শৈশবের স্মৃতিময় গল্প
হ্যালো বন্ধুরা , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালো আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম ৷ আজ আমি আমার শৈশবের কিছু গল্পময় কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
শৈশব মানেই জীবনের রঙিন কিছু মুহূর্ত ৷ শৈশবের কথা মনে হলেই মনে পড়ে যায় হাজারও রঙিন মুহূর্তের কথা ৷ জীবনের সেরা সময়টা হয়তো শৈশবের ওই ফেলে আসা দিন গুলোই ৷ কত আনন্দ আর ভালোলাগা মিশে ছিলো সেই দিন গুলোতে ৷ শৈশবের সেই দিন গুলোর কথা মাঝে মাঝেই মনে পরে ৷ মনে পরে ফেলে আসা সেই রঙিন মুহূর্ত গুলোর ৷ শৈশবের সেই রঙিন মুহূর্ত গুলো আজ স্মৃতি পাতায় পাতায় মিশে আছে ৷ এখনো বেশ ভালো ভাবেই মনে পরে ছোটবেলার কিছু সুখকর স্মৃতি ৷ চলুন আজ আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের কিছু স্মৃতিময় কথা শেয়ার করি ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ যদিও এই গল্পটা মজার কিংবা তিক্ততা নয় ৷ তবে আমার অনেক আবেগের ৷
ছোট বেলায় আমি একটু অন্যরকম ছিলাম ৷ অন্যরকম বলতে যেটা ভালো লাগতো সেটাই করতাম ৷ ছোট বেলায় থাকেনা , পরিবারের একটু করা শাসন কিছু কিছু কাজে বাঁধা ৷ এসব তেমন একটা না মেনে সব সময় পাকনামি করতাম ৷ আর জানেন ই তো পাকামির ফল ভালো হয় না ৷ তবে ভাগ্যে বলেও একটা কথা আছে ৷ যার জন্য প্রতিবারই আমি ঠিকঠাক ছিলাম ৷ যাই হোক , এসব কথা বলার কারণ গুলো এখন বলি ৷ ছোটবেলায় সব কিছুতেই একটু আগ্রহ বেশি থাকে ৷ আমারও ছোটবেলায় সাইকেলের প্রতি খুব বেশি আগ্রহ ছিলো ৷ আর এই সাইকেল চালা শিখতে গিয়েই ছোট বেলায় কত কাণ্ডকারখানা ঘটে যায় আমার সাথে ৷
আমি তখন ছোট ছিলাম ৷ ছোট থেকেই সাইকেলের প্রতি আমার খুব আগ্রহ ৷ আমাদের একটা বড় সাইকেল ছিলো ৷ যেটা পরিবারের সবাই চালাতো ৷ তবে বেশিরভাগ সময়ই সাইকেল'টা বাড়িতেই পরে থাকতো ৷ টুকটাক কাজের জন্য বাইরে নিয়ে যায় , আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ে আসে ৷ খুব একটা কাজে লাগেনা সেই সাইকেল টা ৷ তবে টুকটাক প্রয়োজনে জন্য প্রতিদিনই ঘর থেকে সাইকেলটা বের করতে হতো ৷ আর ছোট বেলায় আমার সেই সাইকেলের প্রতি চোখ থাকতো সব সময় ৷ সুযোগ পেলেই বাড়ি থেকে সাইকেলটা বের করতাম আর নিয়ে ঘুরতাম ৷ যদিও সেই সাইকেল সামলাতেই পারতাম না ঠিক ভাবে ৷ অন্যদের দেখে আমিও আমাদের সাইকেল নিয়ে বের হতাম ৷ খুব ছোট ছিলাম তখন , সাইকেল চালাতে পরতাম না ৷ শুধু সাইকেলটা ধরে হেঁটে হেঁটে ঘুরতাম ৷ কতবার সাইকেল সামলাতে না পেরে নিজের উপর ফেলে দিছি তার হিসেব নেই ৷ তবুও সাইকেলর প্রতি ছিলো অসম্ভব ভালোবাসা ৷
