আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

Source

ছোটবেলায় স্বপ্নে ভূত দেখার গল্প।শেষ পর্ব।

আমার চতুর দিকে সেই ছোট ছোট ভুতের বাহিনীরা ঘিরে রেখেছে। ছোট বাহিনী বলতে যাদের কথা বলেছিলাম একটু আগে ন্যাড়া মাথা, কাপড় পরিধান নেই ওই বাহিনীগুলোই আমাকে ঘিরে রেখেছে।তারা দুই থেকে তিনজন গাছে উঠে আছে আর দুইজন নিচে আমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।চেহারাটা যদিও দেখা যাচ্ছিল না তবে কালো কালো মনে হচ্ছিল।

তাদের একটাই দাবি তারা আমাকে এখান থেকে ছাড়বে না মেরে ফেলবে। তখন তাদেরকে আমি কি করে বুঝাই যে আমি মরতে চাইনা।আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার তাদের কাছে বললাম। তবে তারা কোনভাবে ছাড়তে রাজি নয়।আমি তাদেরকে বললাম আমাকে একবার যেতে দে আমি ঘুরে আবার চলে আসব।

তখন তারা বলে না তুই গেলে আর ফিরে আসবিনা তাই তোকে যেতে দিব না।পরে তাদেরকে আমি কসম করে বললাম আমি আমার ফ্যামিলির সবার সাথে একবার দেখা করব, এরপর ফিরে আসবো।এই কথাটা বলার পিছনে একটাই যুক্তি ছিলো আমার আর তা হলো আমি যদি একবার এখান থেকে চলে যেতে পারি, তখন আর আমি ফিরে আসবো না। সেজন্য আমি তাদেরকে এই কথাটা বললাম।

তখন তারা আমার এ কথাটি রাখে এবং আমাকে বলে ঠিক আছে যাও দেখা করে চলে আসবে। যাইহোক এর মধ্যেই আমার স্বপ্নটি ভেঙ্গে যায়।সকাল বেলা স্বপ্নটা প্রথমে আম্মুর সাথে শেয়ার করি। আম্মু বকা দিয়ে বলে তুই সারাদিন এরকম জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াস এরকম স্বপ্ন তো দেখবি। যাই হোক তোর দাদু থেকে তোকে একটা তাবিজ নিয়ে দিতে হবে।

তখন আমি বললাম ঠিক আছে।তারপর সেদিন বিকালে আম্মু আমাকে নিয়ে যায় আমার সেই দাদুর কাছে।সেখানে গিয়ে আম্মু দাদুকে সব ঘটনা বলে। তখন দাদু আবার আমাকে বলে তুমি বলো কি কি দেখেছো তুমি।তখন আমি পুরো ঘটনাটি দাদুকে আবার ভেঙ্গে বলি। এরপর দাদু পুরো ঘটনা শুনে বলে ঠিক আছে এখন থেকে আর ও দিকে যাওয়ার কোন দরকার নেই।

Source

এরপর দাদু বলে আমি তোমাকে একটা কাছন পরা দিব সেটা লাগিয়ে রাখবে সবসময়। এটা বলার পর আমরা সেখান থেকে চলে আসি।তারপরের দিন দাদু আমার জন্য একটি কাছন পরা রেডি করে রাখে। আর সেটি আমাকে দেয়া হয়।আর আমিও সেটি হাতের বাহুতে লাগাই। এরপর থেকে আর কোনদিন এরকম স্বপ্ন দেখিনি।

সত্যি বলতে স্বপ্নে আমরা এরকম অনেক কিছুই দেখি তবে সবকিছু মনে করতে পারি না। আর সেটার কারণ হচ্ছে স্বপ্নে যত বড় ঘটনাই দেখি না কেন, সেটি খুবই সীমিত (০.০৮)সেকেন্ডের সমন্বয়ে দেখা হয়। যার কারনে সেটা কেউই ঠিকভাবে মনে রাখতে পারে না। আবার কিছু কিছু স্বপ্ন ছোট হলে মনে থেকে যায়।

তবে আমার স্বপ্নের এই বিষয়টি একদম ক্লিয়ার মনে ছিল। মনে হচ্ছে যেন কোন টেলিভিশনে হরর মুভি দেখছিলাম তখন। এই রকম ভাবে মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। যার কারণে আম্মুকে সকালবেলা সরাসরি বলতে পারি। আর দাদু ও সেটা বুঝে শুনে একটি কাছন পরা দিল আমায়।তো বন্ধুরা আজ এতোটুকু আশা করছি গল্পটি আপনারা উপভোগ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম।

তো বন্ধুরা আজকে এতোটুকুই আশা করি সামনে আরও ভিন্ন কিছু নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।