পরীক্ষা নিয়ে ছোটবেলার মজার ঘটনা ও চিন্তা।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকের পোষ্টের টপিক কি তা আশা করি আপনারা টাইটেলটি দেখেই বুঝতে পেরেছেন। আজকে ভাবলাম কিছু ভিন্নধর্মী লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে আসি। সব সময় ফুড রিভিউ কিংবা বিভিন্ন রিভিউ সাধারণত লিখে থাকি কিংবা কবিতা লিখি।তাই জন্য আজকে ভাবলাম একটু ভিন্ন ধরনের কিছু লিখি।

আর আমাদের কমিউনিটি তে এখন মোটামুটি একটি নিয়ম রয়েছে যে ইউজাররা একেবারেই কেউ জেনারেল রাইটিং এ কমেন্ট করে না।কমেন্ট করে না মানে হলো, জেনারেল রাইটিং পোস্টগুলি একেবারেই কেউ পড়ে না। সে কারণেই আমি আজকে জেনারেল রাইটিং পোস্ট করছি অর্থাৎ এইটা দেখার জন্য আজকের এই পোস্ট টি কয়জনে পড়ে। কারণ এই টাইটেল দেখে বোঝাই যাচ্ছে এটা একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট। তাই আশা করি অনেকেই দেখবে না।সত্যিই এটা আমি আশা করি।তা না হলে বলতাম না। কারণ বিগত সময়গুলোতেও এই বিষয়টি দেখেছি অনেক। যেকোনো কেও যদি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করে তাহলে কেউ পড়তে চায় না কিংবা আগ্রহ দেখায় না পড়ার জন্যে ।

যদি খুব ভালো কোনো লেখা থাকে তাও আমরা যেটা খেয়াল করেছি সেটা হলো, খুব একটা মেম্বারদের কিংবা ইউজারদের আকর্ষণ থাকে না, সেই লেখাটি পড়ার ক্ষেত্রে। আসলে এটা হয়তো বেশি কমেন্ট করার যে একটা চিন্তা সবার মনের মধ্যে বসে গিয়েছে সেই চিন্তাধারার জন্যই হয়তো এমনটা হয়ে গিয়েছে।আশা করি আমরা সকলেই এই নিয়ম থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।যাইহোক তাহলে মূল লেখায় চলে যাই চলুন,

পরীক্ষা দিতে কারো ভালো লাগে কিনা আমি জানিনা! আমার তো পরীক্ষা দিতে ছোটবেলায় ভালো লাগতো না আর এখনো ভালো লাগেনা। আমার মনে হয় না ভবিষ্যতেও আমার কোনোদিনও পরীক্ষা দিতে অন্তত পক্ষে ভালো লাগবে। অবশ্য আমি তাকেও খুঁজছি যার পরীক্ষা দিতে ভালো লাগে! মাঝেমধ্যে আমার খুব অবাক লাগে যখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখি যে অনেকের পরীক্ষা দিতে ভালো লাগে অর্থাৎ সরাসরি লিখে না তবে ইনিয়ে বিনিয়ে এ কথাটি বোঝাতে চায় যে পরীক্ষা দিতে ভালো লাগে।কিন্তু সত্যি বলতে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।

ছোটবেলায় পরীক্ষার আগে আমি অনেক কিছু চিন্তা করতাম। তবে সেই চিন্তা গুলি যখন এখন মাথায় আসে তখন বেশ হাসি পায় আমার। ছোটবেলায় ভাবতাম যদি পরীক্ষার আগে একেবারে বন্যা হয়ে স্কুল ডুবে যেতো তাহলে কতোই না ভালো হতো! তাহলে পরীক্ষা দিতে হতো না। এখন বিষয়গুলো ভাবলে খুব হাসি পায়। তারপর ভাবতাম পরীক্ষার আগে যদি স্কুলে আগুন লেগে যেতো কতই না মজা হতো। মানে চিন্তাভাবনা যে তখন কিভাবে করতাম! এখন ভাবলে অসম্ভব হাসি পায়।

