জেনারেল রাইটিং :অভাবে স্বভাব নষ্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে কথায় আছে না অভাবে স্বভাব নষ্ট। সত্যি কিছু কিছু মানুষ ভালো থাকলে ও অনেক সময় অভাবের কারণে স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়।আসলে অভাব যখন ঘরে আসে, তখন ভালোবাসা কেন যে কোন জিনিসই জানালা দিয়ে পালায়।বর্তমান দেশে যে অবস্থা চলছে তাতে করে সাধারণ মানুষসহ দরিদ্র মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর। বর্তমান দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে। সত্যি আমি জন্মের পর থেকে আমার আশেপাশে এমন অভাব কখনো দেখিনি। আর অভাব থাকবেই না কেন বর্তমান সরকার যে ভাবে কারফিউ দিচ্ছে। আমি ছোট বেলায় থেকে ইতিহাসে পড়েছি প্রাচীনকালের মানুষ নাকি ভাতের মাড় খেয়ে থাকতো। তারপর গাছের লতা পাতা পরিধান করতো।এখন দেখছি আবার সেই অভাব শুরু হয়ে গেছে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমাদের এক প্রতিবেশী আমাদের অনেক নিকটে তার বোনের বাড়ির ঘটনা । আসলে তার বোনের নাম তাসলিমা। তাসলিমার স্বভাব অনেক ভালো ছিল। তার তিন ছেলে মেয়ে।তবে ছেলে মেয়েরা বেশ ভালোই বড় বড়।ছেলে দুটির বয়স (২০-২২) বছর হবে।। তবে ছেলে দুটি তেমন কিছু করে না। তার স্বামী রিক্সা চালায় আর মেয়েটা টাকার অভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি। তবে কিছু দিন হলো তাসলিমার স্বামী ও রিক্সা বিক্রি করে দিয়েছে। আসলে তারা মোট পাঁচজন মানুষ। এখন সবাই বেকার, আসলে পেটতো আর বেকার মানে না। আমরা যতই বসে থাকি না কেন সময় মতো ঠিক ক্ষুধা লাগে। পেটের ক্ষুধা বেকার মানে না।
তাসলিমা মানুষের বাড়ি থেকে একটু একটু করে চেয়ে নিয়ে ছেলেমেয়েদের খাওয়ায়।আসলে সবাই তাকে অনেক অনেক সাহায্য করে। তবে মানুষ কতক্ষণ সাহায্য করবে।সবাই মিলে বসে খেলে কি দিন যায়। একজন রাতদিন খেটে পরিশ্রম করবে আর অন্যজন বসে কিভাবে ভাত খাবে।যদিও আমি অনেক সময় বলি ওদের কেউ সাহায্য করবে না কিন্তু যখন দেখে না খেয়ে আছে তখন আর ভালো লাগে না।এভাবেই অনেক কষ্ট দিন চলছে। বর্তমান যুগে মানুষ কাজ করেই ভাত পায় না আর তো বসে বসে কিভাবে পাবে।আর বসে থাকলে শুধু মানুষ বেশি খারাপ হয়ে যায়।
এভাবে একদিন তাসলিমার বড় ছেলে বাজে ছেলেদের সাথে মিশে নেশা করলো।তারপর আস্তে আস্তে চুরি করা ধরলো।কারণ নেশা করার টাকা যোগার করতে হবে তারজন্য চুরি ছাড়া আর কোন উপায় নেই। চুরি করে আমাদের এলাকা থেকে। আসলে এরা তো কেবল চুরি করা ধরেছে।এভাবে আমাদের পাশে বাড়ি থেকে দুটি ফোন চুরি করে নিয়েছে কিন্তু ধরা পরেনি।তারকিছু দিন পরে আরো দুটি ফোন নিয়েছে। তারপর এলাকার মানুষ ওকে সন্দেহ করা শুরু করলো। কিন্তু হাতে না ধরে কিভাবে মানুষ বলবে। একদিন আবার যখন আগের বাড়িতে চুরি করতে গেল সেই দিন হাতে নাতে ধরা খেল। তখন আগের সব চুরি করার ঘটনা বলে দিল। তারপর এলাকার ছেলে বলে প্রথম বারের মতো তাসলিমাকে বলে ছেড়ে দিল। এখন ঠিক হবে কিনা বলতে পারছি না। যদিও ছেলেটা অনেক ভালো ছিল, পড়াশোনা করেনি তাতে কি যদি কোন কর্ম করতো তাহলে হয়তো এমন হতো না। তারপর অভাবের কারণে আরো বেশি হয়েছে। তাই আমাদের সবার উচিত বাচ্চারা পড়াশোনা না করলে, একটু বয়স হলে কর্ম শিখানো। আসলে সবাই তো আর পড়াশোনা করে না।