রাসমেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত

হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম , প্রতিদিনের মতোই নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷

বেশ কিছু দিন আগে আমি দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির ঘুরতে গিয়েছিলাম ৷ সে সময় রাস উৎসব শুরু হয়েছে ৷ রাস উৎসব উপলক্ষে কান্তজীর মন্দিরে প্রতি বছর মাসব্যাপী মেলা হয় ৷ বেশ বড় ধরনের মেলা , হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসে মেলায় অংশগ্রহণ করে ৷ আমিও মেলায় গিয়েছিলাম মেলা শুরুর দিকে ৷ তখন সবে মেলা শুরুর চার পাঁচ দিন হয়েছে ৷ আমাদের এখান থেকে কান্তজীর মন্দির অনেকটাই দূরে ৷ তাই আমরা সকাল সকাল মেলার উদ্দেশ্যে রওনা হোই ৷ এবং দুপুরে কান্তজীর মন্দিরে গিয়ে পৌচ্ছাই ৷ মেলায় প্রবেশ করতেই আমি অবাক হয়ে যাই ৷ প্রচুর মানুষের ভীর আর রাস্তার জ্যাম দেখে ৷ অবশ্য আমি আগেই জানতাম মানুষের ভীর প্রচুর হবে , কারণ সেদিন ছিলো আবার শুক্রবার ৷ ছুটির দিনে সাধারণত মেলা কিংবা পার্কে মানুষের ভীর একটু বেশিই হয় অন্যান্য দিনের তুলনায় ৷ কারণ ছুটি পেলে সবাই একটু বিনোদনের জন্য ঘুরতে বের হয় ৷ যাই হোক , শুক্রবার ছুটি পেয়ে আমরাও গিয়েছিলাম ঠাকুর দর্শন এবং মেলায় ঘুরতে ৷ এজন্য কান্তজীর মন্দিরে গিয়েই প্রথমে ঠাকুর দর্শন করি ৷ যদিও ঠিকভাবে ঠাকুর দর্শন করতে পারিনি , মানুষের অকারণ ভীরের জন্য ৷ সেভাবেই ঠাকুর দর্শন করে আমরা মেলায় ঘুরতে বের হোই ৷

---

---

কান্তজীর মন্দিরে রাস উৎসব উপলক্ষে এই মেলা অনেক বড় এবং জাঁকজমক ভাবে হয়ে থাকে ৷ এই মেলাকে রাসমেলা বলা হয় ৷ রাস পূর্নিমা থেকে এই মেলা শুরু হয় এবং মাসব্যাপীর ও বেশি সময় এই মেলা চলতে থাকে ৷ আমরা যখন রাসমেলায় যাই তখন সবে মাত্র মেলা শুরু হয়েছে ৷ তাতেও মানুষের ভীর ছিলো অসংখ্য ৷ অনেকটা জায়গায় জুরে মেলার দোকানপাট আর প্যান্ডেল সাজানো ছিলো ৷ মেইন মেলায় এবং মন্দিরের ভিতর সেদিন দারানোর মতো অবস্থাও ছিলো না ৷ এতো এতো মানুষের ভীর যে আমরা সেখানে বেশিক্ষণ দারাতে পারিনি ৷

---

---

কন্তজীর মন্দিরের পিছন সাইডে আরো একটি মন্দির রয়েছে ৷ এটিকে পুরাতন মন্দির বলে সবাই ৷ এখানে মানুষের ভীর অনেকটাই কম ছিলো ৷ আমরা কিছুক্ষণ এই পুরাতন মন্দিরের পাশে অবস্থান করি ৷ একটু স্বস্তির জন্য ৷ এখানে চারপাশ ফাকা , পাশেই ছোট একটা নদী ৷ এজন্য এখানে দারাই প্রকৃতির নিরিবিলি একটু ছোঁয়ার জন্য ৷ সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আবার মেলায় ঘুরতে চলে যাই ৷ মন্দিরের আশপাশে মোটামুটি জায়গায় আছে ৷ তবে সেসব জায়গায় দোকানপাটে ভরে যাওয়ার জন্য এই সাইডে আবাদি জমির উপর বিভিন্ন বড় বড় দোকানপাট , খাবার হোটেল , সার্কাস , ম্যাজিক সহ লটারির আয়োজন করেছে ৷ এদিকে তেমন মানুষজন নেই , রাতের বেলা এদিকে প্রচুর মানুষজন হয় ৷

---

---

আমরা মেইন মেলায় বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর এদিকে আসি এসব দেখতে ৷ এদিকে অনেক কিছুই ছিলো , তবে এসব রাতের বেলা শুরু হয় ৷ আমরা কেবল ঘুরে ঘুরে দেখলাম ৷ আর আমি ঘোরাঘুরির পাশাপাশি কয়েক ফটোগ্রাফি করে নিলাম ৷ মানুষের আনাগোনা কম ছিলো বলে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি ৷ আসলে মানুষের ভিরে ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছে করে না ৷ যেমন মেলার ভিতরের ই অসংখ্য মানুষ ছিলো , যার জন্য মেলার ভিতরের কোনো ফটোগ্রাফি করিনি ৷ মানুষের মাঝে ফোন বের করতেই ইচ্ছে করে না ৷ যাই হোক , মেলা মানেই সব কিছু থাকবে আর ভীষণ আনন্দ হবে ৷ সেখানেও সেটাই হয়েছে ৷ এই মেলায় সব কিছুই ছিলো , এসেছে ৷ আর আমরা ঘোরাঘুরি আড্ডা খাওয়া দাওয়া সেই লেভেলে করেছি ৷ ভীষণ আনন্দ হয়েছে কান্তজীর রাসমেলায় ৷

---

---

তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ৷ আশা করি আমার এই ব্লগটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে , আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার এই ব্লগটি ভিজিট করার জন্য ৷ সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন ৷ আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার দেখা হবে নতুন আরো কোনো ব্লগে ৷ ধন্যবাদ সবাইকে , অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ টা টা

আমার নাম নিরব ৷ জাতীয়তা বাংলাদেশী ৷ মাতৃভাষা বাংলা ৷ বাংলায় কথা বলতে এবং লিখতে আমি অসম্ভব ভালোবাসি ৷ পেশাগত দিক দিয়ে আমি একজন ছাত্র , পড়াশোনা করছি অনার্স প্রথম বর্ষে ৷ পাশাপাশি স্টিমিটে ব্লগিং করছি ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ৷ আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি ৷ এছাড়াও আর্ট , ফটোগ্রাফি এবং লেখালেখি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে ৷ সব সময় শেখার চেষ্টা করি , নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে আমার খুবই ভালো লাগে ৷ আমি বন্ধুদের সাথে সময় কাটতে অনেক বেশি পছন্দ করি ৷ এছাড়াও পরিবারের সাথে থাকতে এবং সময় কাটাতে আমার প্রচুর ভালো লাগে ৷ আমি একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৷ আমি আমার ধর্মকে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং সম্মান করি ৷ আমি স্টিমিটে জয়েন করি ২০২০ সালের আগস্টের শুরুর দিকে ৷ ধ ন্য বা দ ...