আবার মাঝেমধ্যে যখন খুব কঠিন পরীক্ষা থাকতো, তার আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করতাম যে এমন কোনো অসুস্থতা যেনো শরীরে আসে। যার জন্য বাসা থেকে যেতে দিবে না অর্থাৎ মানা করবে এক্সাম দিতে যাওয়ার জন্য। কি ধরনের চিন্তাভাবনা যে করতে পারতাম তা এখন ভাবলেও খুব বেশি হাসি পাচ্ছে। কারণ এই ধরনের চিন্তা আসলে কোনো সাধারণ মানুষের মাথায় আসবে না এটাই স্বাভাবিক। তখন বয়স কম ছিলো। সে কারণে কোনটা সঠিক আর কোনটা বাস্তব আর কোনটা অবাস্তব তাও খুব ভালোভাবে বুঝতাম না। সেজন্য এসব অবাস্তব চিন্তা করতাম। আসলে এখন এইসব চিন্তা করার কোনো বয়স কিংবা অবস্থা কোনোটাই নেই। কারণ জানি পরীক্ষার আগে চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন লেগে যাবে না কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পানিতে ডুবে যাবে না!

একবার আমার মনে আছে, তবে কোন সময় কিংবা কোন ক্লাসের কাহিনী তা মনে নেই। একবার অনেক দিন টানা হরতাল হচ্ছিলো।তো বাসার সবাই খুবই বিরক্ত এবং খুব বিপদের মধ্যে ছিলো। কারণ হরতাল মানেই তো বুঝতে পারছেন যাওয়া-আসার খুব বিরক্তিকর একটা বিষয়। কিন্তু আমি মনে মনে খুব খুশি হয়েছিলাম। কারণ আমার মনে হচ্ছিলো এই হরতালটা যদি আর কয়েক মাস থাকে। তাহলে আমার পরীক্ষা দিতে হবেনা। ছোটবেলা চিন্তাভাবনা গুলি আসলে মানুষের কতোটা অদ্ভুত হয়! কয়েক মাস তো নিশ্চয়ই হরতাল চলবে না। তাইনা? কিন্তু সেই সময় এটা ভেবে খুশি হয়েছিলাম আর কয়েক মাস চললে পরীক্ষাটা দিতে হবে না।

এখন আমার পরীক্ষা চলছে বিশ্ববিদ্যালয় এ।সে কারণেই এই পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা গুলো মনে পরলো, হঠাৎ করে মাথায় চলে এসেছে অর্থাৎ এখনো পরীক্ষা দিতে ভালো লাগছে না তবে এসব আর ভাবি না।

এখন আসলে এসব ভাবার বয়স কিংবা অবস্থা কোনটাই নেই। কারণ এ ধরনের অবাস্তব চিন্তা ভাবনা গুলো শুধুমাত্র একজন এমন কেও ভাবতে পারে যাদের এখনও বুদ্ধি হয়নি।আমাদের ছোটবেলায় আসলে আমরা যেমন ছিলাম তা ই। আমার মনে হয় এখন যারা এমন আমাদের বয়সী রয়েছে। তারাও এভাবে চিন্তা করে,আবার নাও করতে পারে। কারণ এখনকার বাচ্চা-কাচ্চারা বেশ বুদ্ধিমান, বুদ্ধিমতী। তাই তারা এ ধরনের অবাস্তব চিন্তা ভাবনা চিন্তা করবেনা,এটাও স্বাভাবিক। তবে যদি তারা এভাবে চিন্তা করে। তাহলে বড় হয়ে আমাদের মতোই তাদের চিন্তা ভাবনা নিয়ে তারা হাসাহাসি করবে।

আপনাদের এমন কোনো মজার চিন্তা থাকলে শেয়ার করবেন।আশা করি সবাই পড়ে মজাই পাবো আর সে সাথে স্মৃতিচারণ ও হবে বেশ একটা।কি বলুন?তাইতো নাকি?