পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘোরাঘুরি তৃতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘোরাঘুরি তৃতীয় পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আপনারা অনেকেই জানেন আমি পল্লি কবি জসিম মেলায় গিয়েছিলাম কয়েক দিন আগে। আসলে মেলাতে অনেক কিছু উঠেছে বেশ ঘুরাঘুরি করেছি। যদিও সবকিছু কিনা হয়নি কিন্তু দেখে অনেক ভালো লেগেছে। তবে বাচ্চা থাকলে না কিনতে চাইলেও টুকিটাকি বেশকিছু কেনাকাটা হয়ে গেছে। এক বছর পরে মেলা আসে তাই মেলার সব কিছু ঘুরে দেখার চেষ্টা করি। এর আগের দুই পর্ব শেয়ার করেছিলাম আপনাদের কাছে ভালো লেগেছিল তাই এসেছি ৩য় পর্ব নিয়ে। আগের পর্বগুলোর শেয়ার করেছিলাম বাচ্চাদের খেলনা কেনা ও রাইডে চড়া নিয়ে। আজ এসেছি মেলায় বিভিন্ন ধরনের স্টল ও নিজের জন্য টুকিটাকি কেনাকাটা নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা একটা চিপস এর দোকানে দাঁড়ালাম। আসলে চিপস গুলো কিনে রাখলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে এই চিপস গুলো যে কোন সময় ভেজে খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই আমি বেশ কিছু চিপস কিনে এনেছি। তারপর আপনারা দেখতে পারছেন হাতের ডিজাইন করছে। আসলে আগে কলেজ লাইফে এরকম ডিজাইন অনেক করেছি। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু কেমন যেন হারিয়ে গেছে। মেলাতে যেহেতু সামনে এভাবে ডিজাইন করা পরলো তাই একটু হাতে ডিজাইন করে নিলাম যদিও বাচ্চারাও সাথে করেছিল।
তারপর গেলাম কিছু কসমেটিক কেনার জন্য। আসলে কসমেটিক বলতে বিশেষ করে সিটি গোল্ডের চুরিগুলো কিনা আমার অনেক শখ। যদিও এখন চুরিগুলো সব সময় পড়া হয়না তবে কিনতে অনেক ভালো লাগে। তবে মেলাতে দাম নিয়ে তো কিছু বলার নেই বাইরে থেকে ডাবল দাম। দাম হলেও মেলা চুড়িগুলো অনেক ভালো ছিল আমার অনেক ভালো লেগেছে। তারপর এক ডজন চুড়ি কিনে নিয়েছি। তারপর কিছু মাথার ক্লিপ কিনেছি। দাম হলে ও জিনিসগুলো আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
তারপর গেলাম কাপড়-চোপড় এর স্টল গুলোতে। এই ভাইয়া বেশ কিছু রেডিমেট থ্রি পিস বিক্রি করছিল। থ্রি পিস গুলো দাম আন্দাজে মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু থ্রি পিস গুলো কিনিনি।শুধু থ্রি পিস গুলো দেখেছি তারপর ভাইয়াকে বললাম থাক আমরা নেব না আর দেখানোর দরকার নেই।
অনেকদিনের শখ ছিল মেলাতে একটা ব্যাগ কিনব । তারপর চলে গেলাম ব্যাগের দোকানে । আসলে ব্যাগ গুলো কিনতে অনেক ভালো তবে দাম বেশি হওয়ার জন্য কিনতে পারিনি।তবে পার্স গুলো অনেক পছন্দ হয়েছিল। তাই ভাবলাম দাম বেশি হলে ও পছন্দের জিনিস সব সময় পাওয়া যায় না। তাই তিনশত টাকা দিয়ে একটা পার্স কিনলাম। সত্যি বলতে আমার অনেক ভালো লেগেছে পার্সটি।
তারপর আমরা চলে গেলাম বেল পুরির দোকানে।আসলে শুধু বাচ্চারা না আমার মনে হয় সবারই এই বেল পুরি গুলো পছন্দ।তবে মেলা থেকে খাওয়ার পর পুরি গুলো আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি।তবে বাচ্চারা ও তেমন খেতে পারেনি।আসলে মেলার বেল পুরি গুলো মনে হয় ভালো ছিল না।
মেলাতে বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল গুলো বসেছিল। সত্যি এই খাবার গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই সামনে যখন পরে কিনে আনার চেষ্টা করি।বিশেষ করে মেলার খুরমা, নিমকিগুলো। তবে বুরিন্দা ও দানাদার গুলো আপনার ভাইয়ের অনেক পছন্দ ছিল। আপনার ভাই যেহেতু সাথে যায়নি তাই তার জন্য কিনে এনেছিলাম। আসলে মেলায় সব কিছু বেশ ভালোই লেগেছে। তবে দাম দাম একটু বেশি ছিল। সব কিছু মিলে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মেলায় ঘোরাঘুরি এই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপু আপনি আজকে পল্লী কবি জসিম উদ্দিন মেলায় ঘোরাঘুরি তৃতীয় পর্বটি অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। এর আগের পর্বগুলো আমি দেখেছি বেশ ভালো ছিল। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
