মনে পরে সেই শৈশব

হ্যালো বন্ধুরা

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তো আজ আবার ও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম ৷ আমার কিছু গল্প কথা শেয়ার করার জন্য ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷

মাসখানিক সময় ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি ৷ ব্যস্ততার ভীরে সময়টা কিভাবে যাচ্ছে বুঝেই উঠতে পারছি নাহ মাঝে মাঝে ৷ এখন যেনো ব্যস্ততাই আমি ৷ ব্যস্ততার বাইরে চাইলেও আসতে পারছি নাহ ৷ আরো মাসখানিক সময় হয়তো এভাবেই যাবে ৷ সব কিছু সামলাতে সামলাতে অনেক কিছু ই সামলাতে পারছি না ৷ ব্যস্ততার জন্য এই ভালো লাগার জায়গায় গুলোও ছেড়ে থাকতে হয় অনেক সময় ৷ আসলে মাঝে মাঝে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয় , আমরা চাইলেও কিছু করে উঠতে পারি নাহ ৷ আজ বেশ কিছু দিন হলো , সময় সময়ের গতিতে চলছে কিন্তু আমি তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না ৷ শৈশবের কিছু স্মৃতি আজ খুব করে মনে পড়ছে ৷ কত সহজ সুন্দর সময় ছিলো তখন ৷ শৈশবে বড় হওয়ার ইচ্ছে টা ছিলো খুব বেশি ৷ আর আজ এই সময় এসে উল্টো শৈশবের সেই দিন গুলোর কথা খুব মনে পড়ছে ৷ অতীতের স্মৃতিময় সেই দিন গুলোতে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছে করছে ৷

আজ দুদিন হলো বেশ গরম পড়েছে ৷ তখনও আমি ব্যস্ত , হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলো ৷ ঘরে বসে থাকার উপায় ছিলো নাহ ৷ বাইরে এসে বসে পড়লাম প্রকৃতির মুক্ত বাতাসে ৷ এই বিদ্যুৎ যেনো খনিকের জন্য ব্যস্ততা ভুলিয়ে দিলো আমায় ৷ আর মনে করিয়ে দিলো অতিতের কিছু গল্প কথা ৷ ছোটবেলার সেই ফেলে আসা দিন গুলোর কথা ৷ তখন হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যেতো ৷ আর আমরা সেটার অপেক্ষায় বসে থাকতাম ৷ পড়ার টেবিলে বসে ভাবতাম কখন বিদ্যুৎ চলে যাবে ৷ আর কখন আমরা মুক্ত হবো , কখন বাইরে গিয়ে আড্ডা দিবো ৷ তখন একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার নামগন্ধ থাকতো নাহ ৷ আর আমরা এটার অপেক্ষায় বসে থাকতাম ৷ বিদ্যুৎ চলে গেলে বাইরে এসে সবাই মিলে বেশ আড্ডা দিতাম ৷ আমার এখনো মনে আছে , শৈশবে জোনাকি পোকার পিছনে ছুটে বেড়ানো সেই দিন গুলোর কথা ৷ নানান রাজার রূপকথার সেই কাল্পনিক গল্প গুলো কথা ৷ এবাড়ি ওবাড়ি রাতের আধারে ঘুরে বেড়ানোর কথা ৷ বিশেষ করে জ্যোৎস্না রাতের সময় গুলো অনেক বেশি উপভোগ করতাম কারণ ওই সময়টাতে আমরা বিভিন্ন ধরনের খেলায় মেতে উঠতাম। ছোঁয়াছুয়ি, লুকোচুরি সহ আরো অনেক খেলা ওই সময় অনেক জনপ্রিয় ছিল। সময়ের সাথে সাথে সব হারিয়ে ফেলেছি ৷ আর অতীত হয়ে এখন স্মৃতির পাতায় সেসব খেলা করছে ৷

বর্তমান সময়ের শিশুরা আগে মতো নয় ৷ প্রযুক্তির উন্নয়নের এই যুগে তারা অনেকটা রোবোটিক হয়ে উঠেছে ৷ তারা এখন বেশিক্ষণ সময় স্মার্টফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে । তাদের শৈশব জীবন যা কিছু ঘটে সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর । তাদের মধ্যে কেউ আর জোনাকি পোকার পিছনে ছুটে না। হয়তো রূপকথার গল্প গুলোও তাদের অজানা শুনেনি কখনো ৷ আমি মনে করি বর্তমান প্রজন্মের তুলনায় আমাদের সেই শৈশবকাল অনেক বেশি মধুর ছিল। হয়তোবা আমরা সেই ভাগ্যবান যারা শৈশব কালকে উপভোগ করতে পেরেছিলাম।