শৈশবের মার্বেল খেলা
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও ভালো আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম ৷ আমার শৈশবের স্মৃতিময় কিছু কথা শেয়ার করার জন্য ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
শৈশব জীবনের একটা রঙিন অধ্যায় ৷ আজ সেই সময়টা পেরিয়ে এসে ভীষণ মনে হচ্ছে এই কথা ৷ যখন ছোট ছিলাম , তখন শুধু ভাবতাম কবে বড় হবো ৷ বড় হলে না জানি কতই সুখ অপেক্ষা করছে ৷ কিন্তু বড় হয়ে গেলে , ছোটবেলার সেই দিন গুলোর কথা প্রতি মুহূর্তে মনে পড়ে ৷ আর ফিরে যেতে মন চায় সেই ছোটবেলায় ৷ যখন কিছু দায়িত্ব এসে পড়ে নিজের কাধে ,তখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারা যায় , বড় হওয়ার ইচ্ছে টা ছোট বেলায় চাওয়া কতটা ভুল ছিলো ৷ জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় ছোটবেলা ৷ কত আনন্দ আর হুল্লোড়ের মধ্যে দিয়ে কাটে সেই দিন গুলো ৷ তখন থাকে না কোনা চিন্তাভাবনা , ছুটা-ছুটি আর আনন্দের সাথে কাটে মধুর সেই দিন গুলো ৷ প্রত্যেকের মতো আমারও একটা রঙিন শৈশব ছিলো ৷ সেই রঙিন শৈশবকাল ফেলে আসার খুব বেশি দিন হয়নি আমার ৷ এখনো বেশ ভালো ভাবেই মনে পড়ে সেই দিন গুলোর কথা ৷ পড়ার সময় পড়া , খাবার সময় খাওয়া আর খেলার সময় খেলা করা , এমনই ভাবে কেটেছে আমার মধুর শৈশব ৷ ফাইনাল এক্সাম শেষে লম্বা স্কুল বন্ধের দিন গুলোতে পড়ে থাকতাম ছোটা-ছুটি আর খেলাধুলায় ৷ আমার পছন্দের খেলা গুলোর মাঝে গুলি বা মার্বেল ছিলো অন্যতম ৷ সবাই মিলে মার্বেল খেলার মাঝে কতই না মজা হতো ৷ অনেক স্মৃতিময় গল্প আছে এই খেলা নিয়ে ৷ একদিন হয়েছি কী...কোনো এক স্কুল বন্ধের দিনে সবাই মিলে মার্বেল খেলতে বসেছি ৷ আমাদের এই খেলা শুরু হয় সকাল থেকেই ৷ এলাকার কিছু সমবয়সী ছেলে মিলে সবাই মার্বেল খেলতেছি ৷ মার্বেল খেলার অনেক খেলা আছে ৷ আমরা মার্বেল দিয়ে মার্বেল নষ্ট করার একধরনের খেলা খেলতে শুরু করি ৷ আর আমাদের এই খেলা চলতেই থাকে ৷ খেলতে খেলতে একটা সময় অনেকেরই অনেক মার্বেল নষ্ট হয়ে যায় ৷ আমারও প্রায় সব মার্বেল শেষ কিছু বাদে ৷ তখন মার্বেল ছাড়া থাকা অনেকটাই কষ্টকর একটা বিষয় ৷ সবার কাছেই কম বেশি মার্বেল থাকতো ৷ স্কুলে খাওয়ার জন্য যে টাকা পেতাম ৷ সেটা দিয়ে আমরা মার্বেল কিনে নিতাম ৷ সেদিন সকাল বেলা অনেক মার্বেল নষ্ট হয়ে যাওয়াতে অনেকেই পড়ে যাই সমস্যায় ৷ কারণ বিকেল বেলা আবারও খেলতে হবে , এজন্য মার্বেলের প্রয়োজন ৷ আর মার্বেল কিনতে গেলে তো টাকার লাগবে ৷ টাকা পাবো কথায় ৷ তখন সেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নেই...যেটা মাঝে মাঝে করতে হয় ৷ মায়ের জমানো টাকা খুঁজে বের করে চুপ করে পাঁচ দশ টাকা নিয়ে মার্বেল কিনে নিয়ে আসতাম ৷ এরপর আবার খেলা শুরু , সারা বিকেল চলতো মার্বেল খেলা ৷ সন্ধ্যায় আগে যখন বাড়ি ফিরতাম , তখন মায়ের রাগি মুখটা দেখে বুঝে যেতাম মা বুঝে গেছে ৷ এজন্য উল্টো দিকে আবার দৌর দিতাম ৷ পাশে থাকলে খবর খারাপ হতে পারে এজন্য ৷ সেদিন আর সন্ধ্যায় ঘরে যেতে সাহস পেতাম না ৷ অন্যের বাড়ি বাড়ি ঘুরে আড্ডা দিতাম ৷ এরপর সেই মায়েই আবার ডেকে নিয়ে যেতো ৷ এরপর কয়েকটা বকা শুনতে হতো ৷ এমনই ভাবেই শৈশবের প্রত্যেকটা দিন যেতো ৷ মায়ের টুকটাক বকা আর সারা বেলা খেলাধুলা, সহপাঠীদের সাথে আড্ডা ৷ কতই মিষ্টি ছিলো সেই দিন গুলো ৷ আজ ছোটবেলার এই দিন গুলোর কথা মনে হলে ভীষণ ভালো লাগে ৷ আর ফিরে পেতে ইচ্ছে করে ফেলে আসা এই রঙিন দিন গুলো ৷ যাই হোক আজ এটুকুই ছিলো ৷ ধন্যবাদ সবাইকে ৷
