সবজি নার্সারিতে কাটানোর অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সবজি নার্সারিতে কাটানোর অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটি সবজি নার্সারিতে কাটানোর অনুভূতি নিয়ে । আমরা বেশ কয়েক দিন আগে একটা সবজি নার্সারিতে গিয়ে ছিলাম।উনারা নিজেরা সকল সবজি লাগায় তবে সবজিতে তেমন কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয়নি। আসলে আমরা গিয়েছিলাম দুপুর বেলা, তখন অনেক রোদ ছিল তাই সম্পূর্ণ সবজি বাগান মনের মতো করে দেখতে পারিনি।তবে যতটুকু পেরেছি বেশ ভালোই লেগেছে। আসলে আমাদের আনাচে কানাচে এমন ছোট জায়গায় যদি একটা করে সবজি লাগায় তাহলে হয়তো আমরা ভালো সবজি খেতে পারব।তবে বাগানে এতো পরিমাণ সবজি ছিল দেখে মন ভরে উঠল। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা বেশ কয়েক জন গিয়েছিলাম সবজি বাগানে। আসলে আমরা রাস্তা থেকে নেমে আগে তাদের সবজি বীজ রাখার ঘরে উঠলাম।বাইরে অনেক রোদ তাই আগে ঘরের বারান্দায় গিয়ে চার্ট দেখলাম কি কি সবজি লাগিয়েছে।তবে বারান্দায় সিমের বীচি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এখন বেশির ভাগ সিম পেঁকে গেছে।
এই সবজির সাথে আমরা অনেকেই অপরিচিত। আসলে আমি ও জানতাম না এটা কি সবজি, আমাদের ভিতরের অনেকেই বলছে এটা লাল মুলো। তারপর উনারা একজন বললো এটা হচ্ছে বিট। তারপর কেয়ার টেকার ভাইয়া একটা বিট তুলে আমাদের সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন বিট এর উপকারীতা। আসলে বিট আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
তারপর গেলাম টমেটো ও ক্যাপসিকাম মরিচ গুলো দেখতে। আসলে ক্ষেতের টাটকা জিনিস দেখে মন এমনিতে ভরে যায়। টমেটো গুলো দেখে মনে হচ্ছে যদি এক পিস ক্ষেতে পারতাম। তবে রোজার দিন দেখে আর খাওয়া হয়নি।টমেটো খাওয়া হয়নি কি হয়েছে ক্যাপসিকাম মরিচ ঠিক নিয়ে এসেছি। আসলে এমন টাটকা সবজি দেখতেও খেতে অনেক ভালো লাগে। যদিও আমরা যারা গ্রামে থাকি মাঝে মাঝে টাটকা সবজি গুলো পায় কিন্তু শহরের লোকজন এগুলো পায় না বলেই চলে।
এই হচ্ছে উস্তা বা করল্লা। আমাদের লোকসংখ্যা অনেক বাড়ছে তবে জমির পরিমাণ বাড়ছে না। তাই অল্প জমিতে কিভাবে বেশি আয় করা যায় সেই ব্যবহার করছে। আসলে করল্লার মাচা এভাবে দিলে করল্লার অনেক গাছ লাগানো যায়।যদিও গ্রামের অনেকে এভাবে দেয় কিন্তু আপনাদের এলাকায় কখনো দেখিনি। সবজি নার্সারিতে গিয়ে এাই পদ্ধতি দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি অল্প জায়গাতে বেশি চাষ করা সম্ভব এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।
এগুলো হচ্ছে বেগুন। আসলে অনেক বেগুন গাছের নিচে পড়ে আছে। আমি উনাদের বলাতে বেগুনগুলো তুলেন না কেন। কেয়ারটেকার ভাই বলল আসলে আপু ভালো গুলো নিয়ে বিক্রি করা হয় আর দাম কম তার জন্য সবগুলো নেয়া হয় না। তবে বেগুনগুলো দেখতে বেশ তাজা।আমরা দুপুরবেলা যাওয়াতে বেগুনগুলো কত সুন্দর দেখতে ।
তারপর গেলাম দেখতে উনারা কিভাবে জৈব সার তৈরি করে ও বীজ উৎপাদন করে। আসলে উনারা সকল সবজির পাতা পঁচিয়ে তারপর জৈব সার তৈরি করে। এটার নাম কি বলেছিল আমি ভুলে গিয়েছি।আসলে এভাবে পলি দিয়ে ঢেকে চারা গজানো পদ্ধতি আমার প্রথম দেখা।মাঝে মাঝে এভাবে লাইন দিয়ে পানি বের করার পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।তবে এখানে ফরমালিন ব্যবহার করা হয় না। নিজেরাই সার উৎপাদন করে গাছে দেয় অনেক ভালো সবজিগুলো। সবজিগুলোতে কোন ভেজাল নেই।
