একজন কর্মঠ ভালো মানুষের গল্প।পর্ব -৩

Source

দ্বিতীয় পর্বের পরে👇

রীতিমতো তার আপু এবং দুলাভাইয়ের কথা শুনে তার মাও মেটামুটি রাজি হলো।তখন তার মা তার ওয়াইফকে দেখার ইচ্ছে পোষণ করলো।তাদের পরিবারে থাকা ভাই ভাবি এবং বাবা সবার আড়ালে তার মা তার ওয়াইফকে দেখার জন্য বাজারে যান।আর সে তার ওয়াইফকে বাজারে নিয়ে আসেন। তখন তার ওয়াইফকে তার মা দেখে খুব পছন্দ হলো।তারপর বলল আমি আমার বউকে নিয়ে আসব।

যাক ঘটনা কিছুটা হালকা হল। তখন কিছুদিন পরেই একটা কৌশলে বাড়িতে ঢুকানোর ফন্দি করলো। কিন্তু বাড়িতে কিছু মাতাব্বর রয়েছে অপরাজনীতির ধারক বাহক। তারা বলেন এরকম বিয়ে আমাদের বাড়িতে মেনে নেওয়া হবে না। কোন দাওয়াত নাই কিছু নেই এভাবে বিয়ে করলে হবে না। তখন তার বোনের হাসব্যান্ড বিষয়টি শুনে।তার বোনের হাসব্যান্ড আবার খুবই রাগি ছিলেন।

আর রাজনীতির উচ্চ শিখরের একজন লোক ছিলেন। তিনি বলেন আমার শ্বশুরের ফ্যামিলিতে কোন সমস্যা নেই বাকি কার কি সমস্যা আমি দেখব।তখন তিনি নিজে হাতে ধরে ওনাদের নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন।আর উনি যখন তার শালক এর বউকে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলেন তখন কেউই তার মুখের উপর আর কথা বলতে পারল না। যাইহোক অবশেষে তাদের সংসার শুরু হল। মোটামুটি সব ঠিকঠাক চলছে এর মাঝে তারা একটি সন্তানের অভিভাবক হয়ে যান।

যদিও সে সন্তানটি সাত থেকে দশ দিনের মাথায় এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। অবশেষে সেই বাচ্চাটিকে, মানে তার সন্তানকে তারা তাদের শ্বশুরবাড়িতে দাফন কাফন করেন। আর হ্যাঁ তাদের প্রথম সন্তানটি ছিল মেয়ে।এরপর আবার জীবনের গতিতে জীবন চলতেছিল। তারপর দ্বিতীয়বার তাদের একজন পুত্র সন্তান হয়। এতে করে তাদের পরিবারে এবং চারিদিকে সবাই অনেক খুশি হন।

Source
কারণ ইতিমধ্যে তার ভাইয়ের দুটো মেয়ে হয়েছে। বংশের মধ্যে একটা ছেলেও নেই। তাই একটা ছেলে পেয়ে তিনি এবং তাদের পুরো বংশের সবাই হাসিখুশি ছিলেন। ছেলে যখন এক থেকে দেড় বছর তখন বাবা চলে যান জীবিকা অর্জনের জন্য বাইরের দেশে। শুরু হয় আরো কঠোর পরিশ্রম। শুরু হয় নিজের ফ্যামিলিকে টিকিয়ে রাখা এবং যথাযথভাবে সন্তানকে মানুষ করার লড়াই।

এদিক থেকে তিনি যখন বাইরে চলে যান তখন তার ফ্যামিলিতে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে।যেহেতু নিজের ভাইয়ের কোন ছেলে নেই। আর এদিক থেকে তার নিজের ছেলে হয়েছে, তাই ভাইয়ের বউ এই ছেলেকে এবং এর ওয়াইফকে অনেক বেশি হিংসে করত। যাক সেদিকে বিস্তারিত যাচ্ছি না। এভাবে ঐ লোকটি বছরের পর বছর বিদেশে কাটিয়ে দিচ্ছেন তার জীবন।

বাড়িতে টাকা পাঠাচ্ছেন ভাইয়ের কাছে। ভাই সেটা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। ওই ব্যক্তিটি নিজের জন্য কিছু না করে সব সময় নিজের ফ্যামিলিতে পাঠিয়েছেন।এটা ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন যে কারো কোন সমস্যা হলে তিনি সবার আগে সেখানে অর্থ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।নিজের ভাইয়ের ফ্যামিলিতে নিজের ভাবির জন্য নিজের ভাতিজিদের জন্য স্বর্ণের চেইনও দিয়েছে, এক কথায় যা যা প্রয়োজন সব দিয়েছেন।

বাকিটা আগামী পর্বে....... কারণ একজন ভালো মানুষের জীবনের কথোপকথন তো আর অল্পস্বল্প করে শেষ করে দেয়া যায় না।আর যদি একজন মানুষের জীবনের ৭০ বছরের কথোপকথন তুলে ধরতে হয়।তাহলে হয়তো লিখে শেষ করা যাবে না। তবুও যতটুকু না লিখলে নয়, সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। যাই হোক পোস্টটি যারা পড়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


আগের পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামীতে ভিন্ন রকম পোষ্ট নিয়ে আবারো আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোষ্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	অনুভূতি
ক্যামেরা.মডেল	এম ৩২
ক্যাপচার	@nevlu123
সম্পাদনা	রিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থান	বাংলাদেশ

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}