খুব ছোট ছিলাম , তাই সাইকেল ধরতে বাঁধা করতো সবাই ৷ তবে কে শোনে কার কথা ! প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে বের হতাম ৷ কখনো গ্রামের মাঠে , তো কখনো গ্রামের ধুলো জমা রাস্তায় সাইকেল নিয়ে ছুটতাম ৷ সাইকেল দিয়ে হাত পায়ে ছোটখাটো অনেক আঘাত পেয়েছি , যার হিসেব ছিলো না ৷ কিছু কিছু আঘাতের দাগ থেকে যাওয়ার মতোও ছিলো ৷ আর এসব আঘাতের জন্য অবশ্য পরিবারের থেকে অনেক বকাও শুনতে হয়েছে ৷ তবুও সাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি বন্ধ হয়নি ৷ মাঝে মাঝে অবশ্য কিছু দিন সাইকেল চালা হতো না এসবের জন্য ৷ তবে কিছু দিন পর আবারও সেই আগের মতোই চলতো ৷ এতো কিছুর পরও ছোট বেলায় সাইকেল নিয়ে বের হওয়ার অবশ্য আরেকটা কারণ ছিলো ৷ সেটা হলো সহপাঠী ৷ আমরা সমবয়সী বেশ কয়েকজন ছিলাম ৷ যারা প্রত্যেকেই এমন করতাম ৷ সকাল কিংবা বিকাল কিছুই বুঝতাম না ৷ সাইকেল নিয়ে চলতো ছুটাছুটি আমাদের ৷
এভাবে অনেক দিন কেটেছে ৷ এরপর আস্তে আস্তে কিছুটা বড় হয়েছি ৷ সাইকেলও কিছুটা সামলাতে পারতাম ৷ তবে এখনো সাইকেল চালা শিখিনি ৷ সাইকেলের এক পেটেলে পা রেখে অন্য পা দিয়ে মাটি ঠেলে ঠেলে সাইকেল চালাতে পারতাম ৷ এটা শিখতে পারার অনুভূতিটাও অসাধারণ ছিলো তখন ৷ যাই হোক , এভাবেই চলছে দিন গুলো ৷ এক পা দিয়ে সাইকেল চালাতাম আর ঘুরতাম ৷ যদিও এর মাঝে অনেক ঘটনাই ঘটেছে আমার সাথে ৷ একদিন সকাল বেলা সবাই মিলে সাইকেল নিয়ে বের হয়েছি ৷ আমরা কেউ এক পা দিয়ে সাইকেল চালাতাম , কেউ আবার হাফ পেটেলে সাইকেল চালাতে পারতো ৷ তো যাই হোক , সবাই মিলে সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি ৷ ঘুরতে ঘুরতে আমাদের পাড়া থেকে আরেক পাড়ায় চলে গেছি ৷ সেখানে আমাদের সমবয়সী ছেলেপেলে ছিলো ৷ সাইকেল রেখে তাদের সাথে খেলার আড্ডা মেতেছি ৷ এদিকে সময় দুপুর পেরিয়ে বিকেলের কাছাকাছি ৷ যখন বাড়ি ফিরে আসি তখন রাস্তাতেই বাবার সাথে দেখা হয় ৷ বাবাকে দেখেই বুঝতে পারি বাবা রেগে আছে ৷ যখন বাবা ধমক দিয়ে বলে কই গেছিস সাইকেল নিয়ে ৷ এতক্ষণ সাইকেলে প্রয়োজন ছিলো ৷ ধমক শুনেই সাইকেল ফেলে দিতাম এক দৌর ৷ কেমন একটা ভয় ভয় অনুভূতি কাজ করতো তখন ৷ ছোটবেলার এই দিন গুলোর কথা মনে পড়তেই ভীষণ ভালো লাগে এখন ৷ কতই না রঙিন ছিলো ছোট বেলাই এই সময় গুলো ৷ যদিও তখন বুঝতাম না ৷ তবে এখন ভীষণ ভালো লাগছে সেই দিন গুলোর কথা ভেবে ৷
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ৷ সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন ৷ আবার আসবো আপনাদের মাঝে ৷ আশা করি আমার ছোট বেলার এই স্মৃতিময় গল্প কথা গুলো আমাদের সবার ভালো লাগবে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে পোস্ট সময় নিয়ে দেখার জন্য ৷ পরবর্তীতে এই গল্পের আরো কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবো ৷ ধন্যবাদ সবাইকে
