ছোট বেলার মাছ ধরার মজার স্মৃতি
হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে আসলাম , একটা মজার ঘটনা শেয়ার করার জন্য ৷ ছোট বেলায় মাছ ধরতে গিয়ে আমার সাথে ঘটে যায় এই মজার ঘটনাটা ৷ সেদিন কারো ছোট বেলার মাছ ধরার মজার স্মৃতির গল্প পড়ে হঠাৎ আমারও এই গল্পটা মনে পড়ে যায় ৷ আমিও সেদিন ভেবে রেখেছি আমার সাথে ঘটে যাওয়া মজার এই গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ৷ তাই আজকে চলে আসলাম , যদিও ছোট একটা গল্প ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
অনেক ছোট বেলার এই গল্পটা ৷ হয়তো বুঝতামও না তখন ঠিকঠাক ৷ শুধু গল্পটা মনে পড়ে কোনো রকম ভাবে ৷ বেশ মজার ছিলো , এখনো মনে পড়লে একা একাই হেঁসে ফেলি ৷ মাঝে মাঝে গল্পের আড্ডায় এই গল্পটা আবারও শোনায় আমার পরিবারের মানুষজন আমাকে ৷ তাদের মুখে আমার ছোট বেলার এই গল্পটা শুনে বেশ মজাই লাগে , কখনো বা কিছুটা লজ্জাও ৷ যাই হোক , আপনারা হয়তো সবাই জানেন , আমি গ্রামে থাকি ৷ আমার ছোট বেলাটাও কেটেছে গ্রামে ৷ গ্রামে বেড়ে ওঠার সুবাদে অনেক মজার স্মৃতি আছে আমার জীবনে ৷ তার মাঝে এটাও একটা বেশ মজার স্মৃতি ৷ তো চলুন সেই মজার স্মৃতিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি..
তখন ছিলো বর্ষাকাল ৷ আর বর্ষাকাল মানেই মাছ ধরার উৎসব ৷ গ্রামের খাল-বিল ভরে যায় বর্ষার পানিতে ৷ আর গ্রামের মানুষদের মাঝে শুরু হয় মাছ ধরার প্রতিয়োগিতা ৷ ছোট বড় সবাই তখন মাছ ধরার নেশায় পরে যায় ৷ বিভিন্ন ভাবে মাছ ধরার চেষ্টা করতো যে যার মতো ৷ মাছ ধরার জন্য সবার বাড়ি বাড়ি তখন নানান জিনিস রেডি থাকে ৷ এই যেমন বিভিন্ন ধরনের জাল , বরশি , সুতো ছাড়াও বাঁশ ও সুতোর তৈরি এক ধরনের ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরা যেতো ৷ আমাদেরও এমন কয়েকটা মাছ ধরার ফাঁদ ছিলো ৷ এই ফাঁদ গুলো বাজারে কিনে পাওয়া যায় বর্ষার দিনে ৷ যেগুলো বাঁশ ও সুতোর তৈরি এক ধরনের কঠিন ফাঁদ ৷ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে পরিচিতি এই ফাঁদ গুলো ৷ আমাদের এদিকে এগুলো ভরং বলে ৷ যাই হোক , এই ফাঁদ গুলোতে মাছ প্রবেশের সুযোগ থাকলেও বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই ৷এগুলো খাল কিংবা বিলের মাঝে বসিয়ে রাখা হয় ৷ বিলের পানি ফাঁদের উপর দিয়ে যেতেই সব মাছ সেই ফাঁদে আটকে যায় কিন্তু বের হতে পারে না ৷
যাই হোক , কোনো এক বর্ষার দিনে মা আমাকে সেই মাছ ধরার ফাঁদটা তুলে নিয়ে আসতে বলে ৷ বাবা আগেই সেটা বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে বসিয়ে রেখেছিলো ৷ মা বলতেই আমিও চলে যাই সেই মাছ ধরার ফাঁদ টা তুলে নিয়ে আসতে ৷ বাড়ির পাশেই পুকুর পাড়ে সেটা বসানো ছিলো , আমি যেইনা পানির নিচ থেকে ফাঁদটা তুললাম , দেখলাম অনেক মাছের পাশাপাশি বেশ কয়েকটা সাপও ফাঁদে আঁটকা পড়েছে ৷ আর এমনটা দেখার সাথে সাথে একটা চিৎকার দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ টা পুকুরের মাঝখানে ফেলে দিয়ে সোজা একটা দৌর দেই বাড়ির উদ্দেশ্য ৷ আমার চিৎকার আর দৌর দেখে ততক্ষণে সবাই আমার কাছে চলে আসে ৷ এরপর তারা জানতে চায় কি হয়েছে আমার ৷ আমি হাপাতে হাপাতে বলি মাছের ফাঁদে সাপ আটকে যাওয়া কথা গুলো ৷ তখন বাবা চলে যায় পুকুর পাড়ে , আর পুকুরের মাঝথেকে সেই ফাঁদ টা তুলে নিয়ে আসে ৷ সবার মাঝে ফাঁদের মুখটা খেলো হয় ৷ দেখা যায় সেই ফাঁদে একটাও সাপ ছিলো না ৷ আমি যেগুলো সাপ ভেবেছিলাম সেগুলো সব কুচিয়া মাছ ছিলো ৷ আর এটা শোনার পর বেশ লজ্জা পেয়ে যাই আমি সবার সামনে ৷ যাই হোক , এটাই ছিলো সেই ছোটবেলার মজার গল্প ৷ যেটা এখনো মনে পড়লে বেশ হাঁসি পায় আমার ৷ কুচিয়া মাছ অনেকটা সাপের মতো দেখতে ৷ এই মাছ গুলো একেক জায়গায় একেক নামে পরিচিতি ৷ এই যেমন কুঁইচা, কুইচ্চা, কুঁচে, কুঁচো ইত্যাদি নামে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে পরিচিতি এই মাছটি ৷
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ৷ সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন ৷ আশা করি আমার এই গল্পটা আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে , সময় নিয়ে পোস্টটি দেখার জন্য ৷
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হা হা হা বেশ মজার একটি স্মৃতি শেয়ার করলেন ছোট বেলার। আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া ছোটবেলার গল্প গুলো মনে পড়লে অনেক সময় হাসি পায়। আবার অনেক সময় নিজে নিজে লজ্জা পাই এমন অবস্থা। তো আপনি মাছের ফাঁদে সাপ ধরা পড়লো সেই ভেবে অনেক চেঁচামেচি করলেন। বিষয়টা বেশ হাসি পেয়েছিল আমার কাছেও। ভালো লাগলো আপনার ছোট বেলার বেশ সুন্দর একটি মাছ ধরার স্মৃতি পড়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু , আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট বেলায় মাছ ধরতে আমার অনেক ভালো লাগতো। আপনার গল্পটি পরে আমারও শৈশব এর স্মৃতি মনে পরে গেলো। দন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় গ্রামে থাকার মজাটাই অনেকটা আলাদা ছিল। গ্রামের মধ্যে অনেক রকম ভাবে গ্রামের মানুষরা মাছ ধরে থাকে। আমরাও ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির পাশে ছোট খাল বিল একপাশে আমরাও এভাবে মাছ ধরতে যেতাম। আপনার স্মৃতিময়ী গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। এরকম গল্প গুলো আমার কাছে তো বেশ ভালোই লাগে। সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
ছোটবেলার মাছ ধরার মজার একটা ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। মাছ ধরা নিয়ে আমার তেমন স্মৃতি নেই,তবে ছোট বেলার অনেকমজার মজার ঘটনা আছে, যা মনে পড়লে হাসি পায়।কুচিয়া কে সাপ ভেবে দৌড় মেরেছেন।আসলে কুচিয়া আর সাপ তো প্রায় একই! ছোট মানুষ ছিলেন, ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ৷
আপনার এই গল্প পড়ে আমি রাত্রেবেলা লেপের ভেতরে হাসতে হাসতে আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মাছ ধরার সেই ফাঁদ যখনই উঠেছেন তখনই দেখতে পেয়েছেন যে সাপ অথচ সেটা ছিল কুচে হাহাহা। বর্ষাকালে যখন মাছ ধরার আমেজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন অনেকেই মাছ ধরতে চায় কেউ শখের বসে কেউবা পেশায়। তবে আপনি যে ভয় পেয়েছেন এটা ভেবে আমার অনেক বেশি হাসি পাচ্ছে এরকম জায়গায় আমিও থাকলে অবশ্যই আমি ভয় পেতাম যাই হোক শেষমেষ লজ্জাও পেয়েছেন বটে। ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার মাছ ধরার মজার স্মৃতির গল্প পড়ে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া , আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ৷