মেলায় ঘুরতে আমারও বেশ ভালো লাগে, আসলেই বাচ্চা থাকলে কিনতে না চাইলেও কিনতে হয়।ছবি দেখেই মনে হচ্ছে আপনি পল্লিকবি জসিম মেলায় বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন।সবজায়গার বেল পুরি খেতে ভালো লাগে না,যাই হোক অনেক খাবারের ছবি দেখে লোভ লাগছে। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু বেল পুরি সব জায়গার গুলো ভালো লাগে না, ধন্যবাদ আপু।
পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘুরা ঘুরি করে আমাদের জন্য চমৎকার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। সত্যি বলতে মেলায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে, তবে ছোট বেলায় যে আনন্দ পেতাম সেটা এখন একদমই লাগে না।
এধরনের মেলায় জিনিসপত্র বেশ দাম দিয়ে কিনতে হয়। আপনি ব্যাগসহ বেশ কিছু জিনিস কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
আসলে ভাইয়া ছোট বেলা তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না,সত্যি বলেছেন ভাইয়া মেলার জিনিস পত্রের অনেক দাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের মেলায় ঘুরাঘুরি করেছেন এবং ঘোরাঘুরি তৃতীয় পর্বটা আপনি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে মেলার মধ্যে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন, এরকম মেলায় ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই সাথে অনেক না দেখার জিনিস গুলো দেখা যায় খুব কাছ থেকে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া মেলায় অনেক ভালো জিনিস দেখা যায় কাছ থেকে, ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
পল্লী কবি জসিম মেলায় খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি। এ ধরনের মেলা দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের জিনিসের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের খাবারয ক্রয় করে খাওয়াও যায়। এক বছর পরপর মেলা অনুষ্ঠিত হয় যা দারুন ব্যাপার। আমাদের দিকেও রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে প্রতিবছর মেলা অনুষ্ঠিত হয় যা দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লাগে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আপনি পল্লী কবি জসিম মেলায় একটি অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন। আপনার বর্ণনা এতটাই জীবন্ত যে মনে হয় আমিও মেলার সেই রঙিন আমেজে ডুব দিয়েছি। আপনার কেনাকাটা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ধরন খুবই মনোগ্রাহী। আপনার পোস্ট পড়ে আমার নিজের শৈশবের মেলার স্মৃতি জেগে উঠেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্টের জন্য।
জি ভাইয়া অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
মেলাতে ঘুরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে। আর বিশেষ করে মেলাতে কিছু কিছু কালেকশন থাকে যেগুলো সচরাচর এমনি কোন দোকানে দেখতে পাওয়া যায় না। যাইহোক বেলপুরি আসলে লোভনীয় তবে কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত সেটাই হচ্ছে বিষয়। যাইহোক সর্বোপরি চুড়ি সহ কিছু টুকিটাকি জিনিস কিনে বাসায় ফিরলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন ।
মেলায় ঘোরাঘুরি করতে আমার তো ভীষণ ভালো লাগে। এখনকার মেলা বিশেষ করে মেয়েদের জিনিসে ভরপুর। আমাদের ছেলেদের খুব কম জিনিস পাওয়া যায় ওখানে। মেয়েদের বেশ আকর্ষণীয় চুরি থেকে শুরু করে ব্যাগ ও কসমেটিক অনেক কিছু পাওয়া যায়। আপনারা দেখতেছি বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন। অনেক আইটেম দেখতে পারতেছি এগুলো বেশি ভালোই লাগতেছে। খাওয়ার আইটেম বেশ এসেছে। দারুন মুহূর্ত তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘোরাঘুরি করার পূর্ববর্তী পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর পর্ব পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে ঘোরাঘুরি করার মজাই একেবারে আলাদা। মেলার মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছু দেখে একটি আলাদা ভালো লাগা কাজ করে৷ আপনিও সেরকম কিছু অসাধারণ জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং এখানে কাটানো খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপ ভালো লে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।