🙏 ধন্যবাদ সবাইকে 🙏
আমার নাম নিরব ৷ জাতীয়তা বাংলাদেশী ৷ মাতৃভাষা বাংলা ৷ বাংলায় কথা বলতে এবং লিখতে আমি অসম্ভব ভালোবাসি ৷ পেশাগত দিক দিয়ে আমি একজন ছাত্র , পড়াশোনা করছি অনার্স প্রথম বর্ষে ৷ পাশাপাশি স্টিমিটে ব্লগিং করছি ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ৷ আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি ৷ এছাড়াও আর্ট , ফটোগ্রাফি এবং লেখালেখি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে ৷ সব সময় শেখার চেষ্টা করি , নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে আমার খুবই ভালো লাগে ৷ আমি বন্ধুদের সাথে সময় কাটতে অনেক বেশি পছন্দ করি ৷ এছাড়াও পরিবারের সাথে থাকতে এবং সময় কাটাতে আমার প্রচুর ভালো লাগে ৷ আমি একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৷ আমি আমার ধর্মকে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং সম্মান করি ৷ আমি স্টিমিটে জয়েন করি ২০২০ সালের আগস্টের শুরুর দিকে ৷ ধ ন্য বা দ ...
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই, আপনার পোস্টটি পড়ে খুব বেশি ছোট বেলার দিনগুলিকে ভীষণভাবে মিস করছি। আপনি তো সাইকেল সামলাতে হিমশিম খেতেন। আর আমি দু এক মাস শুধু আমার বড় ভাইয়ের সাইকেল ঠেলে নিয়ে বেড়াতাম। তারপর যখন ছিটে চড়া শিখলাম তখন তো সাইকেল ঠাই পেতাম না। শুধু স্বপ্নে দেখতাম আমি ঠাই পাচ্ছি কিন্তু বাস্তবে পেতাম না। একটা সময় মনে হতো আমি মনে হয় কোনোদিন বড় হবো না আর আমার সাইকেল ঠাই পাওয়া ও হবে না। তারপর একদিন বড় হলাম। সাইকেেলে ঠাই ও পেলাম। আজও সেই স্মৃতি গুলো আমাকে কাঁদাই। শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
শৈশবের রঙিন স্মৃতি গুলো আসলে কখনো ভোলার নয় ৷ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
ছোট বেলায় গ্রামের সব বাচ্চাদের শৈশব আপনার শৈশবের সাথে মিলে যাবে।এখনো মাঝে মাঝে দেখি আপনার মতো কোন বাচ্চার সাইকেল নিয়ে দৌড়া দৌড়ি।তবে এখনকার বাবা,মা বাচ্চাদের কে সুন্দর সুন্দর ছোট তিন চাকাওয়া সাইকেল কিনে দেন আসলে আমাদের শৈশব আর বর্তমান বাচ্চাদের শৈশব অনেকটাই আলাদা বলা চলে।আপনার পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো।আপনার সাইকেল নিয়ে দূরন্তপনা গুলো জেনেও ভালো লাগলো।বাবার কথায় সাইকেল ফেলে দিয়ে দৌড় দেয়াটা বেশি ভালো ছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু , আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