আলু বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের মাথা চচ্চড়ি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
আলু বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের মাথা চচ্চড়ি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা রেসিপি নিয়ে। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে অনেক সময় সময়ের অভাবে রেসিপি করা হয় না।আসলে রান্না তো আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করি কিন্তু রেসিপি সব সময় করা হয় না।কিন্তু পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য সপ্তাহে একটি রেসিপি তৈরি করি।আসলে আমাদের পরিবারের অন্য কেউ পাঙ্গাস মাছ খেতে চায় না কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে রান্না করি নিজের জন্য। কিন্তু যদি এভাবে চচ্চড়ি করি তাহলে আমার হাজবেন্ড খেতে পছন্দ করে। আসলে বেশির ভাগ পাঙ্গাস মাছের মাথা আমি এভাবে চচ্চড়ি করে থাকি। বেশ মজা লাগে তারপর যদি চুলার ওপর নীভু জ্বালে রান্না করা যায় তাহলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যেহেতু কাঁঠালের বিচি দিয়েছি তাই খেতে আরো বেশি মজার হয়েছিল।আপনারা চাইলে এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন।তাহলে চলুন দেখে নেই আমি কিভাবে পাঙ্গাস মাছ আলু বেগুন কাঁঠাল বিচি দিয়ে চচ্চড়ি করেছি।
১.আলু, বেগুন ও কাঁঠালের বিচি
২.পাঙ্গাস মাছের মাথা
৩.পিঁয়াজ কু্ঁচি
৪.কাঁচা মরিচ ফালি
৫.হলুদ গুড়ো
৬.ধনের গুড়ো
৭.লবন
৮.তেল
ধাপ-১
প্রথমে আমি কয়েকটি বেগুন কেটে নিয়েছি। তারপরে পড়া আলু ও কাঁঠালের বিচি গুলো খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিয়েছে।। এখন সব গুলো এক সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
তারপর পানি দিয়ে সব গুলো এক সাথে মিশিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এখন ধুয়ে রাখা সবজির ভিতরে কেটে ধুয়ে রাখা মরিচ ও পিঁয়াজ দিয়েছি।
ধাপ-৪
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর হালকা গরম হলে তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৫
তেল গরম হয়ে আসলে ধুয়ে রাখা তরকারি গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর হলুদের ও ধনের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।
ধাপ- ৬
এখন লবন দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে নিলাম। তারপর কেটে ধুয়ে রাখা মাথা দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৭
সব কিছু দিয়ে কিছু সময় নেড়েচেড়ে একটু পানি দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
ধাপ-৮
এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব।এখন গরম গরম পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
বেশি দারুন মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার সুন্দর এই রেসিপিটা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে মাছের মাথা রান্না করেছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1818960210616275164?t=mr-BLO6Ix9Mkpm4luyyi9w&s=19
বেগুন এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি এত সুন্দর করে রান্না করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। দারুন হয়েছে আপনার রেসিপি।
জ্বী আপু খেতে অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ আপু
আপনি যে দারুন রেসিপি তৈরি করতে পারেন এটা আমার পূর্বে জানা ছিল। ঠিক তেমনই সুন্দর এক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই পাঙ্গাস মাছের মাথা দিয়ে রেসিপি তৈরি করা।
প্রশংসনীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলু বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের মাথা চচ্চড়ির লোভনীয় পদ্ধতি আপনি আমাদের মানুষের শেয়ার করেছেন আপু। পাঙ্গাস রেসিপি দেখলে আমি কোন ভাবেই লোভ সামলাতে পারি না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন কাঁঠালের সময় আর আমরা প্রায়ই রান্নাতে কাঁঠালের বিচি ব্যবহার করি।আপু আপনি অনেক মজা করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে পাঙ্গাস মাছের মাথা দিয়ে এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করা হয়নি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু এভাবে একদিন রান্না করে খাবেন অনেক মজা লাগে ধন্যবাদ আপু পোস্ট করে মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি বেগুন আলু এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাংকাশ মাছের মাথা এর চচ্চড়ি রেসিপি করেছেন। তবে বেগুন এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাছের চচ্চড়ি করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। তবে আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খুব মজার রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
জি আপু অনেক মজা লাগে, ধন্যবাদ আপু।
পাঙ্গাশ মাছ আমি কখনো খাইনি তবে আপনার পাঙ্গাশ মাছের মাথাও আলু, বেগুন, কাঁঠালের বিচি দিয়ে চমৎকার সুন্দর রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেলো।সত্যি অনেক লোভনীয় হয়েছে আপু আপনার রেসিপিটি। রন্ধন প্রানালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু অনেক মজার হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
পাঙ্গাশ মাছ আমি কখনো খেয়ে দেখিনি এটার স্বাদ সম্পর্কে আমি জানিনা।তবে কাঠালের বিচির অনেক রেসিপি খাওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই রেসিপি টা গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
এভাবে খেয়ে দেখতে পারেন অনেক মজা লাগবে, ধন্যবাদ আপু।