আয়েশার সাথে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত ঘটনা— প্রথম পর্ব।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি সত্য কাহিনী শেয়ার করতে আসলাম। এই কাহিনীটা মূলত কয়েকদিন আগের।আমাদের বাড়ির পাশে একটি মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। মেয়েটির নাম আয়েশা। মেয়েটির বয়স ১০ অথবা ১১ হবে হয়তো। আয়েশা অন্য একটি জেলায় একটি হাফেজী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। সে মূলত সেখানে হাফেজী পড়ছে। এতদিন সে খুব ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। ছুটি দিলে নিজের বাড়িতে এসে কয়েকদিন থেকে আবারও মাদ্রাসায় চলে যেত। যেহেতু কোরআন শরীফে ৩০ পারা। এই ৩০ পারা পুরাটাই মুখস্ত করার নিয়ম একজন হাফেজার। তো আয়েশা আল্লাহর অশেষ রহমতে কোরআনের ২০ পারারও বেশি মুখস্ত করে ফেলেছিল।
একদিন হঠাৎ তার বাবা-মার কাছে মাদ্রাসা থেকে খবর আসলো আয়েশার নাকি জবান বন্ধ হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ হাজার চেষ্টা করলেও কোন কথাই বলতে পারছে না আয়েশা। তখনই তার বাবা মা ছুটে গেল আয়েশার কাছে। যেয়ে দেখলো তার মেয়ের মুখ থেকে কোন ধরনের আওয়াজই বের হচ্ছে না। এটা দেখে তো তার বাবা মা রীতিমত ভয় পেয়ে গেল। আয়েশার বাবা-মা আয়েশাকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে এসে সরাসরি বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। সেখান থেকে বলা হলো যে এটা একটি নতুন রোগ। ট্রিটমেন্টের ফলে অবশ্য ঠিক হয়ে যেতে পারে ডাক্তার এমনই আশ্বাস দিয়েছিল তার পিতা-মাতাকে। কিন্তু অনেকদিন ট্রিটমেন্ট করার পরেও আয়েশার কোন উন্নতি হচ্ছিল না।
আয়েশা ছাড়াও আয়েশার দুটি ভাই আছে। যেহেতু আয়েশা পিতা মাতার একটি মাত্র মেয়ে। তাই তারা আয়েশাকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। তাদের বাড়ির আশেপাশে এবং আত্মীয় স্বজনেরা অনেকেই আয়েশার পিতা মাতাকে বলতে লাগল কোন ভালো হুজুর অথবা কবিরাজকে দেখাতে। তারা ডাক্তারের পাশাপাশি কয়েকটি কবিরাজ কেও দেখিয়েছে তাদের মেয়েকে। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। আয়েশা এখনো পর্যন্ত কোন বাক্য মুখ থেকে উচ্চারণ করতে পারছিল না। সব সময় চুপচাপ থাকতো। যে মেয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তাহাজ্জুদ এবং প্রতিনিয়ত কোরাআন পড়তো সে মেয়ের এসবের উপর থেকে মনই উঠে গিয়েছিল।
চলবে....!!!!
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আয়েশার ঘটনাটি শুনে খুবই দুঃখ পেলাম। ১০-১১ বছরের একটি মেয়ে যে কিনা ২০ পারা কোরআন শরীফ মুখস্থ করেছে, আর তার সাথে এমন ঘটনা সত্যি খুবই কষ্টকর। তবে মহান আল্লাহ তা'আলা যা কিছু করেন সব মঙ্গলের জন্যই করেন। তাই মহান রাব্বুল আল আমিন আয়েশার জন্য মঙ্গলময় কোন কিছু রেখেছেন এই প্রত্যাশা করছি। আয়েশার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, মহান আল্লাহ তায়ালা যা কিছু করেন তার বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মাদ্রাসার ছাত্রী আয়েশার জীবনে সত্যি ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেছে। এতো সুন্দর একটি মেয়ে যে কি না ২০ প্যারা মুখস্থ করে ফেলেছে। তার হঠাৎ কথা বন্ধ হয়ে গেছে খুব দুঃখজনক ঘটনা।পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ
ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সত্যি কথা বলতে, আয়েশার সাথে ঘটে যাওয়া এই অদ্ভুত ঘটনা শুনে অনেকটাই কষ্ট পেলাম। এত অল্প বয়সে একটা মেয়ের হঠাৎ করেই কেন জবান বন্ধ হয়ে গেলো! তবে ডাক্তার যেহেতু তার পিতা-মাতাকে আশ্বাস দিয়েছিল যে এই রোগ ঠিক হয়ে যাবে, তাহলে হয়তো পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যেতেও পারে। এখন দেখা যাক, পরবর্তী পর্বে আর কি জানা যায়।
গল্পটি পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি আয়েশার জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে আপু আল্লাহ কার কখন কি করেন বুঝা মুশকিল। সত্যি হায়েজ মেয়ে হঠাৎ এভাবে জবান বন্ধ হয়ে গেল। দোয়াকরি আয়েশা যেন তারাতাড়ি আবার আগের মতো কথা বলতে পারে।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
মহান আল্লাহ তায়ালা কখন কার কি করেন এটা বোঝা সত্যিই খুব মুশকিল। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুবই তাজ্জব ব্যাপার তো! কুরআন পড়া একটা মেয়ের হঠাৎ করেই জবান বন্দি হয়ে গেল! হয়তো ভুল কোনো কাজ করেছে। পরের পর্বে আশা করি বিস্তারিত জানতে পারবো।
কোনো ভুল কাজ করে নাই ভাইয়া। পরবর্তী পর্বগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন।