হাঁসের কালাভুনা নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
হাঁসের কালাভুনা নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | হাঁসের কালাভুনা |
---|---|
পরিচালক | এস আর সবুজ |
অভিনয় | তুহিন চৌধুরী, শায়লা সাথী সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের নামটি দেখেই হয়তো আপনারা বুঝে গিয়েছেন নাটকটি কেমন হতে চলেছে৷ খুব সুন্দর হয়েছিল এই নাটকটি৷ তাহলে চলুন এবার এই নাটকের রিভিউ শুরু করা যাক৷ প্রথমে নাটকের মধ্যে একজন হাস বিক্রেতাকে দেখা যায়৷ সে হেঁটে হেঁটে হাঁস বিক্রি করছিল। তার সাথে কয়েকটি হাঁস সে নিয়ে এসেছিল এবং সে সবাইকে সে হাস দেখিয়ে কথা বলছিল এবং বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছিল৷ তখন একটি হোটেলে দুজন লোক বেরিয়ে আসলো সেই হাঁসগুলো দেখার জন্য। তখন তারা দুজনে হাঁসগুলো খুব ভালোভাবে দেখছিল এবং সে হাঁসগুলোর অনেকটাই ওজন ছিল এবং তারা ভাবছিল যে যদি এই হাঁস দিয়ে কালাভুনা রেসিপি তৈরি করা হয়, তাহলে তাদের হোটেলে বেশি কাস্টমার আসবে এবং তাদের হোটেলে হাঁস খাওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে৷ মানুষজন তাদের হোটেলে এসে হাঁসের মাংসের খোজ করে। তখন তারা ওই হাস বিক্রেতাকে বলে তাদেরকে অনেকগুলো হাঁস দেওয়ার জন্য। তখন সে বিক্রেতা বলে সে আজকে হাঁস দিতে পারবে না৷ তখন সে বলে তার অনেক বড় হাঁসের খামার রয়েছে এবং সে সেখান থেকে অনেকগুলো হাঁস দিতে পারবে৷ তখন হোটেলের ওই দুজন তাকে টাকা দিয়ে দেয় এবং পরদিন সকালবেলা সেই হাঁস এর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। তখন সেই ব্যক্তি হাস্যের টাকা নিয়ে চলে যায় এবং বলতে থাকে যে পরদিন তারা ঘুম থেকে ওঠার আগেই তাদের হোটেলের সামনে সে এসে হাজির হয়ে যাবে। তখন সে সেখান থেকে চলে যায়৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এবার হোটেলের দুজন পরদিন অপেক্ষা করতে থাকে তাদের হাঁসের জন্য৷ যে হাস বিক্রেতাকে তারা হাঁসের জন্য বলেছিল সে তাদের ঘুম ভাঙার পূর্বে এসে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার কথা। তখন হোটেলের দুইজন অনেক সকালবেলা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও সে হাস বিক্রেতা আসল না। এরপর সূর্য উঠে গেল এবং তখন তারা হাঁসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। তারা বলতে থাকে হাঁস বিক্রেতাকে কল করার জন্য। তখন ওই হোটেলের সেই ব্যক্তিটি তাকে কল করলো৷ তখন তার মোবাইল বন্ধ ছিল৷ এভাবে বেলা গড়াতে লাগলো। যখন অনেক সময় হয়ে গেল এবং তারা বুঝতে পারল যে তাদের হাঁসগুলো আর আসবে না এবং তারা যে হাঁসের টাকাগুলো অগ্রিম তাকে দিয়ে দিয়েছিল তা সেই ব্যক্তিটি খেয়ে চলে গিয়েছে এবং তারা একজন আরেকজনের উপর অনেক বকাবকি করতে থাকে। অনেকটাই কষ্ট পেতে থাকে। তারা হাঁসের জন্য যে টাকা দিয়েছিল সেই টাকাগুলো দিয়ে তারা অন্য কোন কাজ করতে পারতো এবং তাদের এই টাকাগুলো এমন ভাবে চলে গেল, তারা হাঁসও পেল না এবং তাদের অনেক বড় লস হয়ে গেল৷ একইসাথে তাদের হোটেলে হাঁস বিক্রি করবে বলে তারা হোটেলের সামনে ব্যানার লাগিয়েছিল যে এখানে হাঁসের কালা ভুনা পাওয়া যায়। তখন মানুষ তাদের হোটেলের সামনে আসতে শুরু করে৷ যখন তারা হাঁসের কালা ভুনা সার্ভ করতে পারল না তখন মানুষজন তাদের উপর অনেক চিৎকার করতে থাকে৷ তারাও কিছু