এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো ২য় বা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো ২য় বা শেষ পর্ব

1000009505.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে পৃথিবীতে বাবা মা তার সন্তানকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে কিন্তু সন্তান সেই ভালোবাসার মূল্য দিতে চায় না।যাইহোক হামিদ চাচার মতো আমাদের সমাজে এমন অনেক চাচাই আছে বৃদ্ধ বয়সে অসহায়। আসলে আমরা সবাই দাঁত থাকতে কখনো দাঁতের মর্ম বুঝতে চায় না।যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

হামিদ চাচাকে যখন তার ছোট ছেলে আর তার বন্ধু নিয়ে গেল।যেহেতু অপারেশন এর দিন ছিল সোমবার। তাই তারা সকাল সকাল চাচাকে নিয়ে গেল হসপিটালে।আসলে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর পরই হামিদ সাহেবের চোখ অপারেশন করা হয়ে গেল। হামিদ সাহাবের অপারেশন করার পরে তার ছোট ছেলে চলে গেল হসপিটাল থেকেই ব্যাংকে।সেই দিন রাতে হামিদ সাহেবের কাছে তার ছোট ছেলের বন্ধু থাকলো।পরের দিন সকাল সকাল হামিদ সাহেবকে হসপিটালে থেকে ছেড়ে দিল। এখন হামিদ সাহেব কোথায় যাবে?

হামিদ সাহেবের ইচ্ছে নিজের বাড়িতে থাকার কিন্তু হামিদ সাহেবের ছোট ছেলের ইচ্ছে বাড়িতে না যাক।আসলে বাড়িতে গেলে হামিদ সাহেবের যত্ন হবে না ঠিক মতো। আসলে যে ছেলে বাবাকে দেখতেই গেল না তবে যত্ন কিভাবে নিভে। তারপর হাসপাতাল থেকে হামিদ সাহেবকে তার মেঝ মেয়ের বাড়িতে নিয়ে গেল। সেখানে এক সপ্তাহ চলে গেল। বড় ছেলে তার বউ কেউ দেখতে গেল না হামিদ সাহেবকে। তবে তার মেয়েরা দেখতে গিয়েছে। ডাক্তার আবার দশ দিন পরে আবার দেখানোর জন্য যেতে বলল।এখন আবার সেই সমস্যা দেখানো মতো লোক নেই। আসলে নিয়ে আসার মতো শুধু বড় ছেলেই আছে তবে সে তো যাবে না। যাইহোক হামিদ সাহেব মেয়ের বাড়িতে বেশ ভালোই আছে।

কিছু দিন যাওয়ার পরে হামিদ সাহেবে অন্য মেয়ের বাড়িতে গেল। মেয়েরা হামিদ সাহেবকে অনেক ভালোই রেখেছে। আসলে হামিদ সাহেব যতই ভালো থাক না কেন তার মুখে শুধু তার বড় ছেলের কথা। কিন্তু বড় ছেলে কখনো দেখতে এলো না। তারপর হামিদ সাহেব চোখটা একটু কমে গেল তখন হামিদ সাহেব বাড়িতে যাবে।কিন্তু হামিদ সাহেবের ছোট ছেলে বললো সামনে ঈদ আমি আসব তারপর তুমি যাবে। একা গিয়ে কিভাবে রান্না করবে।ছোট বেলা বললো আসলে ছোট ছেলের বউকে কয়েক দিনের ভিতরে বাড়িতে পাঠাবে তারপর হামিদ সাহেবকে বাড়িতে নিয়ে যাবে।

এদিকে হামিদ সাহেব আর একদিন ও থাকবে না।যাইহোক এক মাস শেষ হয়ে গেল হামিদ সাহেবের বড় ছেলে ফোন দিল তার বাবাকে। তখন ফোন দেখে হামিদ সাহেব অনেক খুশি ভাবছে আমাকে মনে হয় বাড়িতে নিয়ে যাবে।কিন্তু সে ফোন দিয়েছে তার নিজের প্রয়োজনে।আসলে বাড়িতে কারেন্ট বিল এসেছে তাই হামিদ সাহেবকে দিতে বললো।কথাটা শোনে সাহেব অনেক কষ্ট পেল। তারপর কিছুদিন পর ছোট ছেলে এসে বাড়িতে নিয়ে ঈদ করে তার বাসায় নিয়ে চলে গেল। কিন্তু তখনো ও হামিদ সাহেব বড় ছেলের কথা বলে। আর একেই বলে বাবা। আসলে আমাদের সমাজে এমন সন্তানের কোন দাম নেই,যে সন্তান কোন কাজে লাগে না, সেই সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। আশা করি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর


আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

হামিদ সাহেবের বড় সন্তানের মত এরকম সন্তান সমাজে এখন অনেক রয়েছে ,যারা বৃদ্ধ বয়সে বাবা মায়ের খেয়াল রাখে না। আসলে তারা সবসময় নিজের স্বার্থটাই দেখে। তার বাবা যে তাকে এত কষ্ট করে মানুষ করেছে এটা মনে রাখে না। যাইহোক হামিদ সাহেবের ছোট ছেলের ব্যাপারটা দেখে ভালো লেগেছে। যদিও এক মাস পর্যন্ত মেয়েদের বাড়িতে ছিল। আর ছোট ছেলে ঈদের ছুটিতে এসেছিল যখন, তখন বাবাকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল জেনে ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে আপনি পুরোটা শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

জি ভাইয়া কিছু মানুষ সব সময় নিজের স্বার্থ বোঝে,পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 4 months ago 

আমাদের সমাজে এমন কিছু বলদ আছে যেগুলোকে আসলে সন্তান বললেই ভুল হবে। আমি মনে করি সবচেয়ে দায়িত্ব বেশি থাকে বড় ছেলেদের বা বড় সন্তানদের। কিন্তু কেন জানি তারা এত এড়িয়ে চলে দায়িত্ব পালন করতে। এত কিছু হয়ে গেল কিন্তু বড় ছেলে তারপরও হামিদ চাচাকে দেখতে গেল না। অবশেষে ছোট ছেলে নিয়ে গেল বেশ ভালোই করল। বাবার অন্তর বলে কথা ছেলে শত অপরাধ করলেও কথা বলবে সেটা স্বাভাবিক।

 4 months ago 

সত্যি আপু বাবা তো বাবাই, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

 4 months ago 

একজন পিতার প্রতি সন্তানের যে দায়িত্ব থাকে, সেটা অনেক সন্তানই পালন করে না। হামিদ সাহেবের বড় সন্তানের মত এরকম মানুষ সমাজে অনেক রয়েছে। আর সেটা না থাকলে দেশে এত বৃদ্ধাশ্রম হবে কেন!😥 তবে সে যেমন তার বাবার প্রতি অন্যায় অবিচার করেছে, এক সময় তার সন্তানও তার সাথে এরকম করবে, এটাই দুনিয়ার নিয়ম।

 4 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম সন্তান সমাজে অভাব নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 4 months ago 

এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে এরকম সন্তানকে সন্তান বলে পরিচয় দেওয়াটাও একেবারে ঠিক নয়। তারা যেভাবে তাদের মা-বাবাকে কষ্ট দিচ্ছে তারা কোন মতেই সন্তান হওয়ার যোগ্যতা রাখে না৷ হামিদ সাহেবের এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও ওনার বড় ছেলে তাকে একবার দেখতেও আসেনি৷ তবে ওনার ছোট ছেলে ওনাকে নিয়ে গিয়ে বেশ ভালই করেছে। তিনি একেবারে খুব ভালো একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷

 4 months ago 

এর জন্যই মানুষ বলে এমন সন্তান না থাকাই ভালো, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 4 months ago 

প্রত্যেকটা সন্তানের মাথায় এটা রাখা উচিত, যে বাবা মা ছোটবেলা থেকেই আমাদেরকে এতো কষ্ট করে বড় করেছে তাদেরকে কেন আমরা কষ্ট দিব। কিন্তু হামিদ চাচার বড় ছেলে নিজের মতো করেই থাকতো। কখনো বাবার খেয়াল নিতো না। বাবার অপারেশনের পর একটা কল পর্যন্ত দেয়নি। মেয়েরা তার বাবাকে খুব ভালো রেখেছিল জেনে ভালো লেগেছে। আর ছোট ছেলে বাড়িতে আসার পর বাবাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল এবং একসাথে ঈদ করেছিল পুরোটা দেখে ভালো লেগেছে। কিছু কিছু সন্তান আসলেই থাকার থেকে না থাকা ভালো আছে।

 4 months ago 

আসলে আপু সন্তানের মতো সন্তান হলেআর কিছু লাগে না, তবে হামিদ সাহেবের বড় ছেলের মতো সন্তানের দরকার নেই ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64850.80
ETH 3471.70
USDT 1.00
SBD 2.55