জেনারেল রাইটিং:- হঠাৎ বিপদ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
জেনারেল রাইটিং:- হঠাৎ বিপদ
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আমাদের জীবন অনিশ্চিত। আসলে পৃথিবীতে আমাদের সময় নির্ধারিত। আমরা সবাই পৃথিবীতে মেহমান হিসেবে এসেছি। তবে এই ছোট জীবনে আমরা কত কিছু করে থাকি।তবে আমাদের যখন শক্তি থাকে তখন আমরা কাউকে পরোয়া করি না।তবে আমরা কখনো চিন্তা করি না আমাদের ডাক আসলে আমরা আর পৃথিবীতে থাকতে পারবো না।আর আমরা যখন পৃথিবী থেকে বিদায় নেব তখন আমাদের সাথে আর কিছুই যাবে না।তবে আমরা বেঁচে থাকলে আমাদের সব কিছু প্রয়োজন। তাই আমাদের সবার উচিত প্রয়োজন অনুযায়ী সব কিছু রেখে অন্য কিছুর পিঁছে না ছোটা।কারণ আমরা পৃথিবী থেকে কিছুই নিয়ে যাব না।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আজ এসেছি একটা বাস্তব কাহিনি নিয়ে। আসলে কয়েক দিন আগে আমার একটা স্টুডেন্ট নাম তার তাজবিদ। যদিও তাকে আমি দুই বছর প্রাইভেট পড়িয়েছিলাম। তবে বর্তমান আর পড়ানো হয়না। তাজবিদ এখন ক্লাস সিক্স এ পড়ে। আসলে বর্তমান সব বাচ্চারা খেলাধুলা থেকে ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত। আর আমাদের গ্রামের কিছু বাচ্চা আছে তারা সাইকেল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আসলে গ্রামে সব বাচ্চারা বিকেল হলে সাইকেল নিয়ে মাঠে খেলতে যায়।প্রতিদিনের মতো গতকাল ও তাজবিদ বিকেলে সাইকেল নিয়ে বের হলো।সে গিয়ে দেখে স্কুলের মাঠে কোন লোক নেই। তাই সাইকেল নিয়ে সে বাজারের দিকে রওনা দিল।
আমাদের বাড়ি থেকে বাজারে যেতে সময় লাগে দশ মিনিট। আসলে বাজার হচ্ছে মেইন রোড, সেখান দিয়ে সব সময় অনেক গাড়ি যাতায়াত করে। তবে কয়েক মিনিট যাবার পরে রাস্তার পাশে একটা গর্তে সাইকেল নিয়ে পড়ে গেল। পড়ার সাথে সাথে গড়িয়ে একেবারে নদীর কিনারায় চলে গেল।তখন একজন তাকে দেখে ফেলল। তারপর সবাই তাকে উঠালো।কিন্তু তাজবিদের মাথা ফেটে ব্যথা পেয়েছে সে কিছুতেই মাথা সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না। আসলে মাথায় বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে। সবাই তোলার পরপরই তাজবিদ আর কথা বলতে পারছে না।তখন সবাই তাজবিদের বাড়িতে খবর দিল। তারপর তাজবিদের পরিবারের সবাই এসে তাকে হসপিটালে নিয়ে গেল।
হসপিটালে নেবার সাথে সাথে তাজবিদের অনেক পরিক্ষা নিরীক্ষা দিল।তারপর আস্তে আস্তে তাজবিদের জ্ঞান ফিরে এলো, তবে ডাকলে ইশারা দেয় কিন্তু তেমন কথা বলতে পারে না । তবে ডাক্তার বলেছে তাজবিদের মাথায় বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। এক সপ্তাহ না গেলে কিছুই বলা যাবে না।যাইহোক এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আপনারা সবাই তাজবিদের জন্য দোয়া করবেন। সত্যি কখন কার কি হয় বুঝা মুশকিল।আসলে আমরা যতই সাবধানে থাকি না কেন বিপদ আসলে ঠেকানো যাবে না।তারপরেই আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। আশাকরি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তাজবিদের এই দুর্ঘটনার কথা শুনে খুবই কষ্ট পেলাম আপু। আসলে হঠাৎ করে বিপদ চলে আসে। দোয়া করি বাচ্চাটা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। এরকম বিপদ যেনো কারো না হয়। এটা সত্যি অনেক দুঃখজনক ব্যাপার।
