শৈশবের মাছ ধরার সুখস্মৃতি
হ্যালো বন্ধুরা..
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালোই আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম ৷ আমার কিছু গল্প কথা শেয়ার করার জন্য ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের ছোট একটি ঘটনা শেয়ার করবো ৷ ছোট বেলার মাছ ধরার এই ঘটনাটা ৷ আসলে ছোট বেলায় মাছ ধরার অনেক গল্প কথাই মনে আছে আমার ৷ যেগুলো এখন বেশ মনে পড়ে ৷ ছোট বেলায় প্রচুর মাছ ধরতাম ৷ বর্ষাকালে গ্রামের খাল-বিলে মাছ ধরায় ব্যস্ত ছিলাম বেশিভাগ সময় ৷ কখনো বা মাছ পেতাম , আবার কখনো বা পেতাম নাহ ৷ তবুও মাছ ধরার প্রতি এক অন্যরকম নেশা ছিলো ৷ ভালো লাগা আর আনন্দের সাথে কেটে যেতো বেলা গুলো ৷ সেই দিন গুলো আর সে গল্প গুলোর কথা এখন মাঝে মাঝেই মনে পড়ে যায় ৷ আসলে যাদের গ্রামের বেড়ে ওঠা তারা প্রত্যেকে অনন্ত একবার হলেও এই সময় গুলো উপভোগ করেছে ৷ গ্রামের খাল বিলে সবাই মিলে মাছ ধরতে যাওয়ার আনন্দ আর হাসিঠাট্টায় মেতে থাকা এই দুষ্টুমি খুনসুটির স্মৃতি গুলো হয়তো সেরা কিছু আমার জীবনে ৷
বর্ষাকাল এলেই অন্যরকম এক ভালো লাগা এসে যেতো আমাদের মাঝে ও ৷ এই বর্ষাকাল সময়টা যেনো একটু বেশিই মজার ছিলো আমাদের শৈশবে ৷ ছোটা ছুট ঘোরাঘুরি আর আনন্দ আড্ডা একটু বেশিই হতো এই সময়টায় ৷ গ্রামের এক দল ছেলে আমরা অন্যের গাছের ফল পেরে খাওয়া , গাছের নিচে আড্ডা , নদীর পারে ঘোরাঘুরি আর মাছ ধরতে যাওয়া এসবের মাঝেই মিশে থাকতাম ৷ তখন অবশ্য খেলাধুলাও হতো নানার রকমের ৷ বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ফুটবল খেলা আর মাছ ধরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো অনেক বেশি মনে পড়ে যায় আজ ৷ গ্রামের কম বেশি সব মাছ ধরতে পারতো , বর্ষাকালে এলেই মাছ ধরতে যেতো সবাই ৷ আর তাদের দেখে আমরাও একদল পিচ্ছি মাছ ধরতে যেতাম ৷ নানার উপায়ে মাছ ধরা যেতো তবে বর্শি দিয়ে মাছ ধরার গল্পই আজ একটা শেয়ার করি ৷
বয়সটা তখন পাঁচ সাত হবে ৷ গ্রামের আর কয়েকটা ছেলের সাথে আড্ডা ছিলো দিনের সারাটা বেলা ৷ স্কুল ঘোরাঘুরি সব সময় মেতে থাকতাম এই দলটা ৷ এক দিন ঠিক হলো ছিপ তৈরির কথা ৷ ছিপ দিয়ে বাড়ির পাশে নদী টায় মাছ ধরবো ৷ পুরনো ছিপ বাড়িতে থাকলেও নতুন বছরের নতুন ছিপ লাগবে ৷ আর এজন্য দরকার বর্শি সুতো বাশ ছাড়াও আরো বেশি কিছু ৷ এসব কেনার জন্য টাকা প্রযোজন ৷ সবাই স্কুলের টাকা জমিয়ে বাজার থেকে এসব কিনে এনে ছিপ তৈরি করতাম ৷ এরপর সময় সুযোগ এলেই নদীর পাড়ে চলে যেতাম মাছ ধরতে ৷ দিনের সারাটা বেলা কখনো কখনো কেটে যেতো নদী পাড়ে বসে থেকে ৷ কখনো দু একটা মাছ পেতাম আবার কখনো বা পেতাম না ৷ মাছ যতটাই না পাওয়া যায় তার থেকে কয়েক গুন বেশি আনন্দ পাওয়া যেতো ৷ তবে এখানে মায়ের বকুনি পিটুনি টাও ছিলো বেশ মজার ৷
তো একদিন হলো কি , আমরা একদল ছেলে ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে গেলাম নদীর পারে ৷ নদীতে ছিপ ফেলে বসে আছি ছিপে মাছ লাগার অপেক্ষা ৷ সময় যাচ্ছে তো যাচ্ছেই , ছিপে মাছ লাগার মতো কিছুই দেখতে পারছি না ৷ অনেক সময় পর দু-একজন একটা-দুটা ছোট মাছ পেলেও একজন বন্ধুর ছিপে কোনো মাছ-ই লাগিনি ৷ এরপরও আমরা সেখানে বসে আছি নদীতে ছিপ ফেলে ৷ আসলে আমাদের উদ্দেশ্য মাছ ধরার নয় , আড্ডা টাই মূলত ৷ বেলা ফুরায় তবুও সে মাছ পায় না ৷ এজন্য অবশ্য তার সাথে আমরা বেশ ভালোই মজা নেই ৷ কিন্তু শেষ দিকে হয়ে গেলো অবাক করার মতো এক কান্ড ৷ বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ আগে সে সবার থেকে বড় একটা মাছ পেয়ে যায় ৷ যা আমাদের চার পাঁচটা মাছও তার কাছে কিছু নাহ ৷ শেষ মুহূর্তে এসে তার এতো বড় মাছ পাওয়াটা আমাদের অবাক করে দিয়েছিলো ৷ যাই হোক এরপর নদীতে স্নান করে আমরা বাড়ি ফিরি ৷ আসলে ভাগ্যে , যার সাথে এতোক্ষন মজা নিলাম সে মাছ পায়নি বলে , সেই ই সবার থেকে বড় একটা মাছ পেয়ে গেলো শেষমূহূর্তে ৷ এই ঘটনাটা আসলে অনেক কিছু বলে দেয়..
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে মাছ ধরার অনুভূতিতে সত্যি খুব অন্যরকম। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে শৈশবে মাছ ধরার সাথে অনেক রকম স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে মনে পড়ে গেল। মাছ ধরতে পারলে কি যে আনন্দ হয় তা বলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। অবশেষে অনেক বড় মাছ পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার শৈশবের মাছ ধরার বিভিন্ন ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে শৈশবের স্মৃতিগুলো কখনো ভোলার নয়। যদিও আমি কখনো মাছ ধরার বিষয়টি সামনাসামনি দেখিনি তবুও আজ আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
এই স্মৃতি কখনো ভুলার নয়। এই দিনগুলো কখনও ফিরে আসবেনা কিন্তু সবসময় স্মৃতির পাতায় জমা হয়ে থাকবে। আমি ছোট বেলায় বড়সি দিয়ে মাছ ধরেছি। বর্ষাকালে যখন ধান ক্ষেতে পানি হতো তখন বড়সি দিয়ে মাছ ধরতে অনেক মজা পেতাম। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