বলে না৷ তারা বলে যে হাঁসের কালাভুনা শেষ হয়ে গিয়েছে এবং অন্য খাবার খেতে বলল৷ তখন অনেক কাস্টমার তাদের হোটেল থেকে চলে গেল৷ কিছু কাস্টমার তাদের হোটেল এর অন্য খাবার খেয়ে চলে যায়৷ যখন নায়িকা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করতে পারল না তখন সে অনেকটাই রাগান্বিত হয়ে যায় এবং সে বলতে থাকে যদি সে একবার ওই ভুয়া হাঁস বিক্রেতাকে দেখতে পায় তখন সে তাকে মেরেই ফেলবে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর ওই হাস বিক্রেতা একদিন বাজারে যায়, হাঁসের যেসকল দোকানদাররা রয়েছে তাদের কাছে হাঁস বিক্রি করার জন্য৷ সেখানেও সে বলতে থাকে যে তার অনেক বড় খামার রয়েছে এবং সে সেখানে অনেক ধরনের হাঁস মুরগি পালন করে৷ যদি তাদের কোন ধরনের হাঁসের প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে অর্ডার দেওয়ার জন্য এবং সে দুটো হাঁস নিয়ে সে দোকানদারদের কাছে দিয়েছিল ডেমো হিসেবে। তার কাছ থেকে যখনই অগ্রিম টাকাগুলো সে নিয়ে নিবে তখনই সেখানে হোটেলের ওই দুজন লোক গিয়ে দাঁড়ায়। কারণ তারা বুদ্ধি করেছিল যেহেতু সে হাঁসের ব্যবসা করে সে কোন ধরনের হাঁসের বাজারেই থাকবে৷ তখন তারা সেখানে হাঁস কেনার উদ্দেশ্যে যায়৷ এক পর্যায়ে সে সে নায়িকাকে দেখতে পায় এবং নায়িকা দোকানদারকে বলতে থাকে যে, সে ব্যক্তি অগ্রিম টাকা নিয়ে এখান থেকে পালিয়ে যাবে৷ সে যেন তাকে অগ্রিম টাকা না দিয়ে দেয়৷ তখন সে বলে সে তাদেরকে সে চেনেনা এবং তারা মিথ্যা কথা বলছে। তখন তারা দুজনে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ বলতে থাকে তাদের হাঁস দেওয়ার জন্য অথবা তাদেরকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য৷ তখন সে বলতে থাকে যে, যখন তার হাঁসগুলো ট্রাকে করে আনছিল তখন সেগুলো পদ্মা সেতুতে একটি ট্রাক দুর্ঘটনা হয়ে যায় এবং সেখানে সবগুলো হাঁস নেমে পদ্মা সেতুতে গিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তার অনেকটাই লস হয়ে যায় এবং সেখানে হোটেলের দুজন থাকে বলতে থাকে যে তাদেরকে বলদ পেয়েছে কিনা। পদ্মা সেতুতে কিভাবে ট্রাক এক্সিডেন্ট হবে এবং কিভাবে তার হাঁসগুলো সেখানে পড়ে যাবে। তখন সে হাঁস বিক্রেতা বোকা বানিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে দেয় এবং তারা সেখান থেকে চলে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এবার নায়ক পাত্রী দেখার জন্য যাচ্ছিল৷ তখন সেখানে তার কোন আত্মীয় স্বজন ছিল না৷ তাই সে তার একজন পরিচিত লোককে তার মামা হিসেবে বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল৷ সে বলতে থাকে যে যদি তার আজকের এই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায় তখন সে তার শ্বশুরের টাকা দিয়েই চলবে। যদি তার শশুরের ব্যবসা বাণিজ্য থাকে সে ব্যবসা বাণিজ্য সামলাবে অথবা শশুরের থেকে টাকা নিয়ে সে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার কাজে বিনিয়োগ করবে৷ এরপর যখন নায়ক ঐ ব্যক্তিটিকে সবগুলো বিষয় বুঝিয়ে দিতে থাকে তখন ওই ব্যক্তিটিও সে বিষয়গুলো প্র্যাকটিস করতে থাকে৷ নায়কও সবগুলো বিষয় প্র্যাকটিস করতে থাকে এবং বলতে থাকে তার সম্পর্কে বলার জন্য যেন সে বড় একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। এই কথাটি বললে মেয়েরা অবশ্যই রাজি হয়ে যাবে। এরপর সে মেয়ে দেখার জন্য যে