মায়ের ভালোবাসা ২য় বা শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
মায়ের ভালোবাসা ২য় বা শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি গল্পের বাকি অংশ নিয়ে। গত সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি । সত্যি বলতে গল্প পড়তে ও লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা। গত সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম আপনাদের কাছে ভালো লেগেছিল তাই সেই গল্পের বাকি অংশ নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আবিবের মা যখন আবিরের বউকে নিয়ে প্রতি দিন রাতে চলে যায়। বেশ কিছু দিন যাবার পরে আবির একদিন দেখতে চাইলো তার বউ আর তার মা ঘরের ভিতরে কি করে।আর আবির যখন তার বউকে কোন প্রশ্ন করে বউকে উত্তর দেবার কোন সুযোগ দেই না আবিরের মা। তারপর সন্ধ্যা নেমে আসলো। তখম আবির তার মা ও আবিরের বউ তিনজন মিলে এক সাথে খাওয়া দাওয়া করলো।প্রতি দিনের মতো আবিরের মা আবিরের বউকে নিয়ে অন্য ঘরে চলে গেল। তারা যাবার আগে আবির ঘরের ভিতরে গিয়ে লুকিয়ে পড়লো।এদিকে আবিরের মা আর আবিরের বউ দুজনে কথা বলছে। আবিরের বউ বলছে আম্মু কতো দিন হলো এভাবে আমি কাজ করছি কিন্তু কোন কিছু পাচ্ছি না।আবিরের মা তখন বললো আমাদের হাল ছাড়লে চলবে না আমাদের কাজ করে যেতেই হবে যতদিন পর্যন্ত না এর গোপন রহস্য উদ্ধার না করতে পারি।
তখন আবিরের মা বলল অনেক কথা হয়েছে এখন চলো আমরা কাজে নেমে যায়। তারপর দুজনে সব জিনিস উঠালো। আসলে তারা ঘরের ভিতরে গর্ত করছে আর দিনের বেলা সেই গর্ত ঢেকে রাখছে। এমনকি আবির ও আজ পর্যন্ত তাদের কাজ কর্ম জানতে পারেনি।আসলে আবির লোক সমাজে বলে বেড়াবে দেখে তার মা বলেনি।তারপর আবির দেখলো যে তার মা আর বউ মিলে অনেক গর্ত করেছে। আবির বেশ কিছু সময় দেখতে লাগলো। তারপর আবিরের মা হঠাৎ করে জোরে একটা চিৎকার দিল। বলতে লাগলো বউমা আমাদের কাজ করা সফল হয়েছে। দেখ এখন গুপ্তধন দেখা যাচ্ছে। তারপর দুজন মিলে আর একটু গর্ত করতে লাগলো। কিছু সময় পরে আবিরের মা একটা কাসার কলস তুলল। এভাবে অনেক গুলো জিনিস তুললো। দুটি জিনিস কাসার আর বাকি সব জিনিস সোনার।
এগুলো দেখে আবির তাদের সামনে এলো। তখন আবিরের মা বললো তুই যখন সব দেখেছিছ একথা আর কাউকে বলবি না। আমি তোর বাবা মারা যাবার পর থেকেই এই গুপ্তধনের অপেক্ষায় ছিলাম।আজ সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। এখন আর আমাদের কোন কষ্ট থাকবে না। বাবা আমি তোর বউকে দিয়ে অনেক কষ্ট করিয়েছি শুধু এই গুপ্ত ধনের জন্য। আমি জানি বিয়ের পরে কোন ছেলে তার বউকে ছাড়া থাকতে পারে না। কিন্তু তোকে থাকতে আমি বাধ্য করেছি। তখন আবির বললো মা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। যদিও আমার অনেক কষ্ট হয়েছে কিন্তু কখনো তোমাকে কিছু বলিনি। যাইহোক আবিরের মার জন্য আজ আবিররা এলাকার ধনী হয়ে উঠেছে।সত্যি মা ছেলের ভালোবাসা অনেক মধুর ছিল। তাই আমাদের প্রতিটি সন্তানের উচিত বাবা মা আমাদের জন্য যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমাদের সবার উচিত বাবা মাকে সম্মান করা। আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1810325979241529460?t=RDOBdAZNXxRRplEvnyJiew&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মায়ের ভালোবাসার তুলনা কোন কিছুতেই হয় না। মায়ের ভালোবাসা গুপ্তধনের চেয়েও বেশি মূল্যবান। মা এবং বউয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আবির এলাকার মধ্যে ধ্বনিতে পরিণত হলো। তাদের গুপ্তধন পাওয়ার রহস্যটা সত্যিই রহস্য জনক। অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এমন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু মায়ের ভালোবাসা কিছুর সাথে তুলনা হয় না, ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।