হারুন সাহেব এর সফলতার গল্প দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
হারুন সাহেব এর সফলতার গল্প দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। সেই চেষ্টা থেকে আজ ও এসেছি একটি বাস্তব গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে। আসলে গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনা। যাইহোক আজ এসেছি হারুন সাহেব এর সফলতার গল্পের দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব নিয়ে। আসলে জীবনে সফলতা আনতে হলে অনেক পরিশ্রম বা ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। সৎ পথে সফলতা পাওয়া আসলে অনেক কষ্টের। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
হারুন সাহেব যখন একটা দোকান নিল তখন কোন রকম দোকানটা দাঁড় করালো।আসলে হারুন সাহেব ক্ষুদ্র থেকে বড় হতে অনেকটা সময় পার করতে হয়েছে। তারপর সে আস্তে আস্তে তার দোকান থেকে আয় করতে লাগলো। আসলে বেশি আয় করতে হলে তো বেশি পুঁজির প্রয়োজন কিন্তু হারুন সাহেবের তেমন পুঁজি ছিল না আর যা ছিল তা দিয়ে দোকান নিয়েছে আবার দোকানে ডেকোরেশন করেছে তাই মাল উঠানোর মতো কোন পুঁজি ছিল না। এদিকে হারুন সাহেব এর এক মামা তাকে বললো তুই মাল উঠা পুঁজি আমি দেব।তার মামার কাছ থেকে এক লক্ষ নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়লো।আসলে পুঁজি অল্প হলে যা হয় আরকি। প্রথম দিকে হারুন সাহেব এর ব্যবসা ভালো চলেও ও কিছু দিন পর আর চলছিল না।
আসলে হারুন সাহেব এর ব্যবসায় উন্নতি দেখে হারুন সাহেব এর পাশে এক অর্থশালী লোক দোকান দিল। তবে লোকটার অনেক টাকা পয়সা থাকলেও ব্যবসা তেমন বুঝে না।তবে লোকটা শুধু হারুন সাহেব এর ক্ষতি করার জন্য ব্যবসায় নেমেছে। তবে লোকটি বুঝতে পারছি না হারুন সাহেব এর ক্ষতি করতে গিয়ে নিজের বড় ক্ষতি হচ্ছে। লোকটার জন্য হারুন সাহেব অনেকটা বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়লো।আসলে লোকটি হারুন সাহেব এর চেয়ে কম দামে সকল জিনিস বিক্রি করতে লাগলো।আবার তার দোকানে সকল জিনিস পত্র রয়েছে। আর এদিকে হারুন সাহেব এর তেমন জিনিস পত্র নিই আবার দাম একটু বেশি দিয়ে কিনতে হয়। তাই লোকজন হারুন সাহেব এর থেকে অন্য দোকানে বেশি ভীর করে। এদিকে হারুন সাহেব জিনিস না বিক্রি করতে পেরে দোকান ভাড়া, কারেন্ট এর বিল ইত্যাদি না দিতে পেরে বাধ্য হয়ে দোকান ছেড়ে দিল।
দোকানদার কিছু টাকা দিয়ে রাস্তায় অন্য পাশে আর একটা ছোট দোকান নিল। আসলে হারুন সাহেব এর কথা আমি যেভাবেই হোক সফলতা লাভ করবোই। যাইহোক রাস্তার পাশে তার দোকান বেশ ভালোই চলছে। এভাবে কিছু দিন করার পরে হারুণ সাহেব মার্কেটের ভিতরে বড় দোকান নিল। এখন হারুন সাহেব বেশ উন্নতি লাভ করলো। ব্যবসায় উন্নতি লাভ হওয়ার সাথে সাথে হারুন সাহেব চলে গেল আগের দোকানে পাশের দোকানদারকে দেখতে। কিন্তু লোকটি ব্যবসায় লজ খেয়ে অবশেষে পালিয়েছে। আর লোকটির জন্য হারুন সাহেব এর অনেক কষ্ট হয়েছে। আসলে কথায় আছে না পরের জন্য গর্ত করলে নিজের পড়তে হয়। যাইহোক হারুন সাহেব ব্যর্থ হয়েছে তবে ব্যবসা বাদ দেয়নি। হারুন সাহেব এর আত্নবিশ্বাসী ছিল ব্যবসা করে কিছু করতে পারবে।আসলে আমাদের আত্মবিশ্বাস চেষ্টা আর পরিশ্রম থাকলে জীবনে সব করা যায়।হারুন সাহেব আজ অনেক ভালো আছে ।আশাকরি আমার গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার প্রতি সপ্তাহে একটি করে গল্প লেখার চেষ্টা করেন জেনে ভালো লাগলো। আমার কাছেও গল্প লিখতে ও পড়তে খুব ভালো লাগে। আমি সবসময় চেষ্টা করি বাস্তবের ঘটনা তুলে ধরার জন্য। আপনি আজ খুব সুন্দর একটি গল্পের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন। যদিও প্রথম পর্ব পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আপু অন্যের জন্য গর্ত করতে গেলে নিজেই সেই গর্তে পড়তে হয়। হারুন সাহেবের ক্ষতি করার জন্য যে লোকটি দোকান দিয়েছিল অবশেষে সেই লোকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু হারুন সাহেব সেখান থেকে গিয়ে অন্য জায়গায় ছোট দোকানের মাধ্যমে সে বড় দোকান দিয়ে লাভবান হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। তাইতো বলে বিপদে কখনো ধৈর্য হারাতে হয় না। বুদ্ধি দিয়ে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। তাহলেই জীবনে উন্নতি করা যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ব্যবসায় উথাল পাথাল হবেই তবে লক্ষ্য থাকতে হবে যেভাবে হোক ভালো করার,আর এই লক্ষ্যটা হারুন সাহেবের ছিলো।আপনার গল্পের প্রথম পর্বও পড়েছিলাম, বেশ ভালো লেগেছে তবে গল্পের পর্বগুলো আরেকটু বড় হলে ভালো হতো।ধন্যবাদ আপু