ঈদ-উল-ফিতর শপিং ফটোগ্রাফী(পর্ব - ১)

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

অনেকদিন ধরেই আপনাদের সাথে কোনো ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করা হয় না। আসলে ব্যস্ততার জন্যই শেয়ার করা হয় না। কারণ একে তো রোজার সময় বিভিন্ন কাজ থাকে। তার উপর সবকিছু মিলিয়ে আসলে হয়ে উঠছিলো না। কিন্তু ভাবলাম যে আপনাদের সকলের সাথে শপিং এর টুকিটাকি ফটোগ্রাফি শেয়ার করাই যায়।

আজকের পোস্টে আপনারা খুব একটা লেখা পাবেন না। তবে বেশ অনেকগুলো ছবি আপনারা পাবেন এবং আশা করছি যে আপনাদের ভালোই লাগবে। তবে আমি শপিং এর ফটোগ্রাফি গুলো ২ কিংবা ৩ পর্বে শেয়ার করবো। কারণ এতোগুলো ছবি একসাথে দেয়াটা একেবারেই সম্ভব নয় এবং আপনাদেরও একসাথে দেখতে ভালোও লাগবে না।

প্রথমেই যেটা না বললেই নয়। সেটা হলো আমি সেদিনকে জীবনের প্রথম বার বাংলাদেশ থেকে গোল্ড কিনেছিলাম। কারণ সচরাচর আমাদের বাসায় কখনোই বাংলাদেশ থেকে কোনোরকম গোল্ড কেনা হয়নি আজ পর্যন্ত। অর্থাৎ আমাদের সব গোল্ড গুলোই দেশের বাইরের। তো স্বাভাবিকভাবে গোল্ড কেনার কোনো এক্সপিরিয়েন্সি আমার নেই। শুধু আমার কেনো, আমার মায়েরও খুব একটা নেই। কারণ ওই যে বললাম সব গুলোই দেশের বাইরে থেকে কেনা। কিন্তু আমার তাও মনে হলো কেনো জানি যে আম্মুকে ইউনিক কিছু দেওয়া উচিত এবং নোসপিন দিলাম সেটার কারণ হলো, আমি আজ পর্যন্ত আম্মুকে প্রায় সব জুয়েলারি চেঞ্জ করে করে পরতে দেখেছি বিভিন্ন অকেশনে। শুধুমাত্র এই নোস পিনটা কখনোই খুলতে দেখিনি।

তাই ভাবলাম যে আর একটা গোল্ডের নোজ পিন কেনা যাক। তো সেই ভাবনাতেই কিনে ফেললাম নোস পিনটি। আর অবশ্যই ২২ ক্যারেটের এবং হলমার্ক আছে কিনা তা দেখেই কিনেছিলাম ।

আর আমি তার জন্য আমাদের @rme দাদার প্রতি অনেক অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। কারণ উনি না থাকলে আমার এই স্বপ্নগুলো এতো দ্রুত কখনোই সম্ভব হওয়া সম্ভব ছিলো না। কারণ @rme দাদা এবং @blacks ভাই উনারা আমার জীবনে এতো জায়গা জুড়ে রয়েছে। যেটা আসলে ধন্যবাদ দিলেও ছোট করা হবে উনাদের। উনারা আমাকে বরাবরই একেবারে নিজের ছোট বোনের মতোন করেই শুরু থেকে গাইড করে আসছেন এবং এখনো করছেন। তাই আমি নিজেকে সত্যিই খুব বেশি ভাগ্যবান মনে করি। সৃষ্টিকর্তা উনাদের খুব ভালো রাখুক,এটাই চাওয়া।

এরপরে আরো অনেকগুলো শপিং করেছিলাম। তবে সবগুলো ছবি এখানে শেয়ার করতে পারছি না। কারণ প্রায় অনেকগুলো ড্রেসই অনেককে দেওয়া হয়ে গিয়েছে এবং কিছু ড্রেস টেইলার্সের কাছেও রয়েছে সে কারণে।

এই ড্রেসটি কিনেছিলাম আম্মুর জন্য। আম্মু যেহেতু ফর্সা মানুষ। তাই উনাকে এই ধরনের কালার গুলোতে আবার ভালোই মানায়।

বেশ অনেকদিনের শখ ছিলো আমি আর নুয়াইরা একটা সেম ডিজাইন কিংবা সেইম একটা ড্রেস বানাবো। সে কারণে গজ কাপড় কিনে আমি একটা co-ords বানিয়েছিলাম।

আর নুয়াইরার জন্য একটি ঘারারা টাইপস ড্রেস বানিয়েছিলাম। ওকে বেশ মিষ্টি লাগছিলো ড্রেসটা ট্রায়াল দেওয়ার পরে। আর ড্রেসগুলোর ডিজাইনও মোটামুটি আমি সাজেস্ট করে দিয়েছিলাম।

এরপরে নুয়াইরার জন্য একটা ড্রেস দিয়েছিলাম আড়ং থেকে। ও ছোটবেলা থেকেই আড়ং এর ড্রেস পড়তে অভ্যস্ত। কারণ ও একেবারেই গরম সহ্য করতে পারে না।

এরপরে তো আরো বেশ অনেকগুলো কেনাকাটা করেছি।

এটাও নুয়াইরার জন্য কিনেছিলাম সেই আড়ং থেকেই। আসলে আমার হলো এই এক সমস্যা। আড়ংয়ের বাচ্চাদের সেকশনে গেলেই শুধু নুয়াইরার জন্য ড্রেস কেনা হয়। কারণ মেয়ে বাচ্চাদের ড্রেসগুলো এতো বেশি সুন্দর লাগে কি আর বলবো।

এরপরে দুইটা ড্রেসের সাথে মিলিয়ে দুইটা হেয়ার ক্লিপ কিনেছিলাম বোও ডিজাইনের ।

এরপরে আরো কিছু শপিং করেছিলাম। আসলে ঈদের সময় মোটামুটি বেশ ভাল রকমের ই শপিং করা হয়। কারণ শপিং করতে যে আমার কি পরিমাণ ভালো লাগে সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।

আচ্ছা এই ড্রেসটা কেমন হয়েছে বলুন তো? এই ড্রেসের ডিজাইন টা কিন্তু আমার বেশ সুন্দর লেগেছিলো তাই কেনা।

এরপরে বাবার জন্য আড়ং থেকে ফতুয়া কিনেছিলাম। আসলে বাবাকে কখনোই কিছু দেওয়া হয়নি। কারণ উনাকে আবার আমি বেশ ভয় পাই। তবে এটাও আম্মুর নামেই চালিয়ে দিবো। অর্থাৎ আম্মু কিনেছে বলে দেওয়া হবে বাবাকে।

এরপরে আরো অনেক অনেক শপিং রয়েছে। আসলে শপিং করতে সব মেয়েরই বোধহয় একটু বেশি ভালো লাগে। আর নিজের টাকায় শপিং করার তো মজাই আলাদা, তাই না? যাইহোক বাকি গুলো নেক্সট পর্বে শেয়ার করছি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।