ছোট বেলায় শীতের দিনের আনন্দ।

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

ছোট বেলায় শীতের দিনের আনন্দ।

20231122_075718.jpg

শীতের দিনের মজাই আলাদা শীতের দিনে ছোট বেলায় কতইনা মাজ হতো। আর এখন সময়ের চাপা কলে পড়ে, আবার পরিবর্তিত ঋতু ও পরিবর্তিত জীবনের কারণে, আগের মত সেই মজা গুলো পাওয়া যায় না। সত্যি বলতে শীতের দিনে ছোটবেলায় অনেক মজা করতাম। বিশেষ করে শীতের সকালে হাঁড় কাঁপা শীতের মধ্যে উঠতে চাইতাম না।

যদিও উঠতাম তখন রান্না ঘরে চুলার ধারে গিয়ে আগুন পোহাতে বসে যেতাম। আম্মু যখন বলতে ব্রাশ করার জন্য তখন সহজে ব্রাশ করতে যেতাম না। কারণ পানি অনেক ঠান্ডা। যাইহোক তারপরও ব্রাশ করতে হতো। ব্রাশ করা শেষে হলে নাস্তা করতাম, তবে সেটি বেশিরভাগই রৌদ্রে বসে।আবার দেখা যেত সকালবেলা রৌদ্রে বসে ভাত খেতাম।

মাছ দিয়ে আলু দিয়ে রান্না করলে সেই তরকারিতে ঝোল গুলো খুব সুন্দর বসে।সেই বসা ঝোল গুলো খেতে অন্যরকম মজা লাগতো। নিজেদের বড় উঠান ছিল। উঠানে রৌদ্রে বসে ভাত খেতাম। এর পরে এদিক ওদিক তাকালে দেখা যেত বাড়ির লোকজন যার যার ঘরের আঙিনায় রৌদ্রে বসে ভাত খাচ্ছে।

এই দৃশ্যটি আসলে সবাই দেখেনি।তবে গ্রাম অঞ্চলে এরকম দৃশ্য অনেক দেখা যায়। যাই হোক দুপুর হলে গোসল নিয়ে পড়তাম দ্বিধায়। ঠান্ডা পানিতে পুকুরে কিভাবে গোসল করব। তাই অনেক সময় গোসল করতেও চাইতাম না। মাঝে মাঝে আম্মু জোর করে গোসল করিয়ে দিতো। আবার মাঝে মাঝে পুকুরে গিয়ে নিজে গোসল করে আসতাম।

তবে আম্মু যখন গোসল করিয়ে দিতো তখন গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিত।সেই দিন গুলো আজও মিস করি। কারণ ঐ রকম গোসল আর কখনো করা যাবে কিনা সেটা সন্দেহ রয়ে গেল। কারণ যুগের পরিবর্তনে সবার রুমেই এটাচ বাথরুম রয়েছে। ঘরের মধ্যেই সবকিছু ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আর আগের সেই মজাগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।সব হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

বিকেল বেলা খেলতে যেতাম। খেলাধুলা শেষ করে এসে বিকেলের নাস্তা করতাম। এরপর দেখতে পেতাম বাড়ির মধ্যে অনেকে ধান সিদ্ধ করছে। তখন সিদ্ধ করা ধানের আশেপাশে গিয়ে বসে থাকতাম। আর সেখানে আগুন পোহাতাম। মাঝে মাঝে দুষ্টামি করে আলু নিয়ে আসতাম,আর সেই ধানের আগুনের নিচে আলু দিয়ে দিতাম। যাতে করে আলুটা খাওয়ার উপযুক্ত হয়।

আসলে এরকম কর্মকাণ্ডগুলা যে শুধু আমরাই করতাম তাই নয়। অনেকেই এ ধরনের কাজ করতো।সন্ধ্যা হলে অনেকেই লাকড়ি বা খড়ের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে।যখন এরকম দৃশ্য দেখতাম সেখানে গিয়ে আগুন পোহাতে শুরু করতাম । আবার বিভিন্ন জায়গায় আলোকসজ্জা করে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হতো। সেখানে খেলতে না পারলেও দর্শক হিসেবে গিয়ে খেলা দেখতাম।