বাড়িতে প্রবেশ করে সেখানে নায়িকা ছিল। যখন সে নায়িকাকে দেখতে পায় তখন প্রথমে সে মুখ দেখতে পায়নি এবং অনেকটা খুশি হয়েছিল। যখনই নায়িকার মুখটি সে দেখতে পায় সে অনেকটা অবাক হয়ে যায়। তখন নায়ক তার মামাকে বলে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য । তখন নায়কের মামা বলে আরো কিছুক্ষণ থাকার দরকার রয়েছে এবং মেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে৷ তার মামার পছন্দ হয়েছে এবং তার সাথে তার বিয়ে দিবে৷ তখন নায়িকা বলতে থাকে যে বিয়ে বিয়ে হলে তো ভালোই, সে অনেক বড় চাকরি করে এবং অনেক বড় কোম্পানির সে মালিক৷ এই বিষয়গুলো যখন নায়িকা শুনে তখন তার বাবাকে বলতে থাকে যে এই ব্যক্তি তাকে হাঁস দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল৷ তখন সে বলে যে তাকে আটকে রাখার জন্য৷ তখন নায়কের সেই ভুয়া মামা সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং নায়ককে তারা বন্দী করে রাখে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এর পরদিন নায়িকা তাকে বলতে থাকে যদি নায়িকার টাকা তাকে ফেরত দিতে হয় তাহলে তাকে এই হোটেলে চাকরি করতে হবে এবং এই হোটেলের রান্না বান্নার কাজ সামলাতে হবে৷ তাই নায়িকা তাকে হোটেলে নিয়ে যায় এবং বলতে থাকে যে এখানে থাকে চাকরি করতে হবে। এখানকার যাবতীয় সকল কাজ থাকেই দেখাশোনা করতে হবে৷ তখন নায়িকা বাড়িতে চলে আসে এবং সেখানে তার কাজকর্মগুলো করতে থাকে৷ তখন ওই হোটেলের যে অন্য একজন লোক ছিল সে নায়ককে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে এবং বলতে থাকে যে কোন কাজে যেন সে অমনোযোগী না হয়৷ সবগুলো কাজ যেন সে ভালোভাবে করতে থাকে। খাবার রান্না করার কাজটিও সে তাকে বুঝিয়ে দেয় এবং খুব ভালোভাবে খাবার রান্না করে৷ খাবার রান্না করার পরে যখন মানুষজনকে সেই খাবার দেয় তখন মানুষজন অনেকটাই এই হোটেলের রান্নার সুনাম করতে থাকে৷ যখন নায়িকা এই বিষয়টি শুনতে পারে তখন সে দেখে যে, সে আসলে কি তা রান্না করেছে৷ তখন নায়িকা যখন তার খাবার খেয়ে দেখেছে তা অনেকটা সুস্বাদু হয়েছে৷ তখন সে নায়কের কাজে অনেক খুশি হয়ে যায়৷ নায়কেরও অনেকটাই ভালো লাগতে থাকে৷ সে বলে যতদিন পর্যন্ত তার টাকাগুলো সে পরিশোধ করতে না পারবে ততদিন সে এই হোটেলে কাজ করতে থাকবে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
পরবর্তী সময়ে তাদের হোটেল যখন ভালোভাবে চলছিল তখন কিছু লোক এসে তাদের হোটেলের বাইরে ঝামেলা করছিল৷ তখন নায়ক হোটেলের রান্না ঘর থেকে বের হয়ে আসে। নায়িকা এবং এবং তার সাথে যে লোক ছিল সেও বাইরে বেরিয়ে আসে এবং জিজ্ঞাসা করতে থাকে কি হয়েছে৷ তখন তারা বলতে থাকে যে এই হোটেলের চাঁদা তারা পরিশোধ করে না এবং এজন্য তারা এই হোটেল আর এখানে টিকতে দিবে না৷ নায়িকা তাদেরকে অনেক অনুরোধ করে যাতে করে এই হোটেল যেন তারা কোনমতে বন্ধ করে না দেয়। তখন তারা কোন মতেই তাদের কথা শোনে না৷ যখন নায়ক বলতে থাকে যে তারা যেন এই হোটেল যাতে ভেঙে না দেয়৷ তারা তাদের সবকিছু নিয়ে এখান থেকে চলে যাবে৷ তখন নায়িকা বলতে থাকে এই হোটেল বন্ধ হয়ে গেলে তাদের কোনো আয়ের উৎস থাকবে না৷ তখন নায়ক বলতে থাকে যে পরবর্তীতে কোন ব্যাবস্থা হয়ে যাবে৷ এখন হোটেল বন্ধ করে এখান থেকে চলে যাওয়া যাক৷ তখন তারা হোটেল বন্ধ করে দেয়৷ হোটেলের সবকিছু নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়৷ তখন ওই ব্যক্তিরা সেখান থেকে চলে যায়৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এবার নায়কের একজন বন্ধু তাকে কল দেয় এবং বলতে থাকে যে তার কি খবর৷ তখন সে বলতে থাকে যে সে এখন একটি হোটেলে রাধুনী হিসেবে কাজ করছে এবং সেই হোটেলটি আজকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ তখন নায়কের সে বন্ধু বলতে থাকে সে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে৷ গার্মেন্টসে অনেক লোক রয়েছে৷ তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে নায়কের অনেকটা অসুবিধা হয়৷ ক্যান্টিনে যেসকল খাবারগুলো খাওয়ানো হয় সেই খাবারগুলো ততটা স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি নায়কের সাথে কথা বলতে থাকে। প্রতিদিন তাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান খাবার দিতে হবে। এই বিষয়টি শুনে তারা অনেক খুশি হয়ে যায়৷ তখন তারা বলতে থাকে তারা প্রতিদিনই নায়কের বন্ধুর যতটুকু খাবারের প্রয়োজন সেই খাবার দিবে এবং পরবর্তীতে নায়কের বন্ধু নায়িকাদের বাড়িতে আসে৷ নায়িকাকে খাবারের অগ্রিম টাকা দিয়ে যায় এবং বলতে থাকে যে পরবর্তী দিনই যেন তাদের খাবার পাঠিয়ে দিতে শুরু করে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এবার নায়িকা নায়ককে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে এবং ব্যবসা সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তখন নায়ক বলছিল যে হোটেল বন্ধ হয়েছে তো কি হয়েছে তাদের হোটেলের কাজকর্ম তারা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে৷ যখন তার কাছ থেকে এই খাবারের অর্ডার নিল তখন তাদের হোটেলের কাজ থেকেও আরো বেশি কাজ চলে আসলো। এই কাজ থেকে যখন তাদের লাভ হওয়া শুরু করল তখন নায়িকাও নায়ককে অনেকটা ভালো লাগতে শুরু করল। তার সাথে অনেক ভালোভাবে কথাবার্তা বলার পর এবং হাঁটাচলা করার পর তাদের দুজনের মধ্যে মিল হয়ে গেল এবং এখানে এই নাটকটি সুন্দরভাবে শেষ হয়ে যাবে৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
এই নাটকটি অনেকটা সুন্দর হয়েছিল৷ প্রথমে যখন হাঁস বিক্রেতা তাদেরকে বোকা বানিয়ে তাদের হাতে দুটো হাঁস দিয়ে অনেকগুলো হাঁসের টাকা অগ্রিম নিয়ে সেখান থেকে চলে গিয়েছিল তখন অনেক মজা লেগেছিল৷ পরদিন যখন তারা হাস নেওয়ার জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল এবং অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর যখন তারা হাঁস পেল না তখন নায়িকা এবং নায়িকার সাথে থাকা ওই ব্যক্তি নায়কের উপর অনেক রাগান্বিত হয়ে গিয়েছিল৷ তারা বলে তাকে যদি একবার তারা দেখতে পায় তখনই তারা তাকে মেরে ফেলবে। এর পরবর্তী সময়ে নায়ক যখন অন্য একটি বাজারে হাঁস বিক্রি করতে গেল তখনই সেখানে তারা গিয়ে পৌঁছায় এবং তাকে সেখানে ধরে ফেলে৷ তখন নায়ক তাদেরকে আবোল তাবোল বুঝিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলে। এরপর নায়ক যখন বিয়ে করতে যাবে তখন সে নিজের অজান্তেই নায়িকাকে দেখতে চলে যায়। নায়িকা তাকে সেখানে বেঁধে রাখে এবং পরবর্তী দিন সে নায়ককে তার হোটেলে নিয়ে যায় এবং কাজ করার জন্য বলে । এরপর সে হোটেলের কাজ করতে থাকে এবং পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিদের কারণে এই হোটেলটি বন্ধ হয়ে যায়। নায়কের একজন বন্ধু গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য তাদের কাছ থেকে খাবার নেওয়ার কথা বলে। তখন তারা খাবার দেওয়ার জন্য রাজি হয় এবং অনেকটাই খুশি হয়ে যায়। এভাবে নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে ভাবতে শুরু করে এবং তাদের দুজনের মধ্যে মিল হয়ে যায় এবং খুব সুন্দর ভাবে নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধন্যবাদ 🌺💤
