ভালোবাসার স্মৃতি তৃতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
ভালোবাসার স্মৃতি তৃতীয় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে।আসলে আমি প্রতি সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টা থেকে আজও এসেছি একটা গল্প নিয়ে । গত সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম আপনাদের কাছে ভালো লেগেছিল তাই আজ তার বাকি অংশ নিয়ে এসেছি। সত্যি এমন কিছু বাবা-মার জন্য সন্তান জীবন দিতে বাধ্য হয়। তাই বাবা মার উচিত সন্তানের আবদার কে মেনে নেওয়া । আসলে বাবা মার বুঝা উচিত ছেলে মেয়ে যখন বড় হয় তখন তাদের আবদার গুলো মেনে নেওয়া। আর অনেক বাবা মা মানতে চায় না বলেই তাদের বাচ্চারা অকালে জীবন হারায়। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যাইহোক একদিন অন্তরা তার মাকে জানিয়ে আবিরের সাথে দেখা করতে গেল।অন্তরার মাও চায় অন্তরা আবিরের সাথে থাকুক। কিন্তু অন্তরার বাবা প্রচন্ড রমকের খারাপ লোক তাই অন্তরার মা ভয় পায়।যাইহোক অন্তরার বাবু হতে দুই সপ্তাহের মতো আছে। অন্তরা আবিরের কাছে গিয়ে তার বাবা সব কথা খুলে বলল।অন্তরা আর তার বাবার বাড়িতে ফিরে যাবে না। এদিকে আবির বলছে তুমি যখন বাবার বাড়িতে গিয়েছ। তাহলে সেখানে বাচ্চা হোক তারপর আমি তোমাকে বাসায় নিয়ে আসবো।তবে অন্তরা আবিরকে বারবার বলছে তুমি যদি আমাকে না নিয়ে যাও তাহলে তুমি আর আমাকে পাবে না।এদিকে আবির অন্তরার কথা না শোনে আন্তরাকে বুঝিয়ে বাসায় চলে গেল। আর বলতে লাগলো তোমার জন্য আমি সারাজীবন অপেক্ষায় থাকবো।তবে আমি তোমার বাবার কাছ থেকে তোমাকে সম্মান দিয়ে নিয়ে আসবো।যাইহোক ইতিমধ্যে অন্তরার বাবা অন্তরাকে ফোন করলো।তারপর আবির অন্তরাকে বাসার সামনে পৌঁছে দিয়ে এলো।
অন্তরা বাসায় আসার এক সপ্তাহ পড়ে অন্তরার ব্যথা উঠলো।এখন সবাই অন্তরাকে হসপিটালে নিয়ে যাবে কিন্তু অন্তরার বাবা বললো আমরা বাড়িতে আরো কিছু সময় দেখি তারপর না হয় নিয়ে যাওয়া যাবে।দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল তখন অন্তরার মা বললো তুমি কি অন্তরার বাবা মেয়ের সুখ দেখতে পার না।তারপর তারাতাড়ি করে অন্তরার বাবা হসপিটালে নিয়ে গেল। যেহেতু দুপুরে ব্যথা উঠেছে তারা প্রায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে হসপিটালে ভর্তি করলো।এদিকে ডাক্তার এসে রোগী দেখে ইমারজেন্সিতে ভর্তি করতে বলল। তারপর রাত আটটার পরে গিয়ে অন্তরাকে অপারেশন রুমে নিল।অন্তরার ব্যথা অনেক সময় থাকার জন্য অপারেশন করতে অনেক ঝামেলা হয়েছে। তখন ডাক্তারা কথা বলছে উনাদের দুজনকে বাঁচানো সম্ভব নয়। একথা অন্তরা শোনে ডাক্তারকে বললো আপনি আমার বেবিকে বাঁচান। তখন ডাক্তার বলল কেন আপনি বেঁচে থাকলে আপনার বেবি আবার হবে। অন্তরা বলল আমার নরকে বেঁচে থাকার আর ইচ্ছে নেই। তারপর ডাক্তার কে অন্তরা বলল একথা কাউকে বলবেন না।
তারপর ডাক্তার সব পিপারেশন নিল ।কিছু সময়ের মধ্যে অন্তরার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হলো।এদিকে বাচ্চাকে অন্তরার মার কাছে দিয়ে আসলো অন্য দিকে অন্তরা মৃত্যুর সাথে লড়ছে। তারপর অন্তরা ডাক্তারকে বলল আমার মাকে এটু আমার কাছে ডাকুন। নার্স গিয়ে অন্তরার মাকে ডেকে আনলো।অন্তরা তার মাকে বলল মা আমি তো আর বাঁচবো না। তবে তুমি আমার একটা অনুরোধ রাখবে আমার বাচ্চাকে আবিরের হাতে তুলে দেবে। এদিকে অন্তরা হসপিটাল এসেছে এই খবর পেয়ে আবির ও তার বাবা-মা সবাই হসপিটালে এসে উপস্থিত হল। আবির আসার আগে অন্তরা হসপিটাল বা পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিল। তারপর অন্তরার মা আবিরের হাতে তার বেবিকে তুলে দিল।তখন আবির বলতে লাগল অন্তরা আমার ওপর অভিমান করে চলে গেছে। কারণ সেই যদি আমি অন্তরাকে আমার সাথে নিয়ে যেতাম তাহলে হয়তো এমনটা হতো না। আবির অন্তরার ভালোবাসার স্মৃতি হিসেবে তার বাচ্চাকে নিয়ে থাকবে আজীবন। আসলে অন্তরার মতো এমন অনেক অন্তরায় বাবা মার চাপের কারণে বিয়ের আগে বা পরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেই। আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.