জি আপু অনেক দুঃখজনক ব্যাপার দোয়া করবেন, যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
প্রথমে আপনার স্টুডেন্ট তাজবিদের সুস্থতা কামনা করছি আপু। একদম সত্যি কথা বলেছেন আপু আমরা একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যাব। কেউ কিছু নিয়ে যাব না। শূন্য হাতে চলে যাব। আসলে আপু বিপদ কয়ে বলে আসে না কখন যে কার বিপদ কোথা থেকে এসে পড়ে তা আমরা কেউ বলতে পারি না। তবে আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হচ্ছে মাথা। আর এ মাথা যদি আঘাত পায় অনেক বড় বিপদ হতে পারে। তাই হেলাফেলা না করে সময়মতো ডাক্তার অবশ্যই দেখাতে হবে। দোয়া করি তাজবিদের মাথায় যেন কোন সমস্যা না হয়।
যে আপু অবশ্যই দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করে করে পাশে থাকার জন্য
শুনে অনেক খারাপ লাগলো তাজবিদ আর কথা বলতে পারছে না ।দোয়া করি খুব শীঘ্রই তাজবিদ যেন এক সপ্তাহের মধ্যে আল্লাহর রহমতে কথা বলতে পারে।
ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
হঠাৎ কেউ যদি এমন এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয় তাহলে খুবই কষ্ট লাগে আপু। আর সে জায়গায় আপনি তাকে দুই বছর পড়ে গেছেন। তার প্রতি তো আপনার অন্যরকম স্নেহ ভালোবাসা রয়েছে। এখন দেখেন এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে, আল্লাহ যেন তাকে ভালো করে দেয় সেই দোয়া করি।
জি ভাই অবশ্যই দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি কথা ঠিক বলছেন কখন আমাদের ডাক আসবে সেটা আমরা জানি না। যখন সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ডাক দিবেন তখন চলে যেতে হবে। কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আমাদের একটু সাবধানে থাকতে হবে। একজন ছোট বাচ্চাকে সাইকেল নিয়ে বের করে দিলো এই কাজ মোটেই ঠিক হয়নি। যেহেতু সে আরো মেইন রোডে মধ্যে গাড়ি চালাচ্ছে। একজন এক্সপার্ট বয়স্ক মানুষ যদি গাড়ি চালায় তাহলে একটা কথা ছিল। অবশেষে প্রাণে বেঁচে গেল তাজবিদ। তাজবীদের সুস্থতা কামনা করছি যাতে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়।
জি আপু তাজবিদের জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন, ধন্যবাদ আপু।
মানুষের জীবনে বিপদ হঠাৎ করেই চলে আসে।আপনার স্টুডেন্ট তাজবীদের সুস্থতা কামনা করি।আল্লাহ ওকে দ্রুত সুস্থ করে দিক।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপু।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।
প্রথমেই আপনার স্টুডেন্টের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আপু। সে যেন খুব দ্রুত আবার সুস্থ হয়ে কথা বলতে পারে, এই প্রার্থনা করি। আসলে সাইকেল চালাতে গিয়ে অনেক সময় অনেক ধরনের এক্সিডেন্ট হয় বাচ্চাদের। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের বাচ্চাদের তো আরো বেশি সমস্যা হয়, যখন তারা নতুন নতুন সাইকেল চালানো শেখে। এসব ব্যাপারগুলোতে আমাদের উচিত বাচ্চাদের উপর আরো বেশি সতর্ক হওয়া, যাতে করে তারা এই ধরনের বিপদের মধ্যে না পড়ে।