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার এই গল্পটা পড়ার পরে আমার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল আমিও ঠিক এরকম খেলাধুলা শেষ করে সন্ধ্যার সময় যখন বাড়ি যেতাম তখন আম্মু রাগ করত বাড়িতে ঢুকতে দিত না কিন্তু যখন চারিদিকে অন্ধকার হয়ে যেত তখন আবার ভালোবেসে আমাকে বোঝাত সন্ধ্যার আগে যেন বাড়িতে চলে আসি। নিঃসন্দেহে সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো সময়।
মানুষের জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময় ছোট থাকলে বড় হতে চায় বড় হয়ে গেলে আবার শৈশব ফিরে পেতে চায়। শৈশবে অনেক খেলাধুলায় করা হয়েছে। মার্বেল খেলাটা ওই সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল তবে এখনকার ছেলে পেলে সেভাবে মার্বেল খেলে না। সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরতে হতো । আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আসলেই ছোটবেলায় মার্বেল খেলেনি এরকম মানুষ খুব কমই আছে ছোটবেলার এই গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। যখন ছোট ছিলাম তখন বড় হওয়ার জন্য কত না স্বপ্ন দেখতাম কিন্তু বড় হয়ে এখন দেখি ছোটবেলা অনেক বেশি ভালো ছিল। চুরি করে টাকা নিয়ে সেই টাকা দিয়ে মার্বেল খেলে বাসায় যাওয়ার ভয়ে অন্যের বাড়িতে বসে থেকেছেন হাহাহা। যাই হোক শেষ পর্যন্ত মায়ের ডাকেই বাসায় ফিরেছেন বুদ্ধি আছে আপনার। ধন্যবাদ সুন্দর একটা গল্প তুলে ধরার জন্য।
আসলে ছোটবেলার স্মৃতি স্মরণ করতে আমারও ভালো লাগে। যেখানে খুঁজে পাই মধুর সব শৈশবের অনুভূতি। তবে আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে আপনি পোস্ট করেছেন ভাই অনেকদিন পর মার্বেল খেলার স্বপ্ন গতকালকে দেখেছিলাম। দেখছি ছোটবেলায় যেভাবে খেলা করতাম ঠিক সেভাবে আমি আর আমার বড় ভাই দুইজন খেলছি। বারবার আমি তার কাছে হেরে যাচ্ছি কিন্তু লাস্টের দান আমি পেয়ে আনন্দ করতে করতে ঘুম ভেঙে গেল। যাই হোক মার্বেল খেলা নিয়ে আমারও অনেক স্মৃতি রয়েছে। শৈশব স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা প্রত্যেকটা মানুষই আমাদের শৈশবকালকে অনেক মিস করি।আপনার শৈশবে মার্বেল খেলার অনূভুতি পড়ে খুব ভালো লাগলে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মার্বেল খেলা নিয়ে আমার জীবনেও অনেক স্মৃতি রয়েছে। আসলে ছোটবেলাটা ছিল অনেক সুন্দর। সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়লে এখন ইচ্ছে করে ছোটবেলায় ফিরে যেতে, যদিও এটা কখনো সম্ভব না। ছোটবেলায় মার্বেল খেলার সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে মার্বেল খেলা হতো। শুধু খাওয়ার সময় ঘরে যাওয়া হতো, আর এমনিতে সারাক্ষণ শুধু বাহিরে খেলাধুলাই করা হতো। আসলে মায়েরা যতই রাগারাগি করুক না কেন, একটু বকা দেওয়ার পর আর কিছুই করত না। আপনার শৈশবের মার্বেল খেলার স্মৃতিময়ী পোস্ট পড়ে, আমার নিজেরই মনে পড়ে গেল শৈশবের কথা।
শৈশবকালটা এমন ছিল যে সেই সময়টাতে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আমাদের সবার জীবনে। শৈশবের সেই স্মৃতিগুলোকে কখনোই ভোলা সম্ভব না। হয়তো ছোটবেলায় ভাবতাম বড় হলে ভালো হতো। কিন্তু বড় হওয়ার পরে বুঝতে পারতেছি ছোটবেলাতেই ভালো ছিল। মার্বেল ভাঙার খেলা খেলার কারণেই মূলত মার্বেল গুলো এরকম ভাবে নষ্ট হয়েছে। পরবর্তীতে আপনার মায়ের টাকাটাই লস হলো তাহলে। তবে এটাতে কিন্তু অনেক আনন্দ ছিল এটা বলা যায়। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার মার্বেল খেলা নিয়ে শেয়ার করা পোস্টটি।