আসছে ঈদ

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমাদের ধর্মীয় খুব বড় একটি উৎসব হলো ঈদ উল আযহা। যেটাতে আসলে আমরা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে কোনো পশু উৎসর্গ করে থাকি। কিন্তু এই ঈদটা কিন্তু শুধুমাত্র উৎসর্গ করার জন্য নয়। অর্থাৎ শুধুমাত্র লোক দেখানো উৎসর্গের জন্য নয়। যেটা বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক ট্রেন্ডিং একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আপনি একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন যে, বর্তমানে কোরবান টা পশুর দাম কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে।

আসলে আমাদের প্রথম যখন কোরবান শুরু হয়। তখন কিন্তু এই দামের ব্যাপারটা মোটেও ছিলো না। অর্থাৎ প্রথম দিকের কাহিনী যেটা ছিলো।সেটা হচ্ছে নিজের পছন্দের কিছু সৃষ্টিকর্তার কাছে উৎসর্গ করতে হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আসলে বদল করা হয়। এবং এভাবে করে পশু কোরবানি করার বিধানটি আসে। আর এই বিধানটির একটা মাত্র অর্থই হচ্ছে। যাতে করে সৃষ্টিকর্তার নামে উৎসর্গ করা হয় এবং আমাদের দ্বারা যেনো আমাদের আত্মীয়-স্বজন, আমাদের চারপাশের গরিব-দুঃখীরা একটু ভালো-মন্দ খেতে পারে। কিন্তু বর্তমানে সেটা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। হয়তো, হ্যাঁ আমাদের কয়েকজনের পরিবার এ এখনও সেটা রয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ যারা আমরা মধ্যবিত্ত রয়েছি।কিন্তু খুব অতিরিক্ত উচ্চবিত্তের মধ্যে যে ব্যাপারটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটা হচ্ছে, অনেক বেশি দাম দিয়ে কোনো পশু কেনা এবং সেই দাম নিয়ে অনেক বেশি শো অফ করা এবং সেটা কোরবানি দেওয়ার পরে যে তিন ভাগ করার ব্যাপারটি রয়েছে। সেই ভাগ বটোয়ারা কোনো কিছুই না করে। সবকিছু নিজের কাছে রেখে দেওয়া।

প্রথমতই বলতে চাই এটা আসলে কোনোভাবেই কোরবান হয় না। কারণ কোরবানির অর্থটাই হলো ত্যাগ করা। আমরা মানুষ হিসেবে যা করি। সবকিছুই কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করি। কিন্তু আমরা যদি সেই সৃষ্টিকর্তা সন্তুষ্টি লাভ ই করতে না চেয়ে, শুধুমাত্র মানুষের চোখের সন্তুষ্টি লাভ করতে চাই। সেখানে আসলে আমার মনে হয় না, কোরবানি করার কোনো মানে রয়েছে। কারণ, কয়েকটা বেলা কিন্তু ওই গরীব দুঃখী মানুষ গুলো আমাদের জন্য তারা খেতে পারে। ভালো মন্দ খেতে পারে। যেটা হয়তো অনেক সময় তাদের দোকান থেকে কিনে খাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব হয় না। কিন্তু সেই হকটাও যদি আমরা আমাদের ফ্রিজে রেখে দেই। তাহলে আমাদের পৃথিবীতে মনুষত্ব বলতে যে একটি ব্যাপার রয়েছে। সেটা আর কোথায় থাকলো!

তাই আমাদের সামনে যে ঈদটা আসছে। সেটাকে শুধুমাত্র টাকার গরম দেখানো না ভেবে, এটা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার একটি মাধ্যম ভেবে যদি আমরা গরীব-দুঃখীদের সাহায্য করি। গরিব-দক্ষিদার হক আদায় করি। তাহলে এতে করে আমার মনে হয় আমাদের জীবনটা অনেকটাই সুন্দর হবে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।