বসত বাড়ির আঙ্গিনায় সবজির চাষ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
বসত বাড়ির আঙ্গিনায় সবজির চাষ। |
---|
নিজের বসত বাড়ির আঙিনায় চাইলে আপনিও সবজি চাষ করতে পারেন।আর বিশেষ করে যাদের ছাদ আছে,ছাদের উপরে বিভিন্ন রকম সবজির চাষ করতে পারেন।এতে করে নিজের পারিবারিক চাহিদা মেটে। বিশেষ করে আমরা বেশিরভাগই বাজার থেকে কিনে এনে রান্না করতে হয়। বা আমরা অন্যের চাষকৃত ফসলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। যার কারণে সবাই কিনতে যায় বাজারে এবং এই সুযোগেই সকল পণ্যের দাম বেড়ে যায়।
কারণ সবার চাহিদা থাকে বাজার থেকে কিনে নিয়ে খাবার। আর খুব কম সংখ্যক লোক রয়েছে যারা নিজেরা চাষ করে খায়।তবে গ্রামের লোকজন বেশির ভাগই নিজেরা চাষ করে খায়। এজন্য তাদের বাজার থেকে কিনতে হয় না বরং তারা খুঁটিনাটি কিছু কিছু সবজি বাজারে নিয়েও বিক্রি করে। যাইহোক আজকে মূলত সে বিষয়ে নয় বরং নিজের চাষকৃত একটি ফসলের ভালো ফলন আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
গতবার বেগুন যখন ধরা শেষ হয়ে গেল, দু একটা বেগুন বীজের জন্য রেখে দিয়েছিলাম। আর সেখান থেকে বীজ বোপন করা হয়।তবে দুর্ভাগ্যজনক যেখানে বোপন করা হয়েছে সেখানে চারাগুলো উঠে নাই।পরে আমি ছাদের উপরে টবে কিছু মাটি দিয়ে মরিচের চারা লাগিয়েছিলাম। এরপর যেই মাটিতে বেগুনের বীজ বোপন করা হয়েছিল, সেই মাটিগুলো কিছু এনে আমি ওই মরিচ গাছের নিচে দিয়ে দিলাম। ভাবলাম মাটি গুলা এখানে দিলে মরিচ গাছ কিছুটা পুষ্টি পাবে।
এরপর কয়েকদিন পরেই দেখলাম বৃষ্টি আসলো। এরপর কিছুদিনের ভিতর দেখতে পাই সেখানে ছোট ছোট অনেকগুলো চারা বেরোচ্ছে। প্রথমে তো দেখে বুঝতে পারলাম না এগুলো কিসের চারা। পরবর্তীতে দু-তিন দিন বাদে দেখতে পাই সেগুলো বেগুনের চারা।চিন্তা করলাম এগুলো আবার কোথা থেকে এল।পরবর্তীতে মাথায় আসলো যে আগের পুরনো যে মাটিতে বীজ বোপন করা হয়েছিল, সেই মাটি এখানে এনে যখন দিয়েছিলাম সেখান থেকেই এই চারাগুলো উঠলো।
যাক পরবর্তীতে অনেকগুলো চারা হল সেখানে।আর যখন আলাদা করে রোপণের উপযুক্ত সময় হলো তখন অনেকগুলা টবে এই বেগুনের চারা গুলো আমি লাগিয়ে দিলাম। যথারীতি সময় মত পানি দেয়া হত। মাঝে মাঝে আমি পানি দিতাম। আবার মাঝে মাঝে আমি না থাকলে আমার আম্মু দিত।এভাবে দিন দিন গাছগুলো খুব সতেজ হয়ে বেড়ে উঠছিল। এরপর কিছুদিন পরে দেখতে পাই এগুলোতে বেগুনের ফলন দেখা যাচ্ছে।
কিছুদিন পরে দেখি সবগুলো গাছে অনেকগুলো বেগুন ধরেছে এবং সেগুলো দেখে খুব খুশি লাগলো।এইতো সেদিন প্রথমবার মতো বেগুন সংগ্রহ করছিলাম গাছ থেকে।তখন চিন্তা করলাম ফটোগুলো তুলে নেই। আর সত্যি বলতে আমি আগে থেকেই এই ফটোগুলো তুলে রেখেছিলাম, কারণ এই বেগুন গুলোর ফলণ এমনিতেই ভালো হয়। সেজন্য ভাবলাম ফলণ ভালো হলে সবগুলো দিয়ে একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
যাইহোক সেদিন অনেকগুলো বেগুন কেটে নিলাম সবগুলো গাছ থেকে। যদিও আরো অনেক বেগুন সেখানে রয়ে গেছে ছোট-বড়। কারণ এতগুলো চাহিদা নেই তাই বেশি কাটা হয়নি।আজকে হঠাৎ মোবাইলের গ্যালারিতে চোখ বুলাতে গিয়ে দেখতে পাই নিজেদের চাষকৃত ফসল খুব সুন্দর দেখা যাচ্ছে গ্যালারির মধ্যে। তাই ভাবলাম এ বিষয়টি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি।
মূলত সেদিন যদি আমি মাটি গুলো বীজ বেপনের জায়গা থেকে এনে ছাদের উপরে মরিচের গাছে না দিতাম, তাহলে এই চারা গুলো উঠত না। কারণ ছয় মাসের উপর হয়ে গিয়েছিল সেখানে চারা উঠেনি। আর এখানে চারা উঠাতে সেগুলো আলাদা করে রোপন করাতে, ভালো ফলণ পেলাম।যাইহোক আপনারা চাইলে নিজেদের বসত বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন রকম শাকসবজির চাষ করতে পারেন। তো বন্ধুরা আজকে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে সবাইকে ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফ স্টাইল । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছি, আর সেই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💕🙏🌿💤