যাইহোক আশাকরি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1819322483906146750?t=YaNflqNojGg10PrB2Hsmrw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার গল্পটি পড়ে তাসলিমা দের ওপর আমার অনেক রাগ হচ্ছে। কেন বর্তমান যুগে কাজ করেই ঠিকঠাক ভাবে খাওয়া-দাওয়া চলাফেরা করা যায় না। আর তাসলিমা দের পরিবারের পাঁচজন সদস্য তাও আবার একদম বড় বড় মানুষ। এরা যদি সবাই মিলে আয় রোজগার করে খেত তাহলে এদের দিন অনেক সুখের যেত। কিন্তু তাসলিমা দের জন্যই আজকে তাদের অভাব তার ছেলে নেশা করে এবং চুড়ির করে। আমার মতে এদেরকে সাহায্য না করাই উচিত। অভাবে স্বভাব নষ্ট হয় কথাটা ঠিক কিন্তু আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে যেন অভাব না আসে। ভালো লাগলো আপু আপনার গল্পটি পড়ে এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। অনেক কষ্ট করে হলেও হালাল টাকা উপার্জন করে খেতে হবে।
আসলে আপু এদের সাহায্য করা মোটেও উচিত নয়, তবে সামনে দেখলে আর ভালো লাগে না।। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মত আমি নিজেও শুনেছি আগেরকার মানুষ ভাতের অভাবে ভাতের মাড় খেতেন। এবং গাছের লতাপাতা খেতেন। তবে আপনার পোষ্টের সাথে আমি একমত। অভাবে সময় নষ্ট।তাসলিমা তার ছেলেগুলোকে অভাবের মধ্যে বড় করেছে। ছেলেটি নেশা করে এবং নেশার টাকা যোগাড় না করতে পেরে হয়তো বা সে খারাপ রাস্তা ভেসে নিয়েছে। তবে ছুরি বা ডাকাতি কোন অভিভাবক আশা করা না সন্তানদের থেকে। হয়তোবা ছেলেটি পড়ালেখা করলে এই পথে যেত না। বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন আপু আসলে মানুষের স্বভাব এমনিতে খারাপ হয় না কিছু কিছু পারিপার্শ্বিকতার কারণে হয়ে যাই। আবার দেখবেন যে কোন কিছু পাওয়ার সামর্থ্য থাকে না। কিন্তু সেই জিনিসটা যদি না পাই তাহলেই চুরি করে সে চাহিদাটা পূরণ করে নিতে চাই। এভাবে মানুষের অভাবের কারণে অনেক সময় স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়। আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। বর্তমানে যা অবস্থা জিনিসের দাম যারা অতি দরিদ্র তাদের তো বেহাল অবস্থা।
জি আপু অবস্থা অনেক খারাপ তবে কাজ করে খেতে হবে, ধন্যবাদ আপু।
খুব দুঃখজনক ঘটনা আপু। আসলেই অভাবে স্বাভাব নষ্ট হয় অনেকেরই। আপনার পোস্ট টি পড়ে সত্যি খুব খারাপ লাগছে পরিবারটির জন্য তবে চুড়ির পথ বেছে নেয়া কোন অবস্থায় সঠিক নয়।পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অভাবে স্বভাব নষ্ট হয় এই ব্যাপারটা তো একেবারেই ঠিক। তবে যারা অভাবে পড়ে কাজ না করে চুরির পথ বেছে নেয়, সেটাতো অবশ্যই বড় ধরনের অন্যায়। তাসলিমার বড় ছেলে খারাপ সঙ্গে মিশে হয়তো চোর তৈরি হয়েছে। তবে সে যদি কাজে ব্যস্ত থাকতো কিংবা ভালো সঙ্গ পেতো তাহলে হয়তো এই ব্যাপারটা হতো না।
অবশ্যই ভাইয়া ভালো মানুষের সাথে মিশলে এমন হতো না, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আমিও এর আগে কখনো মানুষের এত অভাব দেখি নি।খুবই খারাপ লাগে আসলে দিনশেষে আমরা নিরুপায়। ঘটনা টা পড়ে খারাপই লাগলো। কেউ অভাবে খারাপ হয় আর কারোর স্বভাবই খারাপ।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ একবারে বাস্তবিক কিছু কথা আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে অভাবে মানুষ থাকবে এবং সে অভাবের কারণে যদি কোন ধরনের খারাপ পথ বেছে নেয় তখন তার থেকে কষ্টের বিষয় আর কিছু পারে না৷ এই অভাবের সময় আমাদেরকে ভালো কোন কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবে তাসলিমার ছেলে অভাবের কারণে খারাপ সঙ্গ নিয়ে চোর তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলে তার ভবিষ্যতে একেবারে অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে৷ সে যদি ভালো কোন মানুষের সাথে চলাফেরা করত তাহলে হয়তো এরকমটা হতো না৷