সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম।

বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, বিষয় ভিত্তিক ফটোগ্রাফির বাহিরে , কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে। তবে আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলোতে ভিন্ন ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পাবেন।আর সেগুলো যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।আশা করছি আমার আজকের এই রেনডম ফটোগ্রাফি অ্যালবামটি আপনাদের ভালো লাগবে।তো বন্ধুরা চলুন চোখ রাখি আজকের ফটোগ্রাফিতে।

১নং-ফটোগ্রাফি

Location
^{#Device:S-G,M32}

আজকে প্রথমেই রয়েছে একটি কাঠগোলাপ ফুল গাছের ফটোগ্রাফি। আমি অনেক নার্সারিতে গিয়েছি এবং আপনাদের সাথে সেখানকার অনেক ফুল গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে যে নার্সারির ফটোগ্রাফি শেয়ার করব সেই নার্সারিতে আমি প্রথমবার গিয়েছি। এই নার্সারিটি দেখে ধৈর্য ধরে রাখতে পারলাম না। ফেনীতে একটা কাজে গেলাম, যেখানে কাজ ছিলো তার পাশেই এই নার্সারিটা ছিলো।একটু সময় পেয়ে আমি নার্সারিতে চলে গেলাম এবং সেখানে অনেক ফুল গাছ দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। তাই কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছি। আমার কাছে কাঠগোলাপ ফুল অনেক ভালো লাগে। এই ফুলটির ভিতরে গোলাপি, সাদা এবং হলুদ এই রংগুলো থাকার কারণে মন জুড়িয়ে গিয়েছে। তবে আমার জানামতে কাঠগোলাপ ফুলের মাঝেও ৭০+ জাত রয়েছে।যাইহোক আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

২নং -ফটোগ্রাফি

Location
^{#Device:S-G,M32}

এরপরে রয়েছে অনেকগুলো কাঁকরোলের ফটোগ্রাফি। এই কাঁকরোল গুলো বাজার থেকে কেনা।বাজার করতে গিয়ে দেখি খুব সুন্দর লাগছিলো কাঁকরোল গুলোকে তাই দেরি না করে কিনে ফেললাম। প্রথমে আমি অল্প কিছু কাঁকরোল দেখেছিলাম। তারপর আরেক লোক অনেক গুলো কাঁকরোল নিয়ে দেখি বসে আছে তার থেকে এই কাঁকরোল গুলো নিয়ে নিলাম। এই কাঁকরোল ঘরের সবাই খেতে পছন্দ করে। সাধারণত সকল সবজির ভিতরে অনেক গুনাগুন রয়েছে। তেমনি এই কাঁকরোলেও অনেক উপকারীতা রয়েছে। এটি ডাইবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী একটা সবজি। আমার কাছে এই সবজিটি খেতে অনেক ভালো লাগে।

৩নং-ফটোগ্রাফি

Location
^{#Device:S-G,M32}

এখন যে ফটোগ্রাফি দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন এটি শীতকালে করা ভাঁপা পিঠার ফটোগ্রাফি। শীতের শেষের দিকে আমি বসুরহাট বাজারে গিয়েছিলাম একটি কাজের জন্য। তখন দেখেছিলাম একটি লোক ভাঁপা পিঠা বিক্রি করছে। এই পিঠাগুলো দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। তাই আমি কয়েকটি পিঠা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে নিলাম। পিঠাগুলোর মধ্যে অনেক নারিকেল এবং গুড় দেওয়া হয়েছে। নারিকেল গুলোকে পিঠার ওপরের দিকে লম্বা লম্বা করে কেটে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছে। আশা করি আপনাদেরও এই ফটোগ্রাফিটি ভালো লেগেছে।

৪নং-ফটোগ্রাফি

Location
^{#Device:S-G,M32}

এখানে দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো সুপারির ফটোগ্রাফি। এই সুপারির ফটোগ্রাফি আমি অনেক আগেই করেছিলাম। এগুলো আমাদের একটি গাছের সুপারি। এই সুপারি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।কারণ এগুলো অনেক বড় বড় ছিল এবং একটি গাছে অনেকগুলো সুপারি ধরেছিল। গাছের মধ্যে এই সুপারি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে দেখা যেত। আমার কাছে এই সুপারি গুলো এইভাবে থোকায় দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাই আপনাদের সাথেও এগুলোর ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদেরও এই ফটোগ্রাফিটি ভালো লেগেছে।

৫নং-ফটোগ্রাফি

Location
^{#Device:S-G,M32}

এই ধাপে রয়েছে একটি সাদা রঙের জবা ফুলের ফটোগ্রাফি। আমি এই ফুলটির ফটোগ্রাফি একটি নার্সারি থেকে করেছিলাম। জবা ফুল অনেক রঙের হয়ে থাকে।এক কথায় বলতে গেলে অনেক জাতর হয়ে থাকে।তার মাঝে এই সাদা রঙের জবা ফুল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আসলে সাদা যেকোন জিনিসই দেখতে ভালো লাগে। যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে সাদা জবার ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করলাম। এই ফুলের রেনুগুলো ছিল হলুদ এবং লাল রঙের। জবা ফুল আমাদের অনেক উপকারী একটি ফুল। আশা করি আপনাদের এই ফুলের ফটোগ্রাফিটিও ভালো লেগেছে।

৬নং-ফটোগ্রাফি

Location
^{#Device:S-G,M32}

এখন দেখতে পাচ্ছেন একটি গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি। আমি অনেক রঙের গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি। যেমন গোলাপি, সাদা, হলুদ, লাল ইত্যাদি রঙের ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।তবে এই ফুলটির কালার দেখতে খুব সুন্দর। আর এই ফটোগ্রাফিটি একটি নার্সারি থেকে করেছিলাম। আসলে নার্সারিতে অনেক সময় গিয়ে থাকি। কোনো কারন ছাড়াও নার্সারিতে যেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কেননা নার্সারির অপরুপ সৌন্দর্য দেখে আমার মন ভরে যায়। তাই আপনাদের সাথেও শেয়ার করার চেষ্টা করি। যাইহোক এই গোলাপ ফুলটির ভিতরে কয়েকটি রঙের সংমিশ্রণ রয়েছে। এক রঙের গোলাপ ফুল থেকে অনেক রঙ সংমিশ্রিত ফুল দেখতে অনেক ভালো লাগে।

৭নং-ফটোগ্রাফি

Location
^{#Device:S-G,M32}

এখানে দেখতে পাচ্ছেন অনেক বড় একটি বাড়ির ফটোগ্রাফি। আমরা যখন ফেনীতে ছিলাম তখন এই বাড়িতে দেখেছিলাম। আমি এই বাসাটির ফটোগ্রাফি করেছিলাম লালদীঘির পাশের একটা বিল্ডিং থেকে। ওখান থেকেও বাসাটি সুন্দরভাবে দেখা যায়। সব জায়গা থেকে এই বাসাটি দেখা যায়। আমাদের বাসার ছাদ থেকেও অনেক সুন্দর ভাবে দেখা যেত। ফেনীতে এই বাড়িটি ছিল চোখে পড়ার মত সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি। এটি চার ভাগে বিভক্ত ছিল। আমরা যখনই বাসার ছাদে যেতাম তখনই এই বাসাটি দেখতে পেতাম। তাই মনে হল আপনাদের সাথে তো শেয়ার করা যায়।

তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ,আশা করি আগামীতে ভিন্ন রকম রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো।আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	ফটোগ্রাফি
ক্যামেরা.মডেল	এম ৩২
ক্যাপচার	@nevlu123
সম্পাদনা	রিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থান	বাংলাদেশ

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}