https://x.com/Nevlu123/status/1760836848358945208?s=20
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🙏💟💤
গতকাল রাতে আমি হাঁসের কালাভুনা নাটকটি দেখেছিলাম। প্রথমের দিকে তো হাসতে হাসতে আমি শেষ। ভাই আপনার নাটক রিভিউ দেখে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই নাটকটি খুব সুন্দর। 💤
হাঁসের কালা ভুনা নাটকটা দেখা হয়েছিল আমার। আর আজকে এই নাটকটার রিভিউ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। তুহিন এবং সাথী দুজনে এত সুন্দর অভিনয় করেছে এই নাটকটাতে পুরোটা খুব সুন্দর লেগেছিল। আপনার কাছেও এই নাটকটা অনেক ভালো লেগেছিল তাই তো ১০ এর মধ্যে ৯ দিয়েছেন। পুরো কাহিনী টাকে রিভিউর মাধ্যমে সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।💥
মাঝেমধ্যে বাংলাদেশের যেসব নাটকগুলো তৈরি করে দেখতে বেশ ভালো লাগে। আজকের এই নাটকটি বেশ চমৎকার। হাস নিতে এসে দোকানে অনেকক্ষণ বসে আছে তাকে কথা দিয়েছিল আসবে কিন্তু তিনি আসেনাই এমনকি ফোনটা বন্ধ করে রেখেছে। আসলে এমনটা হলে সবার কাছে একটু বিরক্ত লাগে। এই নাটকটা আমি দেখে নিয়ে কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাই একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এভাবেই পাশে থাকবেন।
নতুন এ নাট্যকারদের নাটক আমার খুবই ভালো লাগে ভাইজান। এরা বেশ রোমান্টিক আর আনন্দ ঘন নাটক করে থাকে। সুন্দর এই নাটকটা আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক খুশি। আশা করবো এভাবে অনেক ভালোলাগার নাটক রিভিউ করবেন আপনি।
আমারও ভালো লাগে ভাইজান। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাঁসের কালা ভুনা এই নাটকটার কয়েকটা শর্ট ভিডিও আমি দেখেছিলাম। কিন্তু এই নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো দেখবো করে আর দেখাই হয়ে উঠেনি। আমি মাঝে মাঝে নাটক দেখার চেষ্টা করি। কারণ কাজের পাশাপাশি নাটক দেখলে খুব ভালো লাগে। এই নাটকটার রিভিউ পড়ে আমি ভাবতেছি যে, সময় যখন পাবো তখন এই নাটকটা আমি দেখব। আশা করছি সম্পূর্ণ নাটকটা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
তাই নাকি।ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
হাঁসের কালাভুনা নাটকের নাম যেমন হাস্যকর তেমন নাটকটিও অনেক হাস্যকর। খুব ভালো লাগলো রিভিউটি পড়ে। ধন্যবাদ তোমাকে সবার উদ্দেশ্যে শেয়ার করার জন্য ভালো থেকো।
আসলেই নাটকের নাম যেমন হাস্যকর তেমন নাটকটিও অনেক হাস্যকর।
ঠিক, ধন্যবাদ তোমায়।
নাটকের নাম যেমন সুন্দর মনে হচ্ছে নাটকটি দেখতেও তেমনি খুব সুন্দর। যদিও এই নাটক দেখা হয়নি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। সাথীর নাটক দেখতে আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। তার অভিনয়গুলো খুব সুন্দর হয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
জি আপু নাটকটিও দেখতে তেমনি খুব সুন্দর।,।