গাভী পালন করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
গাভী পালন করার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য। আসলে নতুন কিছু নিয়ে আসতে পারলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি আর কি। আসলে চেষ্টা করলে সফলতা অবশ্যই আসে। যাইহোক মানুষের শখ অনেক কিছু থাকে তবে সব শখ সব সময় পূরণ করার সম্ভব নয়। আর এমন কিছু জিনিস আছে যা একটু চেষ্টা করলে সব সম্ভব। কিছু পেতে হলে ধৈর্য্য তো ধরতেই হবে।আর এই ধৈর্য্যটা হয়তো আমরা অনেকে ধরতে পারি না। যাইহোক আমার হাজবেন্ডের শখ ছিল একটা বড় গাভী পালন করার। তবে সে আগে কখনো গাভী পালন করেনি। তাই অনেকে বলেছে আগে ছোট একটা গাভী পালন কর তারপর বড় গাভী পালন করবে।তবে কে শোনে কার কথা আমার হাসবেন্ড তার সিদান্তে অটল রইল। সে কিছুতেই ছোট গরু পালন করবে না।
তারপর সবাই তার সিদ্ধান্ত মেনে নিল। আসলে আমার শাশুড়ি আগে গাভী পালন করত। কিন্তু এখন তো অনেক বয়স হয়েছে তাই আর পালন করতে পারে না।তবে সে তার ছেলের সাথে একমত বড় গাভী মানে ফ্রিজিয়ান গাভী পালন করবে।আসলে ফ্রিজিয়ান গরু গুলো অনেক দুধ দেয়। আর আমার শাশুড়ি ছোট কোন কিছু পালন করতে ইচ্ছে নয়। গভী কেনার সিদ্ধান্ত হবার পরে আমার হাজবেন্ড একটা গরুর ঘর তুলল।তখন আমার শাশুড়ী বলল,আসলে আমরা অনেক কষ্ট করে গাভী পালন করেছি কিন্তু তো কোন কষ্ট করতে হয় না।এখন সবাই গাভী গুলো ঘর থেকে বের করে না। আবার মোটরের পানি দিয়ে গরু সব সময় গোসল করায়। সত্যি বলতে ডিজিটাল যুগে সব কিছু ডিজিটাল। যাইহোক ঘর কমপ্লিট হওয়ার কয়েক দিন পরে একটা গাভী কিনে আনল।যদি ও তারা বলেছিল গাভীর বীজ দেওয়া কিন্তু আমাদের বাড়িতে আনার দশ দিন পর আবার বীজ দিতে হলো। তবে গরুটিকে আমাদের পরিবারের সবাই অনেক আদর করে। আমার মেয়ে গাভীটির নাম রেখেছে তারা। এখন সবাই তাকে তারা বলে ডাকে। তারা স্কুল থেকে এসেই চলে যায় তারাকে দেখার জন্য। তারপর সবাই মিলে কিছু সময় আদর করে ঘরে আসে।
গতকাল গাভীটি একটা ছেলে বাবু দিয়েছে। আসলে আমাদের এই প্রথম গরু পালন করা। তবে আমাদের গরুর শুধু গমের ভুষ বেশি কিনতে হয।আর অন্যান্য খাবার গুলো আমাদের বাড়িতে আছে। কারণ আমাদের খড় অনেক হয় আমরা গরুর জন্য রেখে আবার অনেক বিক্রি করি।তাই গতকাল থেকে সবাই অনেক আনন্দে আছে বিশেষ করে বাচ্চারা। আসলে ওদের তো কিছু করতে হয় না। তারা বাছুরকে দেখে আনন্দে আত্মাহারা। সত্যি কেউ কষ্ঠ করলে অবশ্যই ফল পায়।আমার হাজবেন্ড গরুটিকে অনেক যত্ন করে।সত্যি বলতে গরুর কিছু হলে সে তারাতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেয়। নিজের কিছু হলে সহজে ডাক্তার দেখায় না কিন্তু গরুর ক্ষেতে সেটা করে না।যাইহোক অবশেষে তার কষ্ট সফল হয়েছে।
এখন গরুটা ভালো মতো দুধ দিলেই হলো।সত্যি কষ্ট করে কিছু করলে তার সফলতা পেলে পিঁছের সকল কষ্ট ভুলে যায়। বাছুরটি দেখতে তার মায়ের মতো হয়েছে।মা ও বাচ্চা সবাই সুস্থ আছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন তাদের ভালো মতো যত্ন নিতে পারি।আর আপনাদের ভাইয়ের আশা পূর্ণ হয়।