আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
পাকা আমের আমসত্ত্ব বানানোর রেসিপি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা রেসিপি পোস্ট নিয়ে। সত্যি বলতে প্রতিবারি আমরা অনেক আমসত্ত্ব বানায়। আসলে এবার আম অনেক কম থাকার কারণে তেমন বানাতে পারিনি।তবে বাচ্চারা আম থেকে আমসত্ত্ব খেতে অনেক পছন্দ করে। তাই প্রতি বছরি চেষ্টা করি বাচ্চাদের জন্য আমসত্ত্ব বানানোর।তবে এভাবে আমসত্ত্ব বানিয়ে ঘরে রেখে সারাবছর খাওয়া যায়।তবে আমসত্ত্ব খেতে অনেক মজা। আসলে নিজের হাতে তৈরি জিনিস এর তুলনা হয় না। আমরা বাজারের আমসত্ত্ব থেকে নিজের হাতে তৈরি আমসত্ত্ব অনেক পুষ্টিকর।আর এ বছর তেমন বৃষ্টি নেই তাই আমসত্ত্ব শুকাতে কোন ঝামেলা নেই। তবে এক দিক না এক দিক সমস্যা থাকেই।রোদ থাকলে ও আম তেমন নেই।তারপরে ও যত গুলো ছিল তা থেকে কিছু আমসত্ত্ব বানানোর চেষ্টা করেছি।আপনারা চাইলেও এভাবে নিজের হাতে আমসত্ত্ব তৈরি করতে পারেন। যাইহোক আমসত্ত্ব খেতে অনেক মজার ছিল। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
১. পাকা আম
২.যেকোন ধরনের প্লেট
৩.সামান্য তেল
ধাপ-১
প্রথমে পাকা আম গুলো ধুয়ে নিয়েছি। তারপর এভাবে খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
কেটে নেওয়া আমগুলো ব্লেন্ডারের ভিতর দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। আসলে ব্লেন্ডার করলে অনেক ভালো হয়। (হাত দিয়ে ও করা যাবে)
ধাপ-৩
তারপর একটা ছাঁকনি দিয়ে ছেকে নিয়েছি।এভাবে আমি কেটে নেওয়া সকল আম ছেকে নিয়েছি। তারপর একটা পাতিলে দিয়ে জ্বালিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এখন একটা প্লেটে নিয়েছি। তারপর প্লেটে সামান্য তেল ব্রাশ করে নিয়েছি। তারপর আমগুলো প্লেটের ভিতর দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
আম গুলো শুকিয়ে এলে আবার কিছু আম প্লেটে নিয়ে এভাবে কয়েকবার আম দিয়ে শুকিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
সম্পূর্ণ শুকানো হয়ে আসলে এভাবে প্লেট থেকে উঠিয়ে নেব।তারপর লম্বা করে পাকিয়ে নেব।তারপর চাকু দিয়ে এভাবে কেটে নেব।ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার পাকা আমের আমসত্ত্ব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম
@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
অনেক সুন্দর একটি লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই অসাধারণ রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। পাকা আম জীবনে অনেক খেয়েছি কিন্তু এভাবে কোনদিন কেউ রেসিপি তৈরি করে দেয়নি। জানিনা কতটা সুস্বাদু ছিল। তবে দেখে বেশ ভালো লেগেছে।
এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন অনেক মজার, ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে আমসত্ত্ব তৈরি করেছেন।
এটা আমার খেতে অনেক মজা লাগে। আম যদি একটু টক আর মিষ্টি হয় তবে খেতে আর ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপু আপনার আজকের এই সুন্দর রেসিপি। এত সুন্দর পাকা আমের আমসত্ত্ব তৈরি করেছেন আপনি। আমি তো আপনার এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করতে দেখে পুরাই মুগ্ধ হয়েছি। বেশি দারুন ছিল কিন্তু আপনার এই রেসিপি তৈরি করা। আশা করি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
যে আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপু।
আপনি যেভাবে আমসত্ত্ব বানানোর প্রক্রিয়াটি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছেন তা সত্যিই অনুসরণ করা সহজ। আপনার রেসিপিটি পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমি নিজেই আমসত্ত্ব তৈরি করতে পারব। আপনার লেখনীতে একটি সুন্দর ও সহজাত স্বাদ আছে যা পাঠককে আপনার পোস্টের প্রতি আকৃষ্ট করে। আপনার পোস্ট অন্যদেরকেও নিজের হাতে রান্না করার অনুপ্রেরণা দেবে। আশা করি আপনি এভাবেই আমাদের সাথে আরও অনেক সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া রেসিপিটি দেখে সহজেই তৈরি করতে পারবেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিষয়টা আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি ছোট বাচ্চারা এমন জিনিস খেতে খুবই বেশি পরিমাণে পছন্দ করে। আসলে ছোট বাচ্চারা পছন্দ কি করবে আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন তা দেখে তো আমারই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সময় করে চলে আসবেন আপু বানিয়ে খাওয়াবো ধন্যবাদ আপু,
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1800896533359206488?t=SR8EEt68axonWey80ByjBQ&s=19
পাকা আমের তৈরী এই আমসত্ত্ব আপনার মেয়ে পছন্দ করেছে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আমি একটা বিষয় খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখেছি ছোটরা এই জিনিসগুলো খুব পছন্দ করে। আর আপনি যেভাবে এটা তৈরি করেছেন তাতে অনেকদিন সংরক্ষণও করতে পারবেন।
আমসত্ত্ব আমার মেয়ে অনেক পছন্দ করে। আমিও অনেক আমসত্ত্ব বানিয়ে থাকি প্রতিবছর।এবার বানাইনি আমসত্ত্ব।আপনি চমৎকার সুন্দর করে আমসত্ত্ব বানিয়েছেন এবং মানানো পদ্ধতি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
এভাবে একা একা আমসত্ত্ব খেলে কি হবে? আমাদের জন্য কিছু রেখে দিয়েন। আমসত্ত্ব খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। কিন্তু বাসায় এত ভালো রোদ পাওয়া যায় না যে আমসত্ত্ব শুকাতে পারবো। ঠিকই বলেছেন আমসত্ত্ব সারা বছর রেখে খেতে বেশ ভালোই লাগে। দেখেই লোভ লেগে গেলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই রেখে দেব তারাতাড়ি চলে আসবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।