https://x.com/Nevlu123/status/1767759041286312108?s=20
https://x.com/Nevlu123/status/1767758935317258561?s=20
বাড়ির আঙ্গিনায় বেগুন গাছ লাগিয়েছেন এটা খুব ভালো করেছেন। আঙ্গিনায় অনেক জায়গা থাকে আর এই জায়গা কাজে লাগিয়ে সবজি চাষ করেছেন। গাছে তো অনেক বেগুন ধরেছে। দেখে খুশি হলাম। শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
জি ভাই চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।
নিজের লাগানো সবজি খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আমরা সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকি। এজন্যই মূলত বাজারে জিনিসপত্রের দাম এতটাই চড়া। নিজে চাষ করা সবজি কিন্তু ফ্রেশ ভাবে খাওয়া যায় এবং এর মধ্যে একটি আনন্দও থাকে। গাছেতো অনেক বেগুন ধরেছে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে।
ঠিক আপু নিজের লাগানো সবজি খাওয়ার মজাই অন্যরকম।
আসলে ভাইয়া আপনি বসত বাড়িতে পড়ে থাকা যায়গা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আমাদের সরকার বলেছেন, একটি জায়গা ও ফাঁকা রাখা যাবে না সব জায়গায় চাষাবাদ করতে হবে। আসলে বর্তমান সবজির যে পরিমাণ দাম, তাতে বাজার থেকে কিনার থেকে এরকম পড়ে থাকা জায়গায় বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি চাষ করা ভালো।
দারুন বলেছেন ভাই।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
বসতবাড়ি আঙিনায় ফেলে না রেখে এভাবে সবজি চাষ করলে খুবই ভালো হয়। আপনি খুবই সুন্দরভাবে এগুলো পরিচর্যা করেছেন এবং সবজি চাষ করেছেন। আসলে আমাদের বসতবাড়ি আশেপাশে অনেক জায়গা রয়েছে। সেখানে আপনার মত আমি এই সবজি চাষের পরিকল্পনা করলাম।
আমিও মনে করি বসতবাড়ি আঙিনায় ফেলে না রেখে এভাবে সবজি চাষ করলে খুবই ভালো হয়।
আসলেই ভাই আমাদের সবার উচিত খালি জায়গা ফেলে না রেখে সবজি চাষ করা। কারণ দিন দিন সবজির দাম প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমিও ইতিমধ্যে বাসার ছাঁদে বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছি। তবে বেশিরভাগই ফুলের গাছ লাগিয়েছি। ইচ্ছে আছে কিছুদিন পর বেশ কিছু সবজি গাছ লাগানোর। কারণ নিজের বাগানের টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনাদের গাছে তো অনেকগুলো বেগুন হয়েছে ভাই। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আপনার এই পোস্টটি দেখে আমি মনে করি অনেকেই খালি জায়গায় সবজি বাগান করার জন্য অনুপ্রাণিত হবে। যাইহোক সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি একদম ঠিক ভাই দিন দিন সবজির দাম প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আসলে এই বীজ বোপন করা হয়েছিল অনেক আগে। তবে সেগুলো হয়তো ঘরের মধ্যে থাকাতে ওঠেনি। যাই হোক পরবর্তীতে তুমি যখন সেগুলো মরিচ গাছের নিচে দিয়েছো তখন এই চারাগুলো উঠলো। আর সেগুলো আলাদা করে লাগানো তে ভালই ফলন হলো। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ সবার উদ্দেশ্যে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক আর সেগুলো আলাদা করে লাগানো তে ভালই ফলন হলো।
আমার কাছে এই জিনিসটি খুবই ভালো লাগে ভাই। নিজেদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকু যদি আমরা ফলন করে খাওয়ার অভ্যাস করি তবে ভালো জিনিসও খাওয়া হয় আবার বাজারের উপর নির্ভরশীলতা ও কমে। এছাড়া নিজের হাতে গাছ লাগিয়ে সেই গাছের থেকে ফল খাওয়ার মজাই যেন আলাদা। আমি নিজেও চেষ্টা করেছিলাম বারান্দায় মরিচ গাছ লাগাতে,তবে দুঃখের বিষয় সফল হইনি!
ঠিক আপু নিজেদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকু যদি আমরা ফলন করে খাওয়ার অভ্যাস করি তবে ভালো জিনিসও খাওয়া হয় আবার বাজারের উপর নির্ভরশীলতা ও কমে।