ভুল ভালোবাসা বাস্তবে পরিণত ৩য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
ভুল ভালোবাসা বাস্তবে পরিণত ৩য় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি গল্পের বাকি অংশ নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লেখার চেষ্টা করি। আসলে গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়ার ঘটনা। সত্যি চোখের সামনে এমন কিছু ঘটনা দেখলে আর ভালো লাগে না।আসলে সময় মানুষকে সব কিছু বদলে দেই। গত সপ্তাহে এই গল্পটি শেয়ার করেছিলাম আপনারদের ভালো ভালো মন্তব্য পেয়ে চলে আসলাম শেষ পর্ব নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
তন্নীর ছেলেটা যেহেতু অনেকটা বড় তারজন্য তন্নী চাইলে ও গোপনে কিছু করতে পারে না। যেহেতু আশিকের বউ তার ছোট বাচ্চা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে তন্নীর বাড়ি। যেহেতু তন্নী গ্রামে থাকে তারজন্য অপরিচিত কেউ আসলে হাজার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তন্নীর বাড়িতে যখন আশিকের বউ আসলো তখন সবাই একের পর এক প্রশ্ন করতে লাগলো। আসলে তন্নী তো নিজেই জানে না সে কে? তারপর যখম মহিলাটি কান্না করতে লাগলো তখন তন্নীর ননদ বললো কি হয়েছে আপনি বলেন?আসলে পৃথিবীতে মানুষ সব কিছুর ভাগ দিলেও কেউ তার স্বামীর ভাগ দিতে চায় না।
তারপর মহিলা সকল কথা বলে দিল। আসলে তন্নীর ননদ চেয়েছিল কথা গুলো গোপন করতে তা আর হলো না।সত্যি এই সকল কথা তাড়াতাড়ি ছড়ায়।যাইহোক মহিলাটি তন্নীর কাছে হাত জোড় করে কান্নাকাটি করলো যাতে সে আশিকের কাছ থেকে দূরে চলে আসে।আসলে তন্নী তো হয়তো জানতো না আশিক বিবাহিত তাই হয়তো সে এগিয়েছিল।তখন মহিলাটি তন্নীর ছেলের মাথায় হাত রেখে বলতে বলল তন্নী আর আশিকের সাথে যোগাযোগ রাখবে না।আসলে আমাদের গ্রামের লোকজন একটু হলে আর একটু বাড়াবে এটাই স্বাভাবিক। পরের দিন অনেকে বলছে তন্নী আশিকের সাথে চলে গিয়েছে।
তারপর তন্নী সকল কিছু বুঝতে পেরে আর আশিকের দিকে এগিয়ে গেল না।সত্যি বলতে ছেলেমেয়ে মধ্যে বিয়ে বসার চেয়ে তন্নী ছেলেটাকে নিয়ে শশুর বাড়িতে থাকলে অনেক ভালো হবে।তারপর তন্নীর চাচতো ভাসুরা তন্নীকে বললো তুমি যদি বিয়ে করতে চাও তাহলে বল আমরা বিয়ে দিয়ে দেব।কিন্তু তন্নী কিছুতেই রাজি না। এভাবে কেটে গেল বেশ কয়েক মাস। এদিকে তন্নী ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়েছে এখন রাতে বা দিনে তন্নী একাই থাকে।আসলে মানুষের কাজ না থাকলে যা হয় আর কি। আশিকের বউ তন্নীর বাড়ির লোকজন ভেবেছিল তারা হয়তো সব ভুলে গিয়েছে। আসলে ভালোবাসা এমন জিনিস একবার হলে সত্যি সহজে যে ভুলা যায় না। তারপরে একদিন তন্নী আশিকের হাত ধরে পালিয়ে গেল। তারপর বিয়ে করে নিয়েছে। একটি মানুষ কতটা খারাপ হলে এভাবে ছেলে মেয়ের ভিতর যেতে পারে তা তো নিজে না দেখলে বুঝতান য না। এটাই হলো তন্নীর বাস্তব কাহিনি ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আপু আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কিছু মানুষ রয়েছে যাদের কোনো লজ্জা-শরম নেই আর কিছু মহিলা রয়েছে যাদের মা হওয়ার যোগ্যতা নেই। সেসব মহিলারাই পারে সন্তান রেখে অন্য একজনের হাত ধরে পালিয়ে যেতে। এসব মহিলাদের জন্যই সমাজটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তা না হলে তন্নী কে আশিকের বউ বুঝানোর পরেও কিভাবে সে এই কাজটা করতে পারলো। অনেক সময় এমন কিছু গল্প থাকে যেখান থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এমন বাস্তব গল্প থেকে অনেক কিছু শেখা যায়,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার এই গল্পের সবগুলো পর্ব আমি পড়েছিলাম। আজকের পর্বটি পড়ে একটু ভালো লাগছিল কিন্তু পরের দিকে খুবই খারাপ লাগলো যে তন্নী আবারও একই ভুল করলো। আসলে মানুষ কতটা খারাপ হলে সন্তান রেখে এমনটা করতে পারে এসব মহিলাদের না দেখলে বুঝা যায় না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এদের না দেখলে সত্যি বুঝা যায় না, ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1829854231807111564?t=HfFWg-TTdRkGSoNJ3sgivw&s=19
এই গল্পের আগের পর্বগুলো আমার যদিও পড়া হয়নি, কিন্তু এই পর্বটা পড়তে কিছুটা ভালো লেগেছে। ভুল ভালোবাসা বাস্তবে পরিণত গল্পটার এই পর্ব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। গল্পগুলো পড়তে আমি অনেক পছন্দ করি। তেমনি এই গল্পটিও খুব ভালো লেগেছে পড়তে। বর্তমানে কিন্তু এরকম অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। সন্তানকে রেখে কিভাবে পারে আরেকজনকে বিয়ে করতে এটাই বুঝি না। এরকম মানুষগুলো অনেক বেশি খারাপ হয়।
জি আপু এই ধরনের আপু সব পারে, ধন্যবাদ আপনাকে।