ঈদে কাটানো বাচ্চাদের মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
ঈদে কাটানো বাচ্চাদের মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আবার আগের মতো তাপমাত্রা শুরু হয়েছে। তাই সবাই চেষ্টা করবেন সাবধানে থাকার জন্য। যাইহোক আজ এসেছি ঈদে কাটানো বাচ্চাদের আনন্দ নিয়ে।আসলে পোস্টটি অনেক আগেই করতে চেয়েছিলাম কিন্তু অন্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ছবি গুলো হারিয়ে গিয়েছিল। তাই আজ ছবি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেই । সত্যি ঈদ মানে আনন্দ। আর এই আনন্দ সবার জীবন থাকে। তবে আমার মনে হয় বাচ্চাদের আনন্দটা একটু বেশি হয়ে থাকে। আসলে ঈদে সবাই চেষ্টা করে তার বাচ্চাদের সাধ্যমতো সব কিছু দেবার জন্য। তবে ঈদে সবার আনন্দ কিন্তু একই রকম নয়। একেক জনের আনন্দ একেক ধরনের। আসলে বড়লোকদের ঈদ মানে অনেক আনন্দের, আর মধ্যবিত্তদের মোটামুটি আর দরিদ্রদের আনন্দ নেই বলেই চলে। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
সত্যি বলতে ঈদের দিন আমরা সকাল থেকে ব্যস্ত থাকি। শুধু ঈদের দিন বললে ভুল হবে ঈদের আগের, ঈদের দিন ও পরের দিন। আমরা সবাই মিলে এক সাথে ঈদ করি তাই ঈদে আমাদের আনন্দটা বেশি হয়। আসলে সবাই মিলে কিছু করার মজাই আলাদা। যাইহোক সকালে ঘুম থেকে উঠে চলে গিয়েছিলাম চুলার ওপর। আর যারা গৃহিণী আছেন তারা সবাই জানেন চুলার ওপর একবার গেলে সব রান্না শেষ না হলে উঠ সম্বব নয়।তবে যেহেতু আমরা তিন জা মিলে রান্না করি তাই একজন উঠলে আমরা আর একজন বসে।যাইহোক আমি সকালে উঠে খিচুড়ি রান্না করার পরপরই আমার মেয়েরা উঠে গেল। তারপর আমার বড় জা গিয়ে বসলো আমি এসে বাচ্চাদের গোসল করালাম। যেহেতু বাচ্চারা একটু বড় হয়েছে তাই তারা কাপড় একাই পড়তে পারে। আমার ছোট মেয়ে ও আমার নাতনি বেশ আনন্দে ছিল। এক সাথে তারা ঈদের মাঠে গিয়েছিল।তারপর বড় মেয়ে বান্ধবী এসে তাদের নিয়ে গেল।
বাচ্চারা ঈদের মাঠ থেকে ঘুরে এসে ঘরের ভিতরে একটু রেস্ট নিচ্ছে। তবে আমার নাতনি কিন্তু সেই রকম। আসলে এরা সবাই এক জায়গায় বসে বেশ মজার কথা বলছে। আমি রান্না ঘর থেকে এসে মাঝে মাঝে দেখি এরা কি করছে। দেখছি সবাই মিলে বেশ আনন্দেই আছে। তবে আনন্দ বেশি হওয়ায় এদের খাবারের কথা ভুলে গিয়েছে। তারা দুপুর এক বারে পোলাও রোস্ট খাবে।
তারপর আমার দেবরের ছেলে সবাই মিলে এক সাথে বাচ্চারা দুপুর পর্যন্ত খেলাধুলা করলো।আসলে আমরা সবাই দুপুর পর্যন্ত কাজের মধ্যে ছিলাম তাই বাচ্চাদের তেমন সময় দিতে পারিনি।আর এই ছোট বাবুটা আমার ভাইয়ের মেয়ে ওর জীবনে প্রথম ঈদ। তবে এবার ঈদেই দেখলাম বাচ্চারা একা একাই বেশ মজা করেছে। যদি ও ওদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারিনি কিন্তু মাঝে মাঝে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চারা একা তো আর বাইরে যায় না। তাই বাড়ির আশেপাশে ও ঘরের মধ্যে নতুন জামা পড়ে অনেক আনন্দ করেছে। ওদের আনন্দ মাকামুখ দেখে অনেক ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ঈদের আনন্দ একেক বয়সে একেক রকম। তবে এমন আনন্দ উৎসব গুলোতে ছোট বাচ্চাদের ই মূলত আনন্দ বেশি হয়। ছবিতে তো দেখছি আপনার মেয়েরা বেশ পরীর মতোন সেজেছে। ভীষণ মিষ্টি লাগছে সকলকেই। যেহেতু এখনো অনেক ছোট, তাই বাসার মধ্যেই বা আশেপাশেই নিজেরা নিজেরা সাজুগুজু করে বেশ ভালোই আনন্দ করেছে। আপনার এবং বাড়ির বাকি বাচ্চাদের ঈদ আনন্দের মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো আপু । সকলের জন্যই ভালোবাসা রইলো।
জি আপু ঈদে বাচ্চারা অনেক আনন্দ করে দেখে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ঈদের দিন মানে বেশ আনন্দের দিন। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কেটে যায়। আর বড় হলে তো সবাই ব্যস্ত থাকে রান্নাবান্না নিয়ে মেহমান সামলানো নিয়ে। আমারও একই ধরনের অবস্থা ছিল আপু অনেক ব্যস্ত ছিলাম। তবে বাচ্চাদের আনন্দের কোন ঘাটতি ছিল না। আপনার ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ছোটবেলার মতো ঈদের আনন্দ আর কখনো পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপু গঠন মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।