লোভী ভালোবাসা ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
লোভী ভালোবাসা১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযাহা। সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক। যেহেতু সামনে ঈদ তাই সবাই ব্যস্ত থাকা স্বাভাবিক। আর আপনজন সবাই একসাথে ঈদ করলে আনন্দটা অনেক বেশি হয়। তেমনি আমাদের বাড়িতে ও সবাই এসেছেন আমাদের সাথে ঈদ করার জন্য। তবে ঈদের দুই দিন আগে থেকে দুই দিন পর পর্যন্ত আমাদের রান্না ঘরেই কেটে যায়।আর ঈদের তৃতীয় ঈদ হয়তো একটু বাবার বাড়িতে যেতে পারি। আমরা যখন বেড়াতে যায় তখন সবার ছুটি শেষ হয়ে যায়।যাইহোক কি আর করা যাবে জীবন যেখানে যেমন।আসলে আজ এসেছি একটি বাস্তব প্রেমের গল্প নিয়ে। আসলে শুধু প্রেম কেন আমার মনে হয় সব কিছুতেই বেশি লোভ করলে পরিণতি ভালো হয় না।তবে অনেকে লোভে পড়ে সব কিছু ভুলে যায়। তবে লোভ ভয়ংকর জিনিস এটা মানতে চায় না।যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
তন্নিমা ও তপু দুজন ছোট বেলা থেকে বেশ ভালো বন্ধু। আসলে বন্ধু মানে দুজনে মামাতো ফুফাতো ভাইবোন।তপুর ফুফুর মেয়ে হলো তন্নিমা।তবে বয়সে তন্নিমা তপুর থেকে বছর খানেকের বড়। যাইহোক ছোট বেলা থেকে দুজনেই এক সাথে বেড়ে উঠেছে।তন্নিমারা হলো দুই ভাই বোন । তন্নিমার বাবা ছিল কলেজের প্রফেসর তাই তন্নিমার মা তন্নিমা ঢাকায় থাকতেন। তন্নিমা যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে তখন তার বাবা স্টোক করে মারা যান। এদিকে তন্নিমা ছোট আর তার ভাই বড়। তবে তন্নিমার বাবা নিজেই একটা প্রাইভেট কলেজ স্হাপন করেছিলেন। যেহেতু তন্নিমার বাবা মারা গেল তাই কলেজের দ্বায়িত্ব তন্নিমার মা নিল।তন্নিমার মায়ের কথা যেভাবেই হোক কলেজের দ্বায়িত্ব পালন করবে। এভাবে বেশ কিছুদিন চলে গেল তন্নিমা মা এখন এসএসসি পরীক্ষা দেবে।
অন্য দিকে তন্নিমার মামাতো ভাই তপু ক্লাস নাইনে উঠেছে। তপুরা ও দুই ভাই বোন। তপুর বাবা ও সরকারি একটা চাকরি করেন। তবে তপু দেখতে মোটামুটি পড়াশোনায় বেশ ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য একটু কম। এদিকে তন্নিমা এসএসসি পাশ করলো। আসলে তন্নিমাকে তার বাবা আদর করে পুতুল বানিয়ে রেখেছে। সে কলেজে পড়ে কিন্তু এক গ্লাস পানি ঢেলে খেতে পারে না। আসলে বেশি আদরে এমনি হয়। তন্নিমা যখন এইচ এসসি পরিক্ষা দেবে তখন তপু এসএসসি পাশ করলো। তারপর তপু ঢাকায় প্রাইভেট কলেজ ভর্তি হলো।এখন থেকে সে তার ফুফুর বাসায় থেকে পড়াশোনা করবে। এদিকে তন্নিমার ভাই পড়াশোনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেল। তাই তপুর ফুফু তপুকে তার কাছে রেখে দিল। এদিকে ফুফু তার কলেজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।আর বাসায় সারাক্ষণ তন্নিমা ও তপু দুজনে থাকে। তাদের কলেজ বাদে তারা দুজনে এক সাথে সময় কাটায়। এভাবে দুজনে এক সাথে মিশতে মিশতে কখন যে তারা ভালোবাসায় পরিনত হয়েছে বলা মুশকিল।
এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল। তন্নিমা ভার্সিটিতে ভর্তি হল অন্য দিকে তপু এইচ এসসি পাশ করলাম। আসলে তাদের ইচ্ছে জীবনে পড়াশোনা করে ভালো কিছু হওয়া।তবে তপু সব দিক থেকে অনেক ভালো আর তন্নিমা পুতুল ছাড়া কিছুই নয়।যাইহোক এভাবে কেটে গেল কয়েক বছর। দুজনের পড়াশোনা শেষ হলো।তবে এর মধ্যে দুজনের সম্পর্কের কথা জানতে পারলো।আসলে তন্নিমার মা চেয়ে ছিল এমনটা হোক। আসলে তপুর বাবা ও তন্নিমার দুজনের ইচ্ছে ছিল তাদেরবিয়ে দেওয়া।তন্নিমার মা ভেবেছিল আমার সম্পদ মানুষকে না দিয়ে তপুর সাথে বিয়ে হলো আমার ভাইয়ের হবে। আর এদিকে তন্নিমার মামার ও একমত।যাইহোক সবচেয়ে বড় কথা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। এখন দুই পক্ষ মিলে বিয়ের আয়োজন করেছে। (চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1802339312870342936?t=rrFlXiEuRjKZsa0DQ7NMvw&s=19