হঠা মধুবনে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
হঠা মধুবনে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। অনেক দিন আগে গিয়েছিলাম একটা জায়গায় বিয়ে খেতে।আসলে আমরা যাওয়ার পরে শোনলাম এখানে মধুবন আছে। আসলে সেখানে আমরা বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম তার পাশেই বিভিন্ন ধরনের মধু বানায়। তাই আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে সেই মধুবনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে ঘুরতে আমরা সবাই পছন্দ করি। আর সেই ঘুরা যদি প্রিয় কোন জায়গায় হয় তাহলে তো কথায় নেই। আমি আগে ভাবতাম মধু শুধু মৌমাছি থেকে হয় কিন্তু এখানে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে মধু বানানো হয়েছে। তারপর আমরা কয়েক জন মিলে বেশ কিছু মধু কিনে এনেছিলাম। সেই মধু অনেক ভালো ছিল আবার দাম ও কম ছিল।আসলে কোন জায়গায় গিলে সত্যি অনেক কিছু জানা যায় আবার শিক্ষা যায়।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে সোজা চলে গেলাম মধুবনে।আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ছিল শীত কাল।তাই পাশে সূর্য মুখী ফুল, সরিষার ফুল আরো বিভিন্ন ফুল ছিল। যদিও আমাদের সময় বেশি ছিল না। তাই আমরা সূর্য মুখী বাগান ও মধুবনে ঘুরছিলাম। আমরা বেশ কয়েক জন ছিলাম তারপর আমার ভাতিজা বললো আগে আমি মধু দেখে আসি তারপর বানানো দেখবো।তার সাথে সাথে আমি ও মধু দেখতে গিয়েছিলাম। লোকজন মধু বানিয়ে এভাবে বয়ামে ভরে রেখেছে। আসলে কোন কিছু সম্পর্কে না জেনে আন্দাজে মন্তব্য করা মোটেও ঠিক হয়। কারণ একজন বললো এই মধু অনেক ভালো আর একজন বলল মধু বেশি ভালো নয়।তাই আমাদের মধু দেখার প্রতি আগ্রহ অনেক। যাইহোক মধু গুলো দেখেই অনেক ভালো লাগলো। আসলে যেগুলো দেখতে ভালো সেগুলো খেতে নিশ্চয় অনেক মজার। আমরা মধু দেখে দুই কেজি মধুর রাখতে বললাম। তারপর আমরা মধুবনে ঘুরতে লাগলাম।
পুরো জায়গাটা ধরে শুধু বক্স রয়েছে।আসলে জায়গাটা অনেক সুন্দর। আমরা সবাই মিলে অনেক সময় ধরে ঘোরাঘুরি করলাম। যেহেতু শীতকাল ছিল তাই আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন হালকা রোদ ছিল। আমরা মধুবনের চারপাশ দিয়ে এভাবে ঘোরাঘুরি করলাম।আসলে হালকা রোদ তখন অনেক মিষ্টি লেগেছিল। তারপর আমরা এখানের এক চাচাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করলাম মধু বানানোর সম্পর্কে। চাচা আমাদের বলল আপনারা নিঃসন্দেহে মধু নিতে পারেন অনেক ভালো ।আর আপনারা এখানে এলেই মধু পাবেন সব সময় তবে এগুলো বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে বানানো। জায়গাটা অনেক সুন্দর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। জায়গার থেকে ওখানকার লোকজন এর ব্যবহার আরো বেশি সুন্দর। মধুবনের পাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। আসলে বাচ্চাদের নিয়ে দোকানের পাশ দিয়ে গেলেই কিছু না কিছু কিনতে হয়।
আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন মধুবনের পাশেই মেলা হচ্ছে। যদিও এমন টুকিটাকি মেলা প্রতি দিন হয় কিন্তু সেই দিন অনেক কিছু এসেছিল।বিশেষ করে বাচ্চাদের রাইড গুলো ছিল মেলায়। তবে আমরা কিন্তু মেলার ভিতরে যায়নি।পাশ থেকে আমি একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম মেলার। তারপর রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। তারপর বাচ্চাদের হাওয়ায় মিঠাই ও কিছু খেলনা কিনে দিতে হলো। আর মেলার ভিতরে গেলে তো আরো কত কিছু কিনতে হতো।যাইহোক মধু বনে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলা।বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1809230967116279996?t=L7VGbrIE1kHt24x98RD9_Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মধুবনে ঘোরাঘুরি বেশ দারুণ অনুভুতি। শীতকালে সরিষা ফুলের জমির পাশে এরকম মৌ মাছির বক্স দেখতে পাওয়া যায়।কাছে গিয়ে কখনো দেখা হয়নি কেমন তবে দূর থেকে দেখেছি অনেক।আপনারা অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি।সব মিলিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট সাজিয়েছেন আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য এবং ভাগ করপ নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।