লোভী ভালোবাসা দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
লোভী ভালোবাসা দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি। আর সেই চেষ্টা থেকে আজ ও এসেছি নতুন একটা গল্প নিয়ে। আসলে গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনা।আসলে আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বলার মতো নয়। এমন ঘটনা থেকে আমাদের অবশ্যই শিক্ষা নেওয়া উচিত। আসলে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু একথা একদম সত্যি। যারা বেশি লোভ করেন তাদের বেশির ভাগ সময় খারাপ হয়ে থাকে।এমন ঘটনা আমার নিজের অনেক দেখা।তেমনি ঘটনা তন্নীমা ও তপুর জীবনে ঘটে গেছে ।
তন্নীমা ও তপু দুজনের যখন বিয়ে ঠিক হলো । তন্নীমা ও তপু নয় তাদের দুজনের পরিবারি মহা খুশি। যাইহোক মহা ধুমধামে দুজনের বিয়ের আয়োজন করা হলো। তারপর তন্নীমার মা ও তপুর বাবা দুজনে মিলে এক সাথে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিয়েটা বেশ ভালো ভাবেই হয়ে গেল। তবে তন্নীমা সব সময় ঢাকায় থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু তপু ঢাকায় থাকলেও গ্রামে তাঁর বাবা মা সব কিছু তাই তপুকে মাঝে মাঝে গ্রামে আসতে হয়। এভাবে চলে গেল চারমাস তপু দুই বার গ্রামে এসেছে। তৃতীয় বার তপু যখন গ্রামে আসবে তখন তন্নীমাকে সাথে নিয়ে আসবে কিন্তু তন্নীমা আসবে না। আসলে তন্নীমা তপুর ফুফাতো বোন হলেও গ্রাম অনেকে তন্নীমাকে চেনে না।এবার তপুর বেশ কিছু দিন ছুটি তাই বউকে সাথে নিয়ে আসবে।
কিন্তু তন্নীমা কিছুতেই গ্রামে আসবে না।এদিকে বিয়ের পরে তপুর বাবা মা তার ছেলের বউকে দেখেনি তার জন্য তপু তন্নীমাকে এবার নিয়ে আসবে। কিন্তু তন্নীমা কিছুতেই আসলো না। পরে তপু রাগ করে তন্নীমা রেখে বাবা মার কাছে চলে এলো।তপু গ্রামে এসে প্রায় দশদিন থাকলো কিন্তু তন্নীমা ও তপু দুজনের মধ্যে কোন যোগাযোগ হলো না। তপু ঢাকা ফিরে চাকরিতে জয়েন করলো।কিন্তু তপু ঢাকায় গিয়ে তার এক বন্ধুর কাছে রইল। এভাবে কয়েক দিন যাবার পরে তন্নীমার মা ঘটনাটি জানলো।এদিকে তপুর বাবা তপুর আসার পর থেকে সব কিছু জানলো।তন্নীমা কখনো গ্রামে আসবে না তপু তার বাবার একমাত্র পুত্র তাই তপুর বউকে তার বাবা মার সাথে থাকতেই হবে।
একদিন তপুর ফুফু তপুকে বাসায় যেতে বললো কিন্তু তপু গেল না।তপু তখন সিদান্ত নিল আমি তন্নীমার সাথে আর সংসার করবো না।এদিকে তপুর মা হঠাৎ করে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ল। তপুর মাকে হসপিটাল ভর্তি করানো হলো একথা শোনে ও তন্নীমা এলো না।তখন তপুর বাবা বুঝতে পারলো আমার লোভের জন্য আজ আমার ছেলের এই অবস্থা। আসলে তপুর বাবা ভেবেছিল তার বোনের সব সম্পত্তি তার ছেলের থাকবে কিন্তু এখন দেখছে বউ থাকছে না আর সম্পত্তি। আসলে তপুর বাবা চাইলে তপুকে ভালো ঘরে বিয়ে করাতে পারতো।কিন্তু তপুর বাবার বেশি লোভে জন্য তপুর জীবন নষ্ট।
এভাবে প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেল তখন তপু আর সহ্য করতে পারলো না। তপু সিদ্ধান্ত নিল এবার তন্নীমাকে ডিভোর্স দেবে।কিন্তু কাবিনে অনেক টাকা লিখা প্রায় দশ লক্ষ টাকা। তপুর বাবার লোভের জন্য টাকা ও বউ কিছুই পেল না অবশেষে দশ লক্ষ টাকা দিয়ে ডিভোর্স করানো লাগলো।সত্যি বেশি লোভ করলে মানুষের এমন হওয়া স্বাভাবিক। এর থেকে তপুকে গ্রাম থেকে ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করালে সত্যি বাবা মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারতো।তাই আমাদের সবারই উচিত কখনো লোভ না করা। লোভ মানুষকে ধ্বংস করে। আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1805257678333317158?t=JipFiqVqiFog2EZ1i0VjYw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকেই গল্প লেখা হয়। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এসব ঘটনা থেকে যদি শিক্ষা নেই তাহলে হয়তো আমাদের জীবনে এমন ভুল হবে না। আপু আপনার এই গল্পের এর আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম তপুর বাবার লোভের জন্য আজ তপুর সুন্দর জীবন নষ্ট গেলো। তপু হয়তো গ্ৰামের কোনো সহজ সরল মেয়েকে বিয়ে করলে সুখে থাকতে পারতো। অবশেষে তাদের ডিভোর্স হয়ে গেলো জেনে ভালো লাগলো। সেজন্যই বলে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।