জরিনার উদ্যোক্তার সফলতার কারণ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
জরিনার উদ্যোক্তার সফলতার কারণ
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং লেখার জন্য। সেই চেষ্টা থেকে আজ ও এসেছি একটি রাইটিং লেখা নিয়ে। আসলে আজ এসেছি বাস্তব একটা লেখা নিয়ে। কয়েক দিন আগে আমরা এক বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখানে জরিনা খালার সাথে পরিচয় হলো।তাই জরিনা খালা তার জীবনের সফলতার গল্প বলল।সত্যি সে ব্যর্থ হয়েছে তবে কখনো ভেঙে পড়েনি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
জরিনা অনেক দরিদ্র ছিল। একটা ছেলে ও মেয়ে নিয়ে তার সংসার মোটেও চলতো না।তাই জরিনা উদ্যোগ নিল তার সংসারে কিভাবে হাল ধরা যায়। তাই জরিনা একটা এনজি ও থেকে ২০০০০ টাকা লোন নিল।তারপর এক প্রতিবেশির কাছ থেকে শুনলো যে ব্রয়লার মুরগি পালন করলে অনেক অল্প দিনে অনেক লাভ হবে।তাই জরিনা দশ হাজার দিয়ে বেশ কিছু ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা কিনল।আর বাকি টাকা দিয়ে মুরগী ঘর খাবার অন্যান্য জিনিস কিনল।
যাইহোক কয়েক দিনের মধ্যে জরিনার মুরগীর বাচ্চা গুলো বড় হতে লাগলো। জরিনা দেখে অনেক খুশি, সে তারাতাড়ি সব বাচ্চা গুলো বিক্রি করতে পারবে।তবে একদিন সকালে জরিনা দেখে তারএকটা মুরগি মারা গেছে। আবার বিকেলে তিনটা বাচ্চা মারা গেছে এভাবে মারা যেতেই লাগল।তারপর জরিনা করিমন এর কাছে গেল। সে জরিনাকে বললো তুমি পশু ডাক্তারের কাছে যাও।সে গেল কিন্তু পশু ডাক্তার তাকে অনেক পরামর্শ দিল।কিন্তু জরিনা এসে দেখে তার সব মুরগির বাচ্চা গুলো মারা গিয়েছে। আসলে জরিনা জানত না দেশি মুরগী আর ব্রয়লার মুরগি পালন এক নয়।সব মুরগির বাচ্চা গুলো মারা যাওয়াতে জরিনা একেবারে ভেঙে পড়ল।আসলে এতো কষ্ট করে ব্যবসা করতে গিয়ে সে কি করলো সব লজ।
এভাবে কয়েক দিন চলে গেল। হঠাং একদিন জরিনা শোনতে পারল পশু সম্পর্কে ফ্রিতে ট্রেনিং দিচ্ছে। তারপর জরিনা সেখানে গিয়ে যোগ দিল।জরিনা ট্রেনিং শেষে আবার এনজিও থেকে৩০, ০০০ টাকা লোন নিল। এবার জরিনা আগের মতো প্রায় তিনশ মুরগি কিনল।আসলে এবার জরিনা বেশ ভালো প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাই জরিনার বেশ ভালো মনোবল নিয়ে ব্যবসা শুরু করে।এবার মুরগি বেশ ভালো আছে। অনেক তারাতাড়ি জরিনা তার মুরগি গুলো বিক্রি করল ৭৫০০০টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে জরিনা এবার ২৫ ০০০ টাকা লাভ করলো।তারপর আস্তে আস্তে জরিনার ব্যবসার এমন লাভ হতে লাগলো। তারপর জরিনা তার মুরগির লাভের অংশ দিয়ে এক গাভী কিনল।এখন জরিনা তার ছেলেমেয়ে নিয়ে বেশ ভালোই আছে। আজ জরিনা মুরগি বিক্রি করে সফল। জরিনার আত্মবিশ্বাস ছিল যতটা কষ্ট হোক না কেন সে তার সংসারের হাল ধরনেই। যদিও জরিনার সফল হওয়ার পিছনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আসলে শুধু জরিনা কেন আমার মনে হয় সবারই এভাবে কাজে সফলতা আনতে পারব।তবে সফলতা আনার পিছনে আমাদের থাকতে হবে পরিশ্রম ও ধৈর্য্য। তাহলে হয়তো জীবনে সফলতা পাওয়া যাবে।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জরিনার উদ্যোক্তার কারণে সে এখন সফলতা অর্জন করতে পেয়েছে, এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে। জরিনা মুরগি পালনের উদ্যোগ নিয়ে ভালোই করল। ওনার এই উদ্যোগের কারণে এখন তিনি এই স্থান অর্জন করতে পেরেছেন। তিনি এখন অনেক টাকা দিয়ে নিজের মুরগিগুলো বিক্রি করছেন। মুরগি বিক্রি করার ফলে তিনি অনেক টাকা লাভ করেছেন। এভাবে যদি তিনি এই ব্যবসা চালিয়ে যান, তাহলে এক সময় দেখা যাবে খুব ভালাওই স্থান অবস্থানে রয়েছে। উনার এই সফলতার উদ্যোক্তার সম্পর্কে সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু ধৈর্য্য আর চেষ্টা থাকলে সব সম্ভব হবে,ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।