আরো বিভিন্ন ধরনের বীজ উৎপাদন করে এরা। আর নিজেরা সকল কিছু উৎপাদন করে আবার লাগায়।এরা এক একটি পেঁপের চারা ২৫ টাকা পিস বিক্রি করে। আর পেঁপে গুলো অনেক বড় আর মিষ্টি। গাছ থেকে দুটি পাকা পেঁপে আমাদের দিয়েছে। আমি ইফতারিতে কেটে ছিলাম অনেক মজার ছিল। তারপর আবার কিছু পেঁপের চারা কিনে এনেছি। সত্যি এমন সবজি বাগানে ঘুরতে অনেক ভালো লেগেছে। আর তাজা সবজি গুলো খেতে অনেক মজার। আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। ভালো লেগেছে পোস্টটি। আপনার পোস্টে অনেক তরতাজা সবজি গাছ ও চারার ছবি দেখলাম। সেই সাথে পরিবেশ বান্ধব জৈব সারের প্লান্ট। আমার মনে হয় যে সময় টুকু এই নার্সারীতে আপনারা ছিলেন, বেশ আনন্দে ছিলেন।পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জি আপু সবজি গুলো অনেক তরতাজা ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল এবং চাষাবাদ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপু। ঠিক বলেছেন জমির এই তাজা ফসল এবং ফলমূল খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ সব্জির নার্সারিতে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেউ অনেক ধন্যবাদ আপু
আপনার পোস্টে দেখে মনে হচ্ছে বিশাল এলাকা নিয়ে এই সবজি বাগান। এবং এই সবজি বাগানে বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদন করা হয়ে থাকে। আপু আপনি যেটাকে বলা ভেবেছিলেন এটা হল বিট। আর এই বিট মানুষের দেহের জন্য ভীষণ উপকার শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে। সবজি নার্সারিতে আপনি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং সেই সময়টা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি যতটা মনে করি এই কমিউনিটিতে একমাত্র আমিই সবচেয়ে বেশি শাকসবজি নিয়ে মাথা ঘামিয়ে থাকি। তবে তা টাটকা শাকসবজি। আর সে জায়গায় আপনি সবজির নার্সারি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন চমৎকার ভাবে। এজন্য আমার বেশি ভালো লাগলো আপু।
সত্যি ভাইয়া এমন সবজি হলে আর কিছু লাগে না, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা সবজি বাগান দেখে বেশ ভালো লেগেছে আপু। যদি আমরা এই ধরনের সবজি বাগান করতে পারি তাহলে বেশ কিছু সবজি খেতে পারব। বর্তমান সময়ে মানুষ বাড়লেও জায়গার পরিমাণ বাড়তেছে না। তাই সবাই চেষ্টা করেন সল্প জমির মধ্যে কিভাবে অতিরিক্ত ফসল ফলানো যায়। আপনি সবজি বাগানে যেয়ে বেশ ভালো করলেন। আপনার মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর সবজি দেখতে পেয়েছি। মুহূর্তটি অনেক ভালো লেগেছে পড়ে।
ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ধরনের ফুলের নার্সারিতে যাওয়া হয়েছিল৷ তবে কখনোই সবজি নার্সারিতে যাওয়া হয়নি৷ আমাদের এদিকে সবজি নার্সারি তেমন একটা নেই৷ তবে আজকে আপনি এই সবজি নার্সারিতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং বর্ণনার মাধ্যমে সবকিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে এরকম অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই গ্রহণ করা উচিত৷
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।