মানব মস্তিষ্ক যতটা সহজ ততটাই জটিল।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আমাদের চারপাশে আমরা যেমন হরেক রকমের গাছ দেখতেই পাই, তেমন হরেক রকমের মানুষ ও দেখতে পাই।এক এক মানুষের এক এক ধরণ।খুব সূক্ষ্ম ভাবে ভেবে দেখবেন কখনো কোনো মানুষের চরিত্রের সাথে কোনো মানুষের চরিত্র সহজে মেলে না,এটা খুবই অদ্ভুৎ। কারণ এতো এতো মানুষ এ পৃথিবীর বুকে,কিন্তু কারো সাথেই কারো বিন্দু পরিমাণ এর মিল নেই।আসলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সবগুলোই এমন আশ্চর্যজনক। এই সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে গেলে আসলে অনেক ভাবতে হবে।কারণ আমরা যে সৃষ্টিকর্তার অনুগত্য স্বীকার করেছি,তিনি সত্যিই মহান এবং পরম দয়াশীল।তিনি আমাদের দয়া করেই আমাদের জন্যে এতো এতো বৈচিত্র সৃষ্টি করেছে।

তো যা বলছিলাম,আমাদের চারপাশের মানুষগুলো একই রক্তে মাংসে গড়া,একই হোমো সেপিয়েন্স গোত্রের হলেও কোথায় যেনো মিল নেই।চেহারায়?হ্যা তা হয়তো নেই, তবে অনেকসময় তাও খুঁজে পাওয়া যায়।যদিও তা খুব বিরল,তবে একেবারে নেই তা কিন্তু নয়।পৃথিবীতে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা এমন পাওয়া যায় আর আমি কিছু পড়েছিও।

তবে একটা জায়গায় এসে কারো সাথেই কারো মেলে না।কোন ব্যাপারটা বলুন তো? তা হলো মানুষের ব্যাক্তিত্বে।এই ব্যাক্তিত্ব ব্যাপারটা খুবই আশ্চর্যজনক ই লাগে আমার কাছে।কারণ,আপনার চারপাশে প্রতিনিয়ত থাকা কিছু মানুষগুলো ব্যাক্তিত্বে আপনি না চাইলেও বারবার মুগ্ধ হবেন।কেনো?কারণ,তারা এতোটা ভালো ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী।তাদের আপনি পছন্দ না করলেও,নিজের মনে নিজে ঠিকই তার সুনাম করবেন।হতে পারে সামনা-সামনি ঈর্ষান্বিত হচ্ছেন,কিন্তু নিজের মনে নিজে একবার ভেবে দেখবেন যে আপনি সত্যিই তার চরিত্রে মুগ্ধ।

তবে,কিছু মানুষেরর চরিত্র দেখলে মাঝেমধ্যে ভাবতে ইচ্ছে করে সৃষ্টিকর্তা কেনো যে এদের বানালো!এদের না বানিয়ে কিছু পোষা প্রাণী বানালেও হতো।তাও খাইয়ে দাইয়ে অন্তত একটু সভ্য করা যেতো।হ্যা ঠিক ধরেছেন,আমি সেসব অসভ্য মানুষের কথাই বলছি।

আমাদের এ সভ্য সমাজে কিছু অসভ্যকে আপনি সবসময় দেখবেন।এ অসভ্য গুলোর লাইফের এচিভমেন্ট গুলোও অদ্ভুত। যেমন ধরুন,তাদের লাইফের এচিভমেন্ট হলো মানুষের পেছনে লাগা।তবে বিষয়টা যে খুব বিরক্তির তাও না।কারণ আমরা মানুষ,সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষের এই ভিন্ন চরিত্রের সাথে আমাদের পরিচয়।তাই পেছনে লাগার ব্যাপারটাও আমাদের বেশ ভালোই জানা আছে।যদি সত্যি বলি,আমার বিষয়ে আমার পেছনে কেও লাগলে আমার না উলটো হাসিই পায়।কেনো জানেন?কারণ,খামোখা কষ্ট করে মানুষগুলো।একেবারেই যাচ্ছেতাই ধরণের অবস্থা।কারণ,আমার পেছনে লেগে কে কি করলো তা দেখার বা ভাবার মতো সময় মোটেও আমার নেই।আমার কেনো,আমার মনে হয় এই সময়টা কারোর ই থাকা উচিত নয়।আর একটা বিষয় হলো,কিছু অসভ্য মানুষের কাজ ই হলো মানুষকে বিরক্ত করা।কিন্তু আপনার কাজ হলো সেসব এড়িয়ে যাওয়া।আমি অন্ততপক্ষে তাতেই বিশ্বাসী।কারণ একটা কথা আছে, কিছু কুকুর ঘেউ ঘেউ করবেই।হয় তাদের আদর করে ভুলিয়ে নিবেন,আর না ভুললে তার মতো তাকে চিৎকার চেচামেচি করতে দিবেন।কারণ,কুকুরের কাজ ই হলো এসব করা।এখন কি দরকার তাদের কাজে নিজের হাত দেওয়া তাইনা?নিজের কাজ করেই কুল পাইনা,আবার কুকুরের কাজ কখন করবো?হাহাহাহ,ঠিক বললাম কিনা বলুন তো?

এজন্যেই আসলে বললাম মানব মস্তিষ্কটা খুবই জটিল।কখন কার জন্যে ঘৃণা পুঁষে রাখছেন তা হয়তো নিজেও জানেন না।আর এই ঘৃণা কিছু মানুষের চরিত্রের সাথে প্রকট হয়।তারা ঠিক যেমন মেন্টালিটির,তা প্রকাশ পায়।কারণ ঘৃণা মানেই ভায়োলেন্স নয়।তবে ওইযে বললাম মানুষরুপী কুকুর হলে ব্যাপার একেবারেই আলাদা।