অবশ্যই গাভী দুধ দিলে আপনাদের দাওয়াত রইল চলে আসবেন। কমিউনিটি সব ভাই বোনদের জন্য আমার গাভীর দুধ ফ্রী। তাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আশাকরি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1810682144622301606?t=3pVqfSuPmSbDiN7pFvzsBg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক আগে আমাদের একটা গাভী ছিল বেশ দুধ দিত এবং বাছুর গুলো বেশ ভালো হতো। আর ফ্রিজিয়ান গাভীগুলো তো এরা অনেক বেশি দুধ দেয়। বাছুরটাও কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে। আর এসব গাভীগুলো লাভজনক। গাভী পালন করো বেশ সহজ। কারণ এরা যথেষ্ট নিরীহ প্রকৃতির হয়ে থাকে। গাভী পালন করা অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক আপনাদের গাভীর মতোই দেখতে আমাদের বাড়িতেও একটা গাভি রয়েছে এমন ফ্রিজিয়ান জাতের। এই গাভী গুলো সত্যিই অনেক দুধ দেয় আপু। আবার অনেকদিন ধরে দুধ দেয় বাচ্চা বড় হয়ে যাবার পরেও। আমাদের বাড়ির গরুটি তো ৮ থেকে ৯ কেজি দুধ দেয়। আপনাদের গাভীর ছেলে বাচ্চা হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। তবে এই গাভীর বাচ্চাগুলো খুবই রাগান্বিত হয়।
জি আপু দোয়া করবেন যেন ভালো ভাবে পালন করতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু কষ্ট করলে অবশ্যই তার ফল ভালো হয়। যেমন টি ভাইয়ার কষ্ট করে গাভী পালন করেছে এবং তার ফল পেয়েছে ভালো। গাভিটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং বাছুরটিও হয়েছে খুব সুন্দর এবং মায়ের মতই দেখতে। আসলে সব বাচ্চা কাচ্চারই গরু-ছাগলের প্রতি একটু দুর্বলতা থাকে। আমরা দাওয়াত গ্রহণ করলাম আপু তবে সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখতে চাই আপনার গরুর দুধের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি করে নেয়ার জন্য।
আপু যেকোন সময় চলে আসবেন, ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের গাভী পালনের অভিজ্ঞতার পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। তবে বাছুরকে সাবধানে রাখবেন আপু কারণ এখন নতুন রোগ দেখা দিয়েছে। ছোট বাছুর গুলোকে এ্যাটাক করছে। যা আমার খামারেও শুরু হয়েছে।যাইহোক শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য। দোয়া করি আপনার খামার পরিপূর্ণ হোক।
জি আপু সাবধানে তো রাখতে হবে, দোয়া করবেন আপু যে ভালো মতো পালন করতে পারি। ধন্যবাদ আপু।
বিষয়টি আপনি সকালে শেয়ার করেছিলেন আমাদের কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে গরু পালন করা খুবই ভাগ্যের বিষয়। অনেকে পালন করে কিন্তু তাদের হয় না। আবার অনেকের ভাগ্য কিন্তু ভালোই জুটে। গাভী পালন করার কিছুদিনের মধ্যে আপনারা একটি বাচ্চা পেয়ে গেলেন। বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে বিষয়টি। ভাইয়া যেমন চিন্তা করেছিল তেমন হয়েছে। এখন তো আপনারা লাভবান হয়েছেন। এই গাভী অনেক দুধ দেবে আপু সবাই খেতে পারবেন ভালো মত।
দোয়া করবেন আপু যেন ভালো মতো পালন করতে পারি, ধন্যবাদ আপু।
ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। গাভী পালন করার গল্প এবং তারার আগমন সত্যিই আনন্দদায়ক। আপনার হাজবেন্ডের শখ পূরণ হওয়া এবং বাছুরের জন্ম একটি বড় সুখবর। পরিবারের সবাই মিলে গাভী পালনের যে আনন্দ এবং চেষ্টা, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি, গাভী ভালো দুধ দেবে এবং আপনারা সফল হবেন। আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইলো। ইনশাআল্লাহ, আমরা দাওয়াত গ্রহণ করব। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
[@redwanhossain]
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গরু বা গাভী খুবই লাভ জনক একটি ব্যবসা। আপনার হাসবেন্ডের শখের গাভীটা অনেক সুন্দর। যেমন গাভী তেমন তার বাছুর হয়েছে। কালার একেবারে সেইম। আমার আব্বু আম্মু ও গ্রামে একটি ছোট গাভী পালন করে। কয়েকদিন আগে একটি ছোট বাচ্ছা হয়েছে। গাভীর ছোট বাছুর গুলো দেখতে ভীষন সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।