১৮ বছর বয়স

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি পোস্ট আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করি। তবে টাইটেলে যে বয়সের ব্যাপারটি দেখতে পাচ্ছেন। এটা কিন্তু আমি কোনো বয়স উল্লেখ করতে ব্যবহার করিনি। এটা একটি রূপক অর্থে ব্যবহার করেছি এবং এটা আমাদের অনেকের সুপরিচিত একটি কবিতা। অর্থাৎ আঠারো বছর বয়স এই কবিতার মূলভাব ছিলো যে, ১৮ বছর বয়স এমন একটা বয়স, যে বয়স কাউকে ভয় পায় না। যে বয়স সত্যের পথে নিজের প্রাণ বলি দিতেও দুবার চিন্তা করে না। যে বয়স সত্যের পথে লড়াই করে সত্যকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এই ১৮ বছর বয়স এমন একটা বয়স। যে বয়সে তারা তাদের সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেদেরকে সামনে রাখতে পারে।

বর্তমানেও ঠিক কিন্তু সেটাই ঘটছে। অর্থাৎ আমি কথা বলছি কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে। আমার নানা নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু আমার নানা কোনো সার্টিফিকেট সে সময় নেননি। কারণ তখন উনার কাছে এই বিষয়গুলো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। অর্থাৎ সার্টিফিকেটের বিষয়টি। আর যেসব কাগজপত্র ছিলো। সেসব কাগজপত্র পরবর্তীতে ইন্দুরে কেটে খেয়ে ফেলেছিলো। এরপরে আর সেসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। তাই আসলে আমরা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হলেও। কখনো এই ধরনের কোটার পিছনে দৌড়ানোর চেষ্টাও করিনি। হ্যাঁ, এখন এটা কিন্তু আমি বলছি না যে, যদি সেই সার্টিফিকেটটা থাকতো। তাহলে আমরা সেটা কাজে লাগাতাম না।আমি আসলে এখানে যেটা বুঝাতে চাইছি। সেটা হচ্ছে, এই যে আমার নানাভাই সার্টিফিকেটটা পেলো না কিংবা অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকভাবে রাখলো না। এটা আসলে আমাদের জন্যই বেশ ভালো ছিলো। কারণ এই যে এখন আমরা নিজেদের কাছে নিজেরা পরিষ্কার থাকতে পারলাম যে, আমরা অন্য কারো হক নষ্ট করে কোনোভাবে লাভবান হইনি।

আমি একটা ব্যাপার খুব ভালোভাবেই খেয়াল করেছি। সমাজের যেসব ব্যাপারগুলো অনেক বড় বড় কর্মকর্তা কর্মচারী, কোনো বড় বড় শিল্পপতি কিংবা গুরুজনেরা সমাধান করতে পারে না। সেই কর্মকাণ্ডগুলো সব সময় সমাধান করেন স্টুডেন্টরা। তাই আমি এই ১৮ বছর বয়স কবিতাটি এখানে রূপক অর্থে ব্যবহার করেছি।আমি মনে করি আজকালকার সময়ের স্টুডেন্টরা যেই আন্দোলনটি করছে অর্থাৎ কোটাবিরোধী আন্দোলন। এটা একেবারে সঠিক একটি আন্দোলন। কারণ পড়াশোনায় কেনো কোনো কোটা থাকবে!

পড়াশোনার মাধ্যমে সে ই জীবনে এগিয়ে থাকবে। যে তার পড়াশোনাটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেছে। অর্থাৎ যেকোনো ভাবেই পড়াশোনাতে মেধার আধিপত্য বিস্তার করতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে আপনারা নিজেরাই দেখুন যে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কিন্তু আমরা সকলেই একটু একটু করে সরে আসছি। অর্থাৎ আমাদের অনাগ্রহ ও অনীহা চলে আসছে। যেটা আমাদের দেশের ও জাতির জন্য ভয়ংকর।

তাই আমি আসলে এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে। প্রথমে ব্যাপারটি মনে হয়েছিলো যে অহেতুক। কিন্তু যতোদিন যাচ্ছে, ততো মনে হচ্ছে যে ব্যাপারটি সত্যিই দরকার ছিলো। কারণ কেউ কেউ পড়াশোনা না করেই শুধু কোটার মাধ্যমেই দেশের বড় বড় চেয়ারে বসবে। আর কেউ কেউ নিজের জীবনটা বলিদান করেও কোনো ভালো পদে যেতে পারবে না। সেটা কখনোই হয় না। অন্তত এটা মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই চাইতো না। তাই সরকারের উচিত অন্তত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের কথা বিবেচনা করে হলেও, এই কোটাপ্রথাটি তুলে দেওয়া।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।