আসলে সেদিন গুলো খুব মজার ছিল, যেটি এখন একদমই দেখতে পাওয়া যায় না। আর এখন ব্যস্ততার কারণেও অনেক কিছু মিস করি।যাইহোক শীতের আগমনে নিজের মনের কিছু অগোছালো কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করছি বিষয়টি আপনারা উপলব্ধি করবেন। কারণ আগের মত কোন কিছুই নেই। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।অন্য দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে আবারও ফিরে আসবো ধন্যবাদ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণজেনারেল রাইটিং।
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

20211126_191305.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 months ago 

💐💥🙏🙏❤❤

 8 months ago 

ছোট্ট বেলার শীতের সকাল আর বর্তমান শীতের সকাল অনেক তফাৎ । দেখা যায় আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে আগুন জ্বালিয়ে শীতের প্রকোপ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে দারুন সময় পার করতাম । আর বর্তমানে সবাই প্রচন্ড শীতে ঘুমিয়ে পার করে আসলেই সেই দিনগুলো এখন মিস করি।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

একদম ঠিক ভাই ছোট্ট বেলার শীতের সকাল আর বর্তমান শীতের সকাল অনেক তফাৎ।

 8 months ago 

সেই মধুর সময় আর কখনো ফিরে আসবে না। নিজের জীবনকেই এখন গল্পের মতো লাগে। সোনালী দিন গুলো জীবন এখন স্মৃতির খাতায় জমা পড়ে রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে এখন সবকিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। নিজেদের যেমন পরিবর্তন হয়েছে তেমনি ঋতুও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। ছোট বেলায় শীতের সময়ে অনেক আনন্দ হতো। বিশেষ করে আগুন পোহাতে বেশি ভালো লাগতো। এছাড়া সকালে রোদে বসে নাস্তা খেতে দারুণ মজা হতো। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে যেন শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

জি আপু সোনালী দিন গুলো জীবন এখন স্মৃতির খাতায় জমা পড়ে রয়েছে।

 8 months ago 

অনেক সুন্দর সৃতিচারণ করেছেন ছোটবেলার। আসলেই যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ।সামনের দিন গুলো যতো ভালই হোক না কেন ফেলে আসা দিনগুলোর মতো সুখের হয় না।আপনার মা গরম জল করে গোসল করিয়ে দিতেন কতোই মা মধুর সৃতিচারণ। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর লাগলো পোষ্ট টি।ধন্যবাদ ছোটবেলার সৃতিচারণ করার জন্য।

 8 months ago 

জি আপু সামনের দিন গুলো যতোই ভালো হোক না কেন, ফেলে আসা দিনগুলোর মতো সুখের হয় না।

 8 months ago 

আসলেই ভাই ছোটবেলায় শীতের দিনে প্রচুর আনন্দ করতাম। আমি সাতার পারি না,তাই আম্মু বাথরুমে গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিতেন। দিনের বেলা ক্রিকেট খেলতাম এবং সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টন খেলতাম। বিকেলে বা সন্ধ্যার সময় বিভিন্ন ধরনের পিঠা দিয়ে নাস্তা করতাম। আরও অনেক মজা করতাম। সেই সোনালী দিনগুলো আসলেই খুব মিস করি। আপনার পোস্ট পড়ে সেই পুরনো স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

আমিও দিনের বেলা ক্রিকেট খেলতাম এবং সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টন খেলতাম।মিলা আছে দেখছি।

 8 months ago 

শীতের দিনের আপনার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সেই অনুভূতি এখন আর কোথায় পাব ভাইয়া। তবে আমাদের বাচ্চারা তো একদম পাচ্ছেনা বললেই চলে। বিলের মাঝে যেগুলো ধান কাটার পরে নাড়া থাকতো সেগুলো আমরা নিয়ে অনেক উঁচু করে জমিয়ে রাখতাম। প্রতিদিন সকাল কিংবা সন্ধ্যার পরে সেই নাড়া দিয়ে আগুন পোহাতাম। তাছাড়া মাটির আলুর লতার মধ্যে যে ছোট আলুগুলো থাকতো সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে খেতাম। আরও অনেক মজার মজার কাহিনী আছে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে সেই দিনে হারিয়ে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণের জন্য।

 8 months ago 

জি আপু।।।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।💐💐

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 63894.70
ETH 3178.14
USDT 1.00
SBD 2.63