জাকিয়ার অন্ধ ভালবাসার গল্প দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

জাকিয়ার অন্ধ ভালবাসার গল্প দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব

1000010236.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি গল্প লিখতে ও পড়তে অনেক ভালোবাসি। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লেখার চেষ্টা করি। আসলে আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বলার মতো নয়।আর সমাজে যা বাস্তবে ঘটে যায় তাই নিয়ে আমাদের গল্প লেখা শুরু হয়। আসলে এমন ঘটনা আমাদের সমাজে যেন না ঘটে সেই চেষ্টা করতে হবে। তবে বর্তমান এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। আসলে জাকিয়ার জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলার মতো নয়। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

জাকিয়া স্বামী যখন বাড়িতে আসলো তখন জাকিয়াকে মোটে কালে দেখতে পারছিল না। কেন কি কারণে সেটা জাকিয়া বুঝতে পারছে না। যাইহোক এভাবে হৃদয় কোন রকম ছুটি কাটি চলে গেল। হৃদয় চলে যাবার পর পর জাকিয়া তার বাবার বাড়িতে চলে গেল। আসলে হৃদয় এখন জাকিয়ার প্রতি কোন ভালোবাসা নেই। তবে জাকিয়া এতটা ভালোবাসে কিভাবে হৃদয়কে ভুলবে বুঝতে পারছে না। যাইহোক চাকরিতে যাবার মাস খানেক পরে হৃদয় জাকিয়াকে জানালো আমি মিশনে কুয়েতে যাচ্ছি। সেখানে ছয়মাস থাকব,তুমি এর মধ্যে কোন একটা ব্যবস্হা করে ফেলবে। জাকিয়া কি করবে বুঝতে পারছি না।আসলে হৃদয় বাজে জায়গায় গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে ।আসলে জাকিয়ার শশুর ও জাকিয়াকে রাখবে না। তবে তারা ছেড়ে দিলে কাবিনের সব টাকা দিতে হবে তাই তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এমন অত্যাচার করবে যাতে জাকিয়া নিজেই চলে আসতে বাধ্য হয়।

যাইহোক জাকিয়ার শশুর এসে আবার জাকিয়াকে বাড়িতে নিয়ে গেল। তখন জাকিয়ার স্বামী হৃদয় বাইরে রয়েছে। আসলে জাকিয়ার স্বামী এমন এক পরিস্থিতি স্বীকার করলো জাকিয়া আসতে বাধ্য। এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল।জাকিয়ার শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেশি থাকে এভাবে বছর পেরিয়ে গেল। জাকিয়ার কাছে একেক দিন যেনে হৃদয় এর কথা শোনে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারপর জাকিয়ার স্বামী মিশন থেকে আসলো। আসলে এমন কোন পুরুষ মানুষ নেই যে দীর্ঘ দিন পরে আসলে সে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলে না। জাকিয়া কথা বলতে গেলে রাগ করে উঠে। মোট কথা জাকিয়াকে সহ্য করতে পারে না।এভাবে সকালে বের হয় রাত বারোটা একটা পর্যন্ত বাইরে থাকে। কয়েক দিন থাকার পরে জাকিয়া তার বাবাকে ফোন দিয়ে সব ঘটনা জানায়।তারপর জাকিয়া তার শাশুড়ির কাছে গহনা গুলো চায় কিন্তু সে দিতে নারাজ । তারপর জাকিয়ার বাবা তাকে নিয়ে আসে। কিন্তু গহনা গুলো জাকিয়ার বাবার দেওয়া। জাকিয়া কাবিনের টাকা ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু গহনা ছাড়বে না।তারপর লোকজন নিয়ে তার বাবা গহনা গুলো নিয়ে আসে।

