এটি ড্রাগন ফল। আসলে ড্রাগন ফলে রয়েছে অনেক ভিটামিন। বেশি বেশি ড্রাগন ফল খেলে রক্তশূন্যতা পূর্ণ হয়।আর যদি এভাবে নিজের হাতে গাছ লাগিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তো কথায় নেই। গতকাল আমরা যখন ছাদ বাগানে গিয়েছিলাম তখন এভাবে ড্রাগন ফল দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আসলে বেশ কয়েকটি ড্রাগন ফল গাছ রয়েছে আবার সব গুলোতেই কম বেশি ফল ধরেছে।সত্যি ফল গুলো খেতে অনেক মজার।
ফটোগ্রাফি -৪
এই গাছটি হলো অ্যালোভেরা গাছ। অ্যালোভেরা গাছ হয়েছে বাগানে। অ্যালোভেরা গাছ গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। সত্যি গাছের সৌন্দর্য দেখে অনেক ভালো লাগে। আর এই গাছে রয়েছে অনেক উপকার। তবে গাছটি আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যায় দেখতে অনেক ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি -৫
এটি হচ্ছে কামরাঙ্গা ফল। এই ফলটি মাখিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। আমাদের বাড়ির কামরাঙ্গা ফলটি অনেক মিষ্টি। আর এই ফলটি খেতে মজা। আর কামরাঙ্গা পুড়িয়ে খেলে কাশির জন্য অনেক ভালো। আমরা যখন ছাদে কিছু কামরাঙ্গা ফল দেখলাম বেশ ভালো লেগেছিল তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।
ফটোগ্রাফি -৬
এই ফুল গুলো দেখতে অসাধারণ। এই নয়নতারা ফুল গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সাদা রঙের ফুল গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। গতকাল ছাদে গিয়ে দেখলাম অনেক নয়নতারা ফুল রয়েছে। তবে অন্য ফুল গুলো আমাদের বাগানে ছিল। কিন্তু সাদা রঙের ফুলটি ছিল না তাই কিছু সাদা রঙের নয়নতারা ফুল গাছ এনেছি।সত্যি ফুল গুলো অনেক সুন্দর।
ফটোগ্রাফি -৭
এই ফলটি আমরা সবাই চিনি।এটি হচ্ছে মালটা ফল।আগে শুধু মালটা ফল খেয়েছি কিন্তু জানতাম না ফলটি নিজেরা লাগালেও ধরে। তাই আমাদের বাগানে কয়েকটি মালটা গাছ রয়েছে মালটা ও ধরেছিল কিন্তু টক ছিল। আর এই মালটা শুনেছি মিষ্টি কিন্তু আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন মালটা পাকেনি তাই খেয়ে দেখতে পারিনি।তবে ফটোগ্রাফি করেছি ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
ছাদ বাগান থেকে দারুন দারুন ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন আপু। ড্রাগন ফল সত্যি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে ড্রাগন ফল দেখতে যতটা সুন্দর খেতে ততটা সুস্বাদু না। এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আপনার বড় ভাসুরের বাসায় গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। সেখানে গিয়েও দেখছি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে সুন্দর কোন কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে। দারুন হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/8) Get profit votes with @tipU :)
খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষত ড্রাগন টা দেখে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। কারণ ড্রাগন টা একদম কাঁচা অবস্থায় আছে। তার পাশাপাশি নিচে যে মালটার ছবি শেয়ার করছেন এগুলো অনেক সময় মিষ্টি হয় আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টক হয়।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো আপু ।
অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে আসলেই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ড্রাগন ফলের ফটোগ্রাফি এবং নয়নতারা ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1840374788084388130?t=LyOxgG2x8xic3wwvKU7g8w&s=19
আপু আপনি আজ দারুন কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।যার প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার লেগেছে।বড় ভাসুরের বাসায় গিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন।আমার কাছে খুব ই ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো।
ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। শাপলা ফুল, নয়নতারা ফুল, অ্যালোভেরা, সফেদা, মালটা, ড্রাগন, কামরাঙ্গা সব মিলিয়ে দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছাত বাগানের দৃশ্যের ফটোকপি গুলো আসলেই অনেক সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে কামরাঙ্গা ফল গাছটি দেখে খুবই ভালো লাগলো কারণ কামরাঙ্গা ফলটি সব জায়গায় খুব একটা পাওয়া যায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।