আসার কিছু দিনের মধ্যে জাকিয়া তার হৃদয়কে ডিভোর্স দেয়।তার ডিভোর্স লেটার পেয়ে হৃদয় খুশি।যেহেতু হৃদয় মিশন থেকে এসেছে তাই তাই দুই মাসের ছুটি। তবে জাকিয়া একটা কথা বুঝতে পারছে না তার অপরাধ কি। তারপর কয়েক দিন পরে হৃদয় আর একটা বিয়ে করে ফেলল।আসলে জাকিয়া হৃদয়কে অনেক ভালো বাসে তাই জাকিয়ার বাবাকে কিছু করতে দিল না।জাকিয়ার বাবা তার চাকরি শেষ করতে চেয়েছিল কিন্তু জাকিয়ার জন্য পারল ন।আসলে ভালেবাসলে জাকিয়ার মতো ভালেবাসা উচিত। তবে জাকিয়া আজ ও হৃদয়কে ভুলতে পােরনি।তবে হৃদয়ের দ্বিতীয় বউ ও হৃদয়কে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আসলে যার যার শাস্তি এভাবেই হয়ে যায়।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

আসলে কেউ কাউকে ঠকিয়ে জীবন সুন্দর করতে পারে না।সৃষ্টিকর্তা কিছু কিছু শাস্তি আমাদের দুনিয়াতেই দেয় কিন্তু আমরা বুঝি না।আপনার গল্পের প্রথম পর্ব পড়ি নি তবে শেষ পর্ব আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

জি আপু কেউ কাউকে ঠকিয়ে সুখি হতে পারে না এটা বাস্তব। ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

প্রথম পর্ব পড়েছিলাম জাকিয়ার জীবন কাহিনী শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। শুনেছি এই দুনিয়াতেই নাকি তার পাপের শাস্তি পেয়ে যায়। তেমনি হ্নদয় তার পাপের শাস্তি পেয়েছে। জাকিয়ার খাঁটি ভালোবাসা সে বুঝতে পারেনি। আপু জাকিয়ার কি আর কোথাও বিয়ে হয়নি আর সে বর্তমানে কি কাজ করে। যাই হোক খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন পড়ে ভালো লাগলো।

 2 months ago 

না আপু এখনো বিয়ে হয়নি, দোয়া করবেন আপু মেয়েটা যেন ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারে। ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

জাকিয়ার মত ভালবাসলে তো কষ্ট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না আপু। যতই ভালোবাসা হোক না কেন, নিজেকে কিছুটা শক্ত করা উচিত। তাহলে হয়তো আর এরকম অত্যাচারিত হতে হতো না কিংবা ডিভোর্স হত না। তবে হৃদয় কিন্তু তার শাস্তি পেয়ে গিয়েছে কিছুটা। সে জাকিয়াকে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, বিনিময় তার দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।

 2 months ago 

আসলে ভাইয়া সব জায়গায় শক্ত হলে চলে না,হৃদয় কিছুটা হলেও শাস্তি পেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

হৃদয়ের যদিও আরো অনেকটা শাস্তি প্রাপ্য ছিল আপু, এমন ধরনের কাজ করার জন্য।

 2 months ago 

তবে হৃদয়ের দ্বিতীয় বউ ও হৃদয়কে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আসলে যার যার শাস্তি এভাবেই হয়ে যায়।

এই সমস্ত কুলাঙ্গারদের সাথে এমনটাই হওয়া উচিত। কিছু কিছু ছেলে আছে সত্যিকারের ভালোবাসা পায়ে ঠেলে দেয়। আমার মতে তাদের মতো দুর্ভাগা আর কেউ নেই। কারণ বর্তমানে সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়াটা খুব কঠিন, আর তারা পেয়েও সেটার মূল্যায়ন করতে পারে না। শুধু হৃদয় না,বরং হৃদয়ের পরিবারও খুব খারাপ। হৃদয়ের এমন একটা শিক্ষা পাওয়া দরকার ছিলো। দোয়া করি জাকিয়া যাতে ভালো কাউকে পায় তার জীবনে। জাকিয়ার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।

 2 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 69149.45
ETH 3824.39
USDT 